আওয়ামিলীগের জন্য গত কাল রাত একটা বড় রকমের ধাক্কা ছিল। তারা ভেবেছিল ছয় মাস যেহেতু পার হয়ে গেছে এবং বর্তমান ইউনুস সরকার তাদের আশা অনুযায়ি কাজ করতে পারছে না, এই সুযোগে তারা মাঠে নামতে পারে। কিন্তু তারা ভাবতেও পারি নি যে শেখ হাসিনার লাইভের প্রতিক্রিয়া এভাবে হবে। মূলত তাদের প্লান ছিল শেখ হাসিনার লাইভে এসে কথা বলবে সেই কথা দেশের মানুষ শুনবে। এবং এর প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে তারা দেশে কর্ম কান্ড বাড়াবে বিশেষ করে দেশে থাকা তৃণমূলের মনোবল ধরে রাখার জন্য এই ব্যাপারটা খুব জরুরি। কিন্তু এই ভাবে ছয় মাস পরেও যে ছাত্র জনতা আবার মাঠে নেমে এর প্রতিক্রিয়া দেখাবে সেটা সম্ভবত তারা ভাবতেও পারে নি। যদি আগে তারা এটা ভাবতে পারত তবে এখনই এমন কাজ করত না।
কিন্তু এই ২০২৪/২৫ এ এসে তাদেরকে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে যে পালায় না বলে বড়াই করা তাদের নেতৃত্ব কেন পালাইছে। এই প্রশ্নের উত্তর সাধারণ মানুষের থেকেও তাদের তৃণমূলের কাছে দিতে হচ্ছে। এটার কোন উত্তর তাদের কাছে নেই।
পলায়ন লীগ নেতাকর্মীদের আশা ভরসা দেয়ার চেষ্টা করছে বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত অনলাইন এক্টিভিস্টরা। এদের একটা বড় অংশ আবার লীগের আমলেই জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কারণে বিদেশ পালাইছে। খোদ নিজের দলের মানুষই তাদের দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করছে। এই রকম অনেক নেতা কর্মী আপনারা পাবেন । এরাই এখন অনলাইনে লীগ ফেরার চেষ্টায় আছে।
চেষ্টায় কত টুকু কাজ হচ্ছে সেটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। এদের এই হুমকি ধামকি দেওয়া পর্যন্তই সার। এমন কি আওয়ামিলীগ যদি কোন কালে ফিরেও আসে এই আগে থেকে দেশ ছাড়া অনলাইন এক্টিভিস্টরা কোন দিন দেশে ফিরতে পারবে না। এদের হুমকি ধামকির ফুটো পয়সারও দাম নেই।
এতোদিন লীগকে প্রটেকশন দিয়ে এসেছে শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি জগতের গ্রুপ। তবে জুলাই ম্যাসাকারের সময়ে এই গ্রুপের অনেকেই তাদের সঙ্গ ত্যাগ করেছে আর যারা এখনও চেটে চলেছে তাদের পাব্লিক ধইঞ্চা বানায় দিছে। এরা দল ছাড়া। এদিকে হিন্দু টার্ম কার্ডও আর নেই আগের মত। কোন কিছুই তাদের আসলে পক্ষে নেই। দেশে রাস্তায় শক্তি প্রদর্শন করতে না পারলে দেশের রাজনীতিতে কোন স্থান নেই সেটা তাদের খুব ভাল করেই জানা।
রাস্তায় নামার তো তাদের সাহস নাই, এই সফট পাওয়ারগুলোও তাদের কোন কাজে আসছে না। তাদের কোন ধারণাও ছিল না যে দেশের মানুষ এভাবে হাসিনার প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করবে। এটা তাদের ধারণার বাইরে ছিল। এবং এটা আবার হবে । যখনই হাসিনা আবার লাইভে এসে ভাষন বা অন্য কিছু করার চেষ্টা করবে আবারও এখনই ভাবে মানুষজন প্রতিক্রিয়া দেখাবে। হাসিনার এখন সব থেকে ভাল কাজ হচ্ছে একেবারে চুপ থাকা। অন্তরবর্তি সরকার তাদের কাজ করতে পারছে না, এদিকে বিএনপি চাঁদাবাজি শুরু করেছে। বৈষম্যরা নিজেদের ভেতরে পুন্দাপুন্দি শুরু করছে। এটা এখন তাদের চলতে দেওয়া উচিৎ। হাসিনার কথা বলা মানেই এরা সব কিছু ভুলে আবার এক সাথে হাসিনার প্রতিক ঘৃণা দেখানো শুরু করবে। হাসিনার ফেরা আবারও পিছিয়ে যাবে।
আর লীগের লোকজনের সামনেও একটা বড় প্রশ্ন এসে দাড়িয়েছে। তারা শেখ হাসিনাকে চায় নাকি আওয়ামিলীগকে ?
আওয়ামিলীগের ফেরা হয়তো সম্ভব তবে শেখ হাসিনাকে নিয়ে আওয়ামিলীগের ফিরতে তাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে। এতো সময় তারা অপেক্ষা করতে পারবে তো?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


