somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেনা শাসন বন্ধ করতে চাইলে এখনই সময়

১৬ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেনা শাসন বন্ধ করতে চাইলে এখনই সময়

এলপিআর শেষে জেনারেল মইন দু’দিন আগে সেনাবাহিনীর তালিকা থেকে বাদ গেছেন।

শেখ হাসিনা ধনুকভঙ্গ পণ করেছেন তিনি মইনের গায়ে আচড় বসাবেন না। কেননা মইনের সাথে তার সে রকম লিখিত চুক্তি আছে বলেই লোকজন জানে। আর এটাও পরিস্কার মইন হাসিনাকে কেনো এত বেশী সিটে জিতিয়ে আসলেন! মইনের ২ বছরের কর্মকান্ডকে জায়েজ করার জন্য যদি দরকার হয় সংবিধান সংশোধন করা- সেটাও যেনো হাসিনা করতে পারেন। কিন্তু হাসিনা বড় চতুর জিনিষ! তিনি ২০০৭ সালে দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে বলেছিলেন ক্ষমতায় গেলে মইন সরকারের সব কিছু অনুমোদন দেবেন। কিন্তু না, হাসিনা তা করেননি। এমনকি মইনের সময় করা শতাধিক অধ্যাদেশের বেশীরভাগ আইনে পরিনত করেননি। এমনকি বহুল আলোচিত ‘ট্রুথ কমিশন’ অধ্যাদেশও না। তাহলে তো কিছু কথা থেকেই যায়!

২০০৭ সালে সেনা অভ্যূত্থান ঘটিয়ে মইন জরুরী আইন জারী করেন। যদিও আরো কয়েকবার এ কাজ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন তিনি। অবশেষে খালেদা-হাসিনাকে ২ রকম কথা বলে তিনি শান্ত রাখেন। দুজনেই মনে করেছিলেন মইন যা করছেন তা তাকেই ক্ষমতায় আনার জন্য করছেন। কিন্ত আসলে তা নয়। কয়দিন পরে আসল রূপটি দেখা গেলো।

মইন অপদার্থ, অথর্ব প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিনকে ভয় দেখালেন, খালেদার কবল থেকে আলাদা করলেন। অতঃপর ইয়াজউদ্দিনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রন করলেন। মইনের কথার বাইরে ইয়াজ এক পাও নড়তে পারতেন না, একটি কথাও বলতে পারতেন না। মইনের অভ্যূত্থানের সাথে যেসব সামরিক কর্মকর্তারা সাহায্য করেননি তাদের চাকরীচ্যূত করেন, এর মধ্যে এনএসআই প্রধান মেঃজেঃ রেজ্জাকুল হায়দার, ব্রিগেডিয়ার সোয়াহেল অন্যতম।

মইন তার লিখে দেয়া ভাষনে চার দলীয় জোট সরকার সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট ইযাজউদ্দিনের মুখ দিয়ে বলালেন,“সীমাহীন দুর্নীতি”। সারাদেশে জরুরী আইন জারী করালেন। পাবলিককে ভয় দেবার জন্য কারফিউ জারী করলেন। কাদের আটক করা হবে সে তালিকা তৈরী করা হয়েছিলো কয়েকমাস ধরে। ব্লকরেইড দিয়ে প্রথম ৫০ জনের তালিকার বেশীরভাগ রুই কাতলা ধরে ফেললেন। এদের চোখ বেধে ডিজিএফআইর ব্লাকহোলে নিয়ে শুরু হলো মারপিট-অত্যাচার। জনমনে ও রাজনীতিকদের মধ্যে দেয়া হলো ‘ডর চালান’। তারেক রহমানের বন্ধু মামুনকে ধরে নিয়ে এমন কেনো টর্চার নাই করা হয়নি। সে একপর্যায়ে ‘ডীপ কোমায়’ চলে যায়। ৯দিন কৃত্রিমভাবে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিলো তাকে। তার কাছ থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপির সকল মন্ত্রী-নেতাদের দুর্নীতি ‘কিসসা’ বের করা হলো। অন্যদিকে আওয়ামী শিবিরে ত্রাস সঞ্চারের জন্য ৭ মার্চ রাতে শেখ হাসিনাকে টেনে হিচড়ে আটক করা হলো। কোর্টে নিয়ে জেলে পোড়া হলো। ঐ একই রাতে তারেক রহমানকে আটক করা হলো। কয়েকমাস পরে ছোট ছেলে কোকেসহ আটক হন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।

দুই শিবিরে ভয় ধরিয়ে সারা দেশব্যাপী ধরপাকড়, ব্যাপক অত্যাচার-নির্যাতন চললো জোরেসোরে। তালিকা অনুয়ায়ী সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গকে সৈন্যরা ধরে নিয়ে যায় রাতের আ‍ঁধারে চোখ বেঁধে, যা ছিল পাকবাহিনী-রক্ষী বাহিনীর অত্যাচারের চেয়েও ভয়াবহ। ডিজিএফআইর সীমাহীন বলপ্রয়োগ জেনারেল মঈনের মূল শক্তিতে পরিনত হয়। এদের হাত থেকে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, আমলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র, পেশাজীবি, সাংবাদিক, সাধারন মানুষ কেউই রেহাই পান নি। ঐ অবৈধ সরকারের মানবাধিকার লংঘনের কাহিনী দেশে বিদেশে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনে বসানো হয় অবসরপ্রাপ্ত সেনাপতি জেনারেল হাসান মসহুদকে। তিনি নিয়োগলাভের সপ্তাহখানেকের মধ্যেই পাকিস্তানে সফর করে ফরমুলা নিয়ে আসেন কিভাবে জেনারেল পারভেজ মোশারফ রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করেছিলেন। সেই একই ফর্মুলায় ব্রিগেডিয়ার বারী ও ব্রিগেডিয়ার আমিনকে এসাইনমেন্ট দেন খালেদা-হাসিনা ২ নেত্রীকে রাজনীতি থেকে এমনকি দেশ থেকে বহিস্কার করার মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা লাভের পথে প্রতিবন্ধক হিসাবে চিহ্নিত করে প্রথমে কয়েক হাজার ব্যক্তির তালিকা করা হলেও নানা দেনদরবারের ফলে এ তালিকা ২২২ এ নামিয়ে আনেন জেনারেল মঈন। চুড়ান্ত তালিকায় নাম ঢুকানো ও বের করা নিয়ে বিরাট টাকার খেলা হয়েছে। শত শত রাজনীতিবিদকে রাজনীতির ময়দান হতে বাইরে রাখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ সকল রাজনীতিক-ব্যবসায়ী-আমলাকে মামলার আগেই আটক করে মারপিট-জিজ্ঞাসাবাদ, ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা, মামলা দায়ের করা, সর্বশেষে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। এমনকি অত্যাচারে কয়েক‘শ লোক মারা যায়। হাজার হাজার লোক পঙ্গু হয়ে যায়। তথাকথিত দুর্নীতির বানোয়াট মামলা বিচারের জন্য সংসদ ভবনের মধ্যে সেনা কর্মকর্তাদের তত্তাবধানে ক্যাঙ্গারু কোর্ট বসিয়ে বাইরে থেকে লেখা সাজা ঘোষনা করা হয়। এক্ষেত্রে অভিযুক্তরা যাতে আইনের সুযোগ না পায় তার সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন একটি প্লট গোপন রেখে রাজউক থেকে ২য় প্লট নেয়াকে জিম্মি করে মইনের সকল অপকর্ম জায়েজ করে নেয় সেনারা। উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে, এমনকি কোর্টের ক’জ লিস্ট মনিটর করতে একজন মেজর পদবীর কর্মকর্তাকে লাগিয়ে দিয়ে, রাতের বেলায় বিচারপতিদের বাসভবনে গিয়ে ব্রিগেডিয়ার আমিন রায় সম্পর্কে ডিক্টেট করে সেখানেও সেনা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়।

দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের ধরে এনে ডিজিএফআই কর্মকর্তারারা মারপিট করত, দিনের পর দিন আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে, মানুষের জীবন ও মান-সম্মানকে জিম্মি করে হাজার হাজার কোটি টাকা আদায় করে মাত্র ১২০০কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়। বাকী টাকা মইন-মাসুদ-আমিন-বারী সহ অন্যান্যরা সুইস ব্যাংক-ম্যাকাও-লন্ডন-আমেরিকায় পাচার করে। এমনকি শেখ হাসিনাকে আটক করার সময় সুধাসদন থেকে ৮ কোটি টাকা নগদ আটক করা হয় যা পুরোটাই মইন গায়েব করে দিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবহার করে এবং ব্যবসায়ীদের থেকে জোর করে সংগৃহীত টাকায় ডিজিএফআইয়ের তত্তাবধানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভাঙ্গা-গড়া, নেতৃত্ব পরিবর্তন করেন মইন। বিএনপির নেতৃত্ব হাইজ্যাকের চেষ্টা করে ডিজিএফআই। এমনকি এসব সভায় নেতৃবৃন্দকে অস্ত্রের মুখে হাজির করার জন্য ব্রিগেডিয়ার বারী নিজে উপস্থিত ছিলেন। সারা দেশ থেকে বিএনপি/আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য প্রার্থী/নেতাদের ডেকে এনে ৬০০ লোকের তাণিলকা করেন সংসদ নির্বচনের জন্য ও উপজেলা নির্বাচনের জন্য আরো হাজার খানেক লোকের তালিকা করেন। এদেরকে ঢাকায় এনে অনেকগুলো মিটিং করেন ব্রিগেডিয়ার বারী, আমিন, জেনারেল মোহাম্মদরা এবং মইনের পক্ষ্যে রাজনীতি করার জন্য চাপ/ লোভ দেন। মূলধারার রাজনীতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়ে ফেরদৌস কোরেশী, মান্নান ভূইয়া, জেনারেল ইব্রাহীম এব ব্যাক্তিদের দিয়ে নিজের জন্য রাজনৈতিক প্লাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য কিংস পার্টি গঠন করেন জেনারেল মঈন।

আন্তর্জাতিক মানদন্ডে প্রাধিকারভুক্ত না হলেও কেবল রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনার লক্ষ্যে মঈন নিজের পদকে লেঃ জেনারেল হতে ৪ তারকা জেনারেলে উন্নীত করেন। পত্র-পত্রিকায় ও মাঠে ময়দানে রাজনৈতিক নেতাদের অনুকরনে বক্তব্য প্রদান, হুংকার দিয়ে, বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষনা করে ফখরুদ্দীন সরকারকে ‘পুতুল নাচ সরকারে’ পরিনত করেন জেনারেল মঈন।

‘আমাদের সময়’ পত্রিকাটি পাঠকদের নিকট ডিজিএফআইয়ের পত্রিকা হিসাবে পরিচিত। এ পত্রিকায় জেনারেল মইনের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি তৈরীর লক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয় ওই সময়। এমনকি মইন প্রেসিডেন্ট হবেন বলে ১৭ ডিসেম্বর ২০০৭ সংবাদ ছেপে জনমত পরীক্ষা করা হয়। “নির্বাচনের আগেই পদ ছাড়ছেন ইয়াজউদ্দিনঃ সেনাপ্রধান মইন হতে পারেন নতুন রাষ্ট্রপতি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই রাষ্ট্রপতির পদ স্ব-ইচ্ছায় ছাড়তে পারেন অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। আর নতুন রাষ্ট্রপতি হতে পারেন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদ। রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেয়ার আগে জেনারেল মইন উ আহমেদ সেনাবাহিনী প্রধানের পদ ছাড়বেন। তবে সেনাপ্রধানের পদ ছাড়লেও রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক থাকবেন। একইসঙ্গে নতুন রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাও বৃদ্ধি করা হতে পারে। এ সবই বিভিন্ন সূত্রের আভাস।” এ বিষয়ে আইএসপিআর বা বঙ্গভবন থেকে কোন ব্যাখ্যা বা প্রতিবাদ করা হয় নি।

সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা লংঘন করে ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত আইনকে অমান্য করে হোটেল শেরাটনে আয়োজিত রাজনীতি বিষয়ক সেমিনারে রাষ্ট্রপতিকে হাজির করে মূল বক্তা হিসাবে রাজনৈতিক নীতি নির্ধারনী বক্তব্য দেন মইন- যাতে রাজনীতিকে পরিবার মুক্ত করার, নিজস্ব ব্রান্ডের রাজনীতি চালুর ঘোষনা দেন। উনি কে রাজনীতি ঠিক করার?

জেনারেল মঈন রাষ্ট্রপ্রধানের ন্যায় ভারত সফর করেন। বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত যাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে জেনারেল মইন সেরকম একজন জেনারেল। তাহলে উনি তিনি কোন দেশের সেনাপ্রধান, বাংলাদেশের না ভারতের?

বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিলের স্ত্রীর নিকট হতে পাচারের সময় বিমানবন্দরে আটক ৬ কোটি টাকা আত্মস্যাৎ করেছেন মইন।

জেনারেল মইন ট্রাষ্ট ব্যাংকের ৯৯,৬৯,২১২/- টাকার ব্যক্তিগত ঋন হতে ১ বছরের মধ্যে ৬৬ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছেন ব্যাংকের প্রোসপেক্টাসে লেখা রয়েছে। কিন্তু তা নিয়েও তিনি মিথ্যাচার করেছেন একটি বাহিনীর প্রধান হয়ে। অন্য কেউ একাজ করলে তার ১৩ বছর জেল দিয়েছেন তিনি। এ টাকা তিনি কোথায় পেলেন। দুর্নীতির টাকা নয় তো?

নিজের ইউনিফর্ম পরা সরকারী ছবি দিয়ে সরকারের অনুমতি ছাড়াই নিজের নামে বই প্রকাশ করেছেন মইন। সেনসিটিভ ইস্যু এবং রাষ্ট্র্রের গোপন তথ্যাদি বইয়ে ছেপে জনগনকে বিভ্রান্ত করে রাষ্ট্রের আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন।

বাফুফের জন্য মাঠ ও টাকার সংস্থান করতে গিয়ে জেনারেল মঈন খুনের মামলার পলাতক আসামী ও সাজাপ্রাপ্ত বসুন্ধরার মালিক শাহআলমকে পাশে বসিয়ে যে অনুষ্ঠান করেছেন, তা পরিস্কার আদালত অবমাননা।

পিলখানার মর্মান্তিক ঘটনাটি ভারতের চাহিদা মত ঘটাতে পূর্ন সহায়তা দিয়েছেন মইন। এক ঢিলে ৩ পাখি মেরেছেন। এক. ভারতকে খুশী করে বিডিআর ধ্বংস করেছেন। দুই. ঐ সময়ে মইনের বিরুদ্ধে সংসদে চলমান বিতর্ক থামিয়ে দিতে পেরেছেন। তিন. যেসব আর্মি অফিসার তার অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে সাক্ষ্য হতে পারে তাদের একসাথে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে পেরেছেন। ২৫ ফেব্রুয়ারী বিডিআর বিদ্রোহ দমনে মইনের রহস্যজনক নীরবতাকে সাধারন সেনা সদস্যরা ও জনগন তাকে খুনীদের দোসর হিসাবেই দেখছেন।

জরুরী আইনে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরন করে কেবল জেনারেল মইনকে রাজনীতি করার কোন অনুমতি দেয়নি। এমনকি যা ইচ্ছা তা করার ও বলার লাইসেন্স তাকে দেয়া হয়নি। অথচ তিনি সবই করেছেন।

দু’বছরে একজন ব্যক্তির অন্যায় অভিলাস চারিতার্থ করতে গিয়ে সৈণিকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ-মহড়া বন্ধ রেখে মাঠে ময়দানে ব্যস্ত রাখা হয়। রাজনৈতিক ও আর্থিক অনিয়মসহ নানাবিধ অভিযোগে দুষ্ট হয়ে এ ঐতিহ্যবাহী বাহিনীর পেশাদারিত্ব ধ্বংস করেছেন।

শেষ কথাঃ
শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে উ‍ঁচু গলায় কথা বলেন সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে- জেনারেলদের রাজনৈতিক খায়েশের বিরুদ্ধে। জানিনা নেত্রী এটা মিন করেন কি না। যদি তাই করেন- তাহলে এখনই সময়- মাহেন্দ্রক্ষন। মইনের সাথে লিখিত চুক্তি যাই থাকুক না কেনো, মইনের ২ বছরের অপরাধ/অপকর্মের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে বিচার করে অবিলম্বে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে লটকিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করুন। একবার চেষ্টা করুন না প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। দেখেন পারেন কিনা সিভিল শাসন কায়েম করতে? অন্যথায় আপনাকে যে পদচ্যুত করবে সে ঠিক আপনার পিছনেই খাড়া।

জুন ১৬, ২০১০।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ২:৫২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×