আওয়ামী লীগের রাজপথে “শক্তি” নিয়ে আমরা জন্ম থেকে একই গল্প শুনে আসছি। গত দেড় বছরে তার জ্বলজ্বলে নমুনা দেখলাম। ফেসবুকে পোস্ট করা ৩০ সেকেন্ডের মিছিলের ভিডিওগুলো দেখলেই বোঝা যায় তাদের “সাহস” কতটা। মিছিল বের করে দৌড়ানোর স্টাইল দেখে মনে হয় যেন কেউ পকেটমার করে পালাচ্ছে। মাত্র আধ মিনিটের মিছিল করতেই পেছন থেকে লাল সুতা বেরিয়ে আসে, তবু ফেসবুকে এমন হুমকি দেয় যেন পুরো দেশ দখল করে নেবে!
১৯৭৫-এ শেখ মুজিবকে হত্যার সময় রক্ষীবাহিনী ছিল ১৬ হাজারের মতো। তাদের হাতে আধুনিক অস্ত্র, সেনাবাহিনীর চেয়েও বেশি সুবিধা। তোফায়েল আহমেদের অধীনে রক্ষীবাহিনী, আব্দুর রাজ্জাকের অধীনে বাকশালের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, গ্রামে-গঞ্জে হাজার হাজার কর্মী। অথচ সেদিন একটাও প্রতিবাদ ওঠেনি। একটা ছোট্ট প্রতিরোধও হয়নি। কারণ তাদের শক্তি কখনোই জনগণের মধ্যে ছিল না—শুধু ক্ষমতার কেন্দ্রে। ক্ষমতা চলে গেলেই সব শেষ।
আর এখনও অনেকে বলে, আওয়ামী লীগ নাকি দেশ স্বাধীন করেছে। না, দেশ স্বাধীন করেছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আর মুক্তিযোদ্ধারা। আওয়ামী লীগের কখনোই সেই সাহস ছিল না যে একা সামনে দাঁড়াবে। কেউ এগিয়ে গেলে পেছন পেছন এসে হাজির হয়, তারপর ক্রেডিট নিয়ে বসে। কেউ প্রতিবাদ না করলে বাঘ সেজে ডাক দেয়, আর সামনে কেউ সাহস করে দাঁড়ালেই লেজ গুটিয়ে পালায়।
এখন অনলাইনে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে অনেকে। বুক ফুলিয়ে লেখে যেন কী না কী। কিন্তু বাস্তবে তাদের বাপেরও সাহস নেই বাংলাদেশে এসে এক মিনিটের মিছিল করার। ইউনূস সরকার যদি রাজনীতি করার অনুমতি না দেয়, এরা কিছুই করতে পারবে না। ২০২৬-এ বিএনপি জিতলে হয়তো একটু আশা জাগবে যে কোনোদিন আবার ফিরতে পারবে। কিন্তু যদি আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিনিধি জিতে যায়, তাহলে এদের কুকুরের মতো দৌড়ের ওপর রাখা হবে।
শেখ হাসিনা নিজেই এদের ভালো চেনেন। তিনি জানেন, গদি চলে গেলে আওয়ামী লীগের সবাই কুকুরের মতো পালাবে। তাই তো দেশে থাকেননি, ভারতে চলে গেছেন। যদি সত্যিই দলের ওপর ভরসা থাকত, তাহলে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে আশ্রয় নিতেন। তিনি যে ভুল করেননি, সেটা এখন সবাই দেখতে পাচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



