৭ম কিস্তির পর
গত পর্বে বাংলা ছবির নায়কদের নিয়ে লেখার কথা ছিল।কিন্তু ভূলেই গিয়েছিলাম।অনেকে মন্তব্যে সেই কথা স্মরন করিয়ে দিয়েছেন।যাই হোক,এই পর্বে বাংলা ছবির নায়ক,যাদের নিয়ে আমি কাজ করেছি,যাদের খুব কাছ থেকে দেখেছি,তাদের সম্পর্কে লিখব।এর পরের পর্ব গুলোতে আরো নতুন চমক আছে।সবাই সাথেই থাকবেন আশা করি।
আলেকজান্ডার বোঃ আলেকজান্ডার ১৯৭৩ সালের ১৯ নভেম্বর ময়মনসিংহে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন।তার বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে।আসল নাম নজরুল ইসলাম স্বপন।কিন্তু চলচিত্রে প্রবেশের সময় আলেকজান্ডার বো নাম ধারন করেন।১৯৯৫ সালে শহিদুল ইসলাম খোকনের "লম্পট" ছবির মাধ্যমে বাংলা সিনেমায় আত্নপ্রকাশ করেন।তখন শহিদুল ইসলাম খোকন নায়ক রুবেল কে নিয়ে একশন ঘরানার ছবি বানাতেন।একপর্যায় রুবেলের সাথে মনোমালিন্য হলে তার বদলে আলেকজান্ডার কে নিয়ে ছবি বানান শহিদুল ভাই।আলেকজান্ডার অভিনীত "ম্যাডাম ফুলি" ছবিটি জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার লাভ করলে তিনি সবার নজরে আসেন।আলেকজান্ডার প্রায় ১৫০ এর বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন,যার প্রায় সবগুলোই ব্যাবসাসফল।ফুটবল কারাতে দেখিয়ে আলোচনায় আসেন মার্শাল আর্ট এ চারবার ব্ল্যাকবেল্ট বিজয়ী এ অভিনেতা।মধ্যে কিছুদিন সিনেমা থেকে সরে গেলেও এখন আবার অভিনয়ে নিয়মিত হয়েছেন।খুব মিশুক টাইপের মানুষ আলেকজান্ডার।আমার থেকেবয়সে বড় হলেও আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
অমিত হাসানঃ বাংলা ছবিতে একসময় গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন অমিত হাসান।তার পুরো নাম খন্দকার সাইফুর রহমান।সিনেমায় প্রবেশ করার সময় অমিত হাসান নাম ধারন করেন।অমিত হাসানের জন্ম ৯ ই সেপ্টেম্বর,১৯৬৮ সালে,টাঙাইল জেলায়।৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতার এই মানুষটি তার ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৯৪ সালে।রঙিন উজানভাটি ছবিতে শাবনুরের বিপরিতে চমৎকার অভিনয় করে সবার নজরে আসেন তিনি।অনেক ব্যাবসা সফল ছবি উপহার দিয়েছেন অমিত হাসান।ক্যারিয়ারের অনেককাল তিনি নায়ক হিসেবে অভিনয় করলেও বর্তমান সময়ে খলনায়ক হিসেবেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি।আমার পরিচালিত সাবধান সন্ত্রাসী ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।কিন্তু ছবিটি ব্যবসাসফল না হওয়াতে পরে আর তার সাথে কাজ করা হয়নি।আলেকজান্ডার এর মত তিনিও বর্তমান সময়ে খলনায়ক এর ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
মেহেদী হাসানঃ মেহেদী হাসান এর জন্ম ১৯৭৭ সালে,কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়।মেহেদী হাসানের চাচা ছিলেন এফডিসির একজন হাই অফিসিয়াল।তার হাত ধরেই সিনেমায় আসেন মেহেদী হাসান,যার লক্ষ্য ছিল একজন ডাক্তার হওয়া।মেহেদী হাসান অনেক ব্যাবসা সফল ছবি উপহার দিয়েছেন।মেহেদীর সাথে ময়ূরী আপার জুটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।মেহেদী হাসান এখন অভিনয়ে নিয়মিত নন।
শাহীন আলমঃশাহীন আলমের সিনেমায় আসার ইতিহাস একটু ভিন্ন।পরিচালক এফ আই মানিক এর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন শাহীন আলম।একদিন শখের বশেই ছোট চরিত্র দিয়ে ক্যামেরার সামনে আসেন তিনি।সেই চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।সে থেকেই শুরু।এর পর অসংখ্য ব্যাবসাসফল হিট ছবি দিয়েছেন শাহীন।
সোহেলঃভক্তদের কাছে তিনি পিচ্চি সোহেল নামে পরিচিত।দেখতে ততটা লম্বা না হওয়ায় তিনি এই নামে পরিচিত হয়েছেন।সোহেল চলচিত্রে আসেন ২০০১ সালে নিষিদ্ধ আখরা ছবির মাধ্যমে।পরে আরো অনেক ব্যাবসা সফল ছবি দিয়েছেন তিনি।পলির সাথে তার জুটি জনপ্রিয় হয়েছিল।এর সূত্র ধরে পরে পলির সাথে তার প্রেমের গুজব শুনা যায়।২০০৮ সালের পর থেকে সোহেল আর সিনেমায় আসেননি।ব্যাবসা নিয়ে ব্যাস্ত সোহেলের একটি রেস্টুরেন্ট আছে আশুলিয়ায়।
(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭