০৯/১০/২০১০
আমার আসমানী এখন আমাকে অনেক কিছু শিখাচ্ছে। সে তাকে ভুলে যেতে বলছে। সে এও জানে যে, আমি পিচ্চি দের মতো, আমাকে মুখের কথায়ই কাজ হয়। তাই সে খুব সহজ নিয়মে আমাকে শিখিয়ে দিচ্ছে কিভাবে তাকে ভুলে যাবো। সে বলছে, দ্যাখেন, মানুষের জীবনে এরকম অনেক কিছু ঘটে, এগুলো মনে রাখলে চলেনা। আমি একটা মেয়ে মাত্র, আর দশটা মেয়ের মতোই, মেয়েতো মেয়েই।
আসমানী, আমি পিচ্চি, বড় পিচ্চি। তুমি তোমার ভুল বুঝতে পেরে আমার ভুলও ভাঙ্গাতে এসেছো। তুমি এখন বুঝতে পারছো যে, ছেলেতো ছেলেই, ও-ও তো একটা ছেলে আর এখন যার বুকের মধ্যে থাকো সেও একটা ছেলে। অথচ এতদিন তুই অরজিনালিটি’র কত কি-ই না জানতি না! বুকা মেয়ে!
আসমানী, তোর শেখানো কথাটা এখন সত্যই জানি আমি। মেয়ে মেয়েই। শরীরের, বয়সের পার্থক্য ছাড়া একটা মেয়ে থেকে আর একটা মেয়ের তেমন পার্থক্য কই? আছে? তুইইতো না বললি।
আর একটা কথা বলি। আমি ফোন দিলে তুই রাখার কথা ক্যান বল? কথা বলতে ইচ্ছে লাগেনা? পরীার যে কয়দিন ফোন দিলাম ৩৮ সেকেন্ড, ৪০ সেকেন্ড পরই বল, রাখি!
আমিও বলি, আচ্ছা রাখ!
সেদিন হলো কি শোন? দ্বিতীয় পরীার দিন। আমিতো ১টা থেকে ট্রাই করি। পরীার জন্য না, এম্নিতেই কথা বলতে ইচ্ছা করছিলো। ২টোর দিক ঢুকলো। তুই কেটে দিলি। যখন কাটলি তখনই আমার ভিতরও বরাবরের মতো কাটা পড়ল। ভাবলাম, ভাইকে ফোন করে জানাবি- এইসব টেইসব। পরে যখন বললি যে, স্যারকে ফোন করে জনালি পরীা কেমন হলো- শুনে কেমন যে লাগলো!
ইচ্ছে করেই ৬ তারিখের আগে ফিরে গেলাম। তখন এমনটা হলে আমি কেমন করতাম। অভিমানে কি কি বলতাম তার একটা হিসাব করলাম ফকিরাপুল এর মসজিদের রাস্তায় হেটে হেটে।
বলতাম –‘‘টানা ৪ ঘন্টায় কথা বলিনি। সেই হিসাবতো নিজের নেই। এরপর বের হয়েও ফোন দিবার নাম নেই। নিজেতো দিলোই না, আমি দিলাম তাও কেটে দিল। স্যারকে ফোন করাটাই তার কাছে জরুরী ব্যাপার। আমাকেতো ৩৮ সেকেন্ড পরেই রেখে দিত। তো সেই ৩৮ সেকেন্ড স্যারকে বলার আগে বলা যেতনা! অথচ আমার সব কটা পরীায় হলে ঢোকার আগেও তারে বের হয়েই তারে! আমিতো গাধা, বলদ’’
ছোট মানুষতো, তাই ছোটদের মতোই চোখে পানি আসল। অবশ্য আজকে তেমন অসুবিধে হলোনা। ফকিরাপুলের মসজিদের রাস্তার পাশের একটা চিপার মধ্যে দিয়ে হাটছিলাম। লোকজন ছিলনা, কেউ দেখেনি। পরে ওজুর পানি দিয়ে মুখ মুছে ফেললাম। নিজেরে বললাম, এই ছ্যাড়া, আবার কান্নাকাটি করছোস?
বললাম, না! কান্নাকাটি করবো ক্যান! মেয়েতো মেয়েই! তাদের জন্য আবার কান্নাকাটিটা কিসের!
গান শুনবি? ঐ যে আগে রাতে যেমন করে শুনাতাম। ফোন স্পিকারের কাছে রেখে.............. শুনবি?
তোকেতো এখন আর আদর করে কিছু ডাকা যাবে না, যাবে? ক্যামন একটা ব্যাপার, ঠিকনা?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




