পৃথিবী পরীক্ষা ক্ষেত্র, একজন মুমিনের জন্য।
আর এই পরীক্ষায় আর সকল পরীক্ষার মত প্রশ্ন আছে, এবং এই পরীক্ষায় প্রশ্ন ও পরীক্ষা পদ্ধতি আলাদা।
এই পরীক্ষার প্রশ্ন আল্লাহর নিজের করা, এবং আল্লাহর সে প্রশ্ন ও পরীক্ষা অতীব প্র্যাক্টিক্যাল, এইখানে থিওরি জায়গা নাই।
যেমন: একজন রোযাদার মুমিনের জন্য পরীক্ষা, "তার সামনে আরেকজন ব্যক্তি খাবার খাবে, রোযাদারের জন্য যা নিষিদ্ধ সেইটা করবে, এবং রোযাদার ব্যক্তি এইসব দেখেও নিজেকে সংযত করবে।"
রোযাদার ব্যক্তি সুযোগ থাকা সত্বেও, সমুখে প্রলোভন থাকা স্বত্ত্বেও নিজেকে সংবরণ করবে।
রোযাদারের সামনে যে একজন খাবার খাচ্ছে, এইটা ই আল্লাহ রব্বুল আলামীনের পরীক্ষা, আল্লাহপাক চাইলেই সবাইকেই রোযা রাখাইতে পারেন।
‘আর তোমার প্রভু-প্রতিপালক যদি চাইতেন অবশ্যই তিনি সব মানুষকে এক উম্মত বানিয়ে দিতেন। কিন্তু তারা সব সময় মতভেদ করতেই থাকবে’ (সুরা হূদ, আয়াত: ১১৮)।
আল্লাহ প্রেরিত এই প্রশ্ন বা টাস্ক আমরা পালটে দিচ্ছি। কিভাবে?
রোযার পবিত্রতা রক্ষার নামে, খাবারের দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করে, অন্য কেউ খাবার খেলে তাকে নিয়ে হাসি-তামাশা করে বা তার দিকে এমনভাবে তাকানো, যেন সে নরকের কীট!
(আমরা একটাবার ও ভাবছি না, অসুস্থ রোগী আছে, ছোট বাচ্চারা আছে, আছে দিনমজুর, এছাড়া ও আছে ভিন্নধর্মাবলম্বী, এ ছাড়া ও একজন মুসলমানের ও রোযা রাখতে না পারার অনেক কারণই থাকতে পারে)
তাছাড়া নিজে রোযা রাখলে যে অন্য কেউ আহার করতে পারবে না, জোর করে খাবার দোকান বন্ধ রাখতে হবে, খাবার ই এভেইলেবল করা যাবে না, এই ধরনের কোন ও আইন বা নিয়ম হাদীস কোরানে ও তো পেলাম না, রসূল (স) ও করছে বইলা পাইলাম না, তা আপনারা করছেন কিভাবে?
মানে কোন বিধান বলে?
এই যে পালটে দিচ্ছি, হাদীস কোরানে যা নাই, আল্লাহর নবী যা কয় নাই, করে নাই, আল্লাহপাক যা করতে কয় নাই, সেইগুলো আল্লাহ ও তার পেয়ারের নবীর নামে করছি, এইটারে কি বলবেন, খোদার উপরে খোদাগিরি?!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪৪