০১.০১.২০১১
এরকম দিন আমার অনেক গেছে, আমি রোড ভুলে ল্যাব থেকে স্টুডিওতে, স্টুডিও থেকে বুক ভিলায়, কলেজ মোড়ে না গিয়ে নথুল্লাবাদ গিয়ে কলেজের কথা মনে পড়েছে। আমি টয়লেটের দরজা খুলে ভুলে তোকে এসএমএস টিপেছি। তিন টা বছর আমার মাথায় তুই বাদে মৌলিক কিছু কখনো আসেনি। তিনটা বছর আমি শুধু পাগলের মতো তোকে কল করেছি, কল রিসিভ করার জন্য মিনতি করেছি। এসএমএস দিয়ে রেখেছি ডেলিভারী রিপোর্ট দেখে বুঝব কখন ফোন খুললি, কল দিব, কথা বলবো। বাংলা লিংকের বছরে ১২ বারের পরবর্তন করতে দেয়া এফএনএফ খুইয়েছি আমি ১ মাসের । আজ খালা বাড়ি তো খালার বাংলা লিংক এফ এনএফ করেছি, কাল মামা বাড়ি, মামির বাংলা লিংক, পরশু সে বাড়ি অপরিচিত কোন নাম্বারে এফএনএফ। কলেজ গেট থেকে নথুল্লাবাদ হেটে এসে আইটপ করেছি, হিসেব করেছি ৩৩ মিনিট কাছে রাখার সহজ নিয়ম। রিক্সায় চড়িনি পথ দ্রুত শেষ হলে কথা বলা হবেনা, তাই রোদেও হেটেছি। রোদে হেটে গিয়ে তোর দেয়া ক্রিমে মুখ আয়নায় নিয়ে আবার এও ভেবেছি, সত্যিই যদি তুই কোন দিন ভুলে ভালে আমাকে ভালো বেসেই ফেলো, তুই ঠকে যাবিনাতো?
সেই তুই চলে গেলিতো গেলি, সেই যাওয়া নিয়ে কতকথা লিখে রেখেছি ব্লগে। যখন একটু রিকোয়েস্ট করি যে, এতবড় একটা ঈদ গ্যালো, একটা ফোন দিলিনা। এইরকম তো কথা ছিলনা। নিজ থেকে তোকে বলি, আমাকে ফোন দিস। সেই কথার পরও আজ ১টা মাস হয়ে গেলো, একটা ফোন দিলিনা। তাই তোকে বলছি, আর কোন দিন আমাকে ফোন দিবিনা। আজকে যেমন আমি ফ্রি হয়ে গেছি, সব কষ্ট ভুলে যাওয়ার নিখুত অভিনয়ে তোর সাথে কথা বলেছি, ঠিক এরকম করে না হোক, যেমন করে পারি, যখন আর সহ্য করতে পারবনা এমন কোন মুহুর্তে আমিই ফোন দিব। তোর এত কিছুর পরও আমি তোকে ফোন দেই কেন জানো? প্রথমত আমি একদমই ভুলতে পারছিনা দিনগুলো। এড়াতেও পারছিনা, তোকে ভুলতে তোর মতো কাউকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার অভিনয়টাও আর করতে ইচ্ছে করেনা। আজকে আমি তোকে ভুলে আর একজনের সাথে যখন কথা বলতে পারছি পরশুতো তাকে ভুলে আবার আরএকজনকে ধরতে পারবো, তারপরও আর একজনকে। এরকম ভাবনা চলে আসে, নিজেকে খুব বাজে মনে হয় তখন। পৃথিবীতে অরজিনিটি বলে আর কিছু পাইনা তখন। তারপরও আমি বাসবো, অন্য কারো সাথে থাকবো সত্য কথা, একদমই সত্য কথা। যখন এইসব ভাবনা আসে তখনও তোকে গালি দেই। অল্প কিছক্ষণ দিয়ে আবার বলি, না, ওতো প্রথমেই বলে নিয়ে শুরু করেছে যে, ও থাকতে পারবেনা। তাই আবার চুপ করে থাকি, এই চুপ করে থাকা যে কি কস্টের আসমানী!
আমি আরিফকে ফোন দিয়ে ওর কথা যতটা জানতাম তার থেকে তোর কথা জানার উদ্দেশ্যটাই বেশি ছিল সব সময়। কখনো আরিফকে সরাসরি তোর কথা জিজ্ঞেস করতাম না, কিন্তু খুব করে চাইতাম তোর কথা কিছু বলুক। এমন একটা ব্যাপার আসমানী, যেদিন তোর কথা ও বললো না, সেদিনও খুব খারাপ লাগতো আবার যেদিন বললো, তোর মাথা ব্যাথা বলে তোর বর তোকে বরিশাল যেতে নিষেধ করেছে বা এইটাইপের কোন কথা- সেদিনও আমার কস্টের সীমা থাকতো না। তারপর তুই একদিন বললি, আমি আরিফকে ফোন দেই- তোকে দেই না- তোর কষ্ট লাগে। আমার শুনে খুব ভালো লাগলো। এরপর আর ওকে প্রয়োজন ছাড়া আরিফকে ফোন দেইনি। যেই তুই আমার থাকাকালীনই যেই উপায়ে তুই কস্ট পেতে পারো এমন বিষয়গুলো সব সময় খুব সতর্কতর সাথে এড়াতাম আর তুই নেই এখন আর শুধু শুধু তেকে কষ্ট দিয়ে লাভ কি! আসলে আমি বড় টাইপের বোকা, অথবা যারা এরকম একজনকেই বাসে তারাই এরকম গাধা হয় কিন্তু এমনটা হওয়া খুব কস্টের আসমানী। বিশ্বাস কর, এটা যে কী কস্টের তোকে এ অবস্থায় না ফেললে তুই কোনদিনই বুঝতে পারবিনা, তুই ক্যান কেউই কোনদিন বুঝতে পারেনা। সল্টেজ বিস্কিট খাবি?
আমি সহ্য করতে পারিনা ক্যান আসমানী? এটাতো সহজ ব্যাপার!
তুই যেমন করে হোক ৩ বছর পার করছো, আর আমি আমার বুকের যন্ত্রনা দিয়ে, খুব কস্টে তোকে পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে শেষ করেছি। তোর কাছে এ দিনের মূল্য আর দশটা দিনের মতো হলেও আমার কাছে এর অনেক মূল্য। আমি কখনোই ভাবিনা, আজকের তুই আমার সেই সময়ের আসমানী। যখনই আমি সেরকম ভাবতে যখনই আমি তোকে গালি দেই, আমি আর সহ্য করতে পারিনা, আমার চোখে পানি এসে যায়।
আজকে খুব হেসে হেসে আমি তোর সাথে কথা বললাম। তোর ভালো লাগার জন্যই। কিন্তু আমি জানি, তুই যদি ঐ সময়টার মূল্য দিতে চাও তুই কখনোই চাবিনা আমি এরকম করে কথা বলি বা আগের কস্ট ভুলে যাই। আমি যেতে পারিনা। তোকে আমি বলে বলে সবই শিখিয়েছি, তারপরও এত কিছু বাকী রয়ে গিয়েছিল আমি বুঝিনি। অথবা এরকম বাকী থেকেই যায় যা আমার বোঝার বাইরে ছিল। সবচেয়ে অবাক লাগে কি জানো, ঐ যে একদিন বললি না, ‘‘ দাদা এসব ভুলে যা, এরকম কাহিনি জীবনে কত শত আসে! এসব কিছুনা’’। আমিতো অবাক! বিশ্বাস কর, আমি চিন্তাও করতে পারিনি তুই অন্তত এমন করে বলতে পারবি! যখন আমাকে শেখাতে লাগলি, মেয়ে মেয়েই। আর দশটা মেয়ের শরীর যেমন আমারও তেমন, ওদের যেমন পুরুষ দমনের সাধ্য আছে তেমন আমারও আছে, আর দশটা মেয়েও ঠিক এমন করেই করে। এসব ভেবে ভেবেই তোকে ভুলে যেত বললি। এটাই ঠিক এখন। আমার সমস্যা হচ্ছে আমি তেমন করে, বা তোর মতো করে অন্য কারো সাথে মিশিনি বলে এমনটা।
পৃথিবীতে এখন আর আমি সম্ভাবনার বাইরে কিছুই রাখিনা। কাউকে রাখিনা। আমি এখন সব বিশ্বাস করি। আমাদের প্রত্যেকেরই এবিলিটি আছে প্রত্যেক রোলে অভিনয় বা রিয়েলিটি সো করার। মানুষ পারেনা এমন কোন কিছু নেই আর। আসমানী, আমার বোধ হয় এটা দরকার ছিল। আমি এটা অন্য কারো কাছ থেকে পেলেও হতো, তবে তোর কাছ থেকে পেয়ে শিক্ষাটা পোক্ত হলো। তোর দেয়া শিক্ষাটা খুব করে গায়ে মাখলাম, মেখে গেলো।
তোর চোখে এখন অণ্য ভুবন, রঙিন স্বপ্ন, আমি চাই সব স্বপ্ন তোর পূরন হোক। আমিও চাই আমারও সব স্বপ্ন পূরণ হোক। আমি আল্লাহর কাছে আর একটা তিনবছর চাই। আমি সেরকম একটা তিনবছর চাই, এরপর আমার মতো করে আমি তোকে মিনতি করাবো, সারাদিন আমার চিন্তায় তোর ভাষা চোখ এমন ভিতরে ঠোকাবো কারোর কাছেই তুই সুন্দর হবিনা, তোকেও মোবাইলের ব্যাক আপ ব্যাটারী রাখতে হবে, হেটে হেটে যেতে হবে রিক্সায় চলার পথ গুলো, তোর মধ্যে আমার সব যন্ত্রনার একটা স্টেশন তৈরে হোক এমন দোয়া করে আমি তাহাজ্জুতের মোনাজাতে কান্নাকাটি করবো। এসববের পর আমি চলে যাবো তোর মতো করে, তারপর বলতে থাকবো তোর বলা কথা গুলো। এরপর এরকম করে যাবে আমার বিয়ের প্রথম বছর। আমার বিয়ের সুন্দর ছবিটা আমি তোকে দিয়ে সুন্দর করে তোলাবে, বিয়ের ভিডিও দেখাবো রিকোয়েষ্ট করে, ভিডিওর সুন্দর ছবিটার ৩ কপি করে পাঠাতে বলবো জোর অনুরোধে।
মনে মনে ছেলের কি নাম দিছো?
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ২:২১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




