বেশ ধর্ম বিমূখ সাথে গল্প প্রেমী মানুষ প্রলয় ভাই।
টুয়েন্টি নাইনের দুইটা গেম শেষ হতে হতে পাঁচটা গল্প শেষ হয় প্রলয় ভাইয়ের।
জ্বলন্ত সিগারেট মুখে নিয়ে বসতে বলল প্রলয় ভাই।
কার্ড খেলতে খেলতে সানি বলল,” ভাই জাতি যতই সভ্য হচ্ছে ততই অলস আর অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। “
শুরু হলো বিপত্তি।
প্রলয় ভাই বলে উঠলো,”দেখ সভ্য করেছে আমাদের জীবনের বাস্তবটা কোন ধর্মীয়ও বিশ্বাস না।”
কথাটা হজম করতে না পারলেও তর্কে না গিয়ে কারণ জানতে চাইলো মুবিদ।
“ভাই কেন মনে হয় সভ্যতা পরিবর্তনে ধর্মের অবদান নেই?”
শুরু হল বিতর্ক, বিতর্ক লম্বা চলবে বুঝে এই সুযোগে সানি প্রলয় ভাইয়ের প্যাকেট থেকে একটা সিগারেট বের করে জ্বালিয়ে নিলো।
প্রলয় ভাই শুরুতে প্রশ্ন করলো জানিস, “পৃথিবীর প্রাচীন ধর্ম কি?”
“সনাতন “বলে উঠলো সানি।
“কতোগুলো দেবতা দেবী আছে সনাতন ধর্মে, আর শুরুর দিকের কইটার নাম বল কেউ ।”
আবির উত্তরে বলে উঠলো,”হাজার খানেক তো হবে।
আর শুরুর দিকে সূর্য, চাঁদ, নদী এগুলোর পূজা করতো কিন্তু কেন বলতো প্রলয় দ্যা।”
“সেটাই আসলে মানুষ সেই জিনিষেরও পূজা করতো যাকে ভয় পেত অথবা যার কাছে ভয় থেকে মুক্তির রাস্তা পেত।”
এতোক্ষণে খেলা শেষ সবাই গল্প শুনতে বেশ আরাম করে গুটি মেরে বসলো।
“একটু খুলে বলবে প্রলয় দ্যা “, বলল রাকিব।
“দেখ শুরুটা করি অন্ধকার নিয়ে।
মানুষের প্রথম ও প্রাচীন ভয় ছিল অন্ধকার, দিনের শুরুতে দেখলো সূর্যের আলো অন্ধকার দূর করে মানুষ পেলো প্রথম দেবতা সূর্যদেব।
তারপর যখন দেখলো আগুন অন্ধকার দূর করে আসলো অগ্নিদেব।
এভাবে মানব-দানব, পশু-পাখি, গাছ, সহ সাদৃশ্য সব কিছুর অবয়ব বানিয়ে পূজা করা শুরু করলো তারা।
একটা সময় সাদৃশ্য ব্যাপার গুলো সমাধান দিতে সক্ষম না হওয়ায় অদৃশ্যে বিশ্বাস আনল মানুষ।
এবার আসি সভ্যতার পরিবর্তনে, একটা সময় মানুষ ক্ষুধা নিবারণের জন্য ফলমূল যথেষ্ট নয় বুঝতে পারলো মানুষ।
পশু শিকার শুরু করলো, পশু শিকারে প্রাণের ঝুঁকি অনূভব করায় গোত্রে বসবাস শুরু করলো তারা বেঁচে থাকার তাগিতে।
জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে খাদ্য সঙ্কট দেখা দেয় মানুষের।
নদীর পানি জমিনে ঢেলে আবাদ করা সম্ভব আবিস্কার করলো ক্ষুধার্ত জাতি।
এর পর নদীর পার ঘেঁষে আবিস্কার হল নতুন বেশ কিছু সভ্যতা।”
বলে হাপ ছেঁড়ে একটা সিগারেট ধরালো প্রলয় দ্যা ।
অন্যান্য পর্ব সমূহ
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১২