১০.০১.২০১১
সেইতো ৬ তারিখ গেল। ৭,৮,৯ তারিখ গুলোও একদম সারা শব্দ ছাড়াই গেল। ১০ তারিখ কি এক প্রসংগক্রমে যখন বললি, সেও তোরে খুব ভালোবাসে, তবে আমার মতো না।
আমি চুপ করে থাকি। ৬ তারিখের পর আমি চুপচাপই থাকতাম। বুঝলাম, শরীরের ভালোবাসা আর বছর বছর জমানো মুখের, বুকের ভালোবাসার মধ্যে কত তফাৎ! তারপর এই শরীর নিয়ে ব্লগে আমি অনেক লেখা পড়লাম। সবারই এক কথা, শরীরই সব। এজন্যই ঐ কবিতায় লিখেছি, ‘‘সুখের সংগায় প্রচলিত সব রেখে যদি শরীরকেই প্রধান করে একখানা অখন্ড সংগা দাড় করাই তাতে কি গোস্যা করবি?’’
আর কবিতা!
ভাবতে লাগলাম, ৩ দিনের শরীরীয় সুখ কত সহজেই থেকে থেকে জমানো ৩ বছরের ভালোবাসার সাথে তুলনীয় হয়ে উঠলো! তখন আর কিছু ভালোলাগে না আসমানী। মানুষের যে কত কষ্ট হতে পারে আমি বুঝতেছি। হারে হারে বুঝি। বিশ্বাস কর আসমাণী, এই কথাগুলো কি পরিমান কষ্ট দিতে পারে আমার মতো যারা স্রোতা তারা ছাড়া কেউ কোনদিন কোনভাবেই বুঝবেনা। আজকে ১০ মাস ৪ দিন। এখনও আমার যখনই এইসব কথা মনে আসে আমার যে কেমন লাগে! ঐ যে নিজেরে গালি দেই, গাধা বলি, ঐসব বলি, এইসবের জন্যই। এত করে চেস্টা করি তোর বিষয়টা ভুলে থাকার জন্য, তারপরও সারাদিনে যদি ৫০ মিনিট কোন কাজ ছাড়া থাকি, ৪০ মিনিট তোরে, তোর কথা, আগের কথা, এইসব আসে। নামাজের মধ্যে বসে সব থেকে বেশি আসে। তখন বুঝি যে, কি নামাজ হচ্ছে আমার!
ইদানিং আমার একার উপর ব্যবসার চাপ পড়ছে। তাই ব্যবসার ভালো মন্দ নিয়েই চিন্তা করতে হয়। অবসরে ব্যবসার চিন্তা করি। সেখানে যখন ভালো ফিউচার না দেখে টেনশন হয় তখন ভাবি, তুই গিয়ে ভালোই করছিস। তোকে কেমন না কেমন রাখতে পারতাম কে জানে! জোরাজুরি করে নিয়ে যদি সেরকম না রাখা যেত নিজেকে খুব দোষী দোষী লাগতো। এত করে এনে কি খাওয়াচ্ছি, কি পরাচ্ছি!!
আমার লেখার একটা বৈশিষ্ট কি জানো? আমি কিছু বিশেষন প্রায়ই ডাবল করি। এই যেমন, থেকে-থেকে, দোষী দোষী এইসব। বদ অভ্যাস এটা। যদি কোনদিন আমার লেখা পড়ার সুযোগ হয় তখন নিচে কমেন্ট করে শুদ্ধ হতে বলিস। অবশ্য তোর কথা যে শুনবো তারওতো গ্যারান্টি নেই। আমাকে কষ্ট ছাড়া থাকতে কত করে ওয়াদা করালি, মাথায় হাত দিয়ে বললি, তারপরও....।
ছেলের ডাক নাম কয় অক্ষরে থাকবে?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




