কেমন আছো আসমানী?
গল্পে আসমানী লিখি, যে কথাগুলো তোকে বলা দরকার সেগুলো আসমানীর মাধ্যমে তোকে বলি, তোর নামে আলাদা পাতা বানাই বীথিকায় এটা কেমন লাগে? ভালো লাগার কথা জানি। আরও ভালো লাগত যদি আমি আমি তোর সাথে তোর ইচ্ছে মতো কথা বলতে পারাতাম। ঠিক না?
আমি পারিনা বলেই কথাটা বলিনা। কথা বললে বা তোর কথা মনে পড়লে ভালো থাকিনা বলেই তোকে এড়িয়ে থাকা। আর কিছুনা। কথা বলিনা বলেই এড়িয়ে থাকতে পারি তাওনা।
তোকে দেয়া ওয়াদা কোনটাই রাখতে পারবোনা জানি। প্রথমত বলেছি আমি আর কাউকে এসএমএস দিবোনা। সেটা পারিনি। সম্রাটে গার্ল ফ্রেন্ডকে এসএমএস দিয়েছি।
সেদিনের কথা বলতিছি। ঐ মেয়েটাকে প্রথম যে এসএমএসটা দিছি সেটাতেই আমি তোর কথা বলেছি। বলেছি আপনি সময় করলে আমার আসমানীকে নিয়ে কিছু কথা আপনাকে শেয়ার করতাম। উনি যেন কোন টাইপের। উনি প্রথম বললেন, আমি আপনাকে চিনিনা, আপনার আসমানীর কথা আমি শুনবো কেন?
ব্যাস, আমি বললাম, ওকে, শুনতে হবেনা।
এরপর অনেক দিন পর উনি আবার এসএমএস দিলেন , আপনার আসমানী আছে কেমন?’’
তখন তুই অসুস্থ। বললাম, ওর ছেলে হলো। এখন অসুস্থ। এরপর তোকে নিয়ে কিছু ফান করলো, আমি গালাগালি না করে ভদ্র হতে বলে এসমএএস দেয়া বাদ দিয়ে দিলাম। উনি আবার কিছুদিন পর দিলেন। আবার তোর কথা।
একলা একলা আমারও ভাল লাগতে ছিলনা। আমি সম্রাটের অনুমতি নিয়ে বললাম, তোর বউয়ের লগে এসএমএস চালাই। তয় ভয় নেই, বউ ভাগামুনা। মজার ব্যাপার কি জানোস আসমানী, আগে তোর লগে কথা কমু, এইটা চিন্তুা করতেই মনের যে সেই আচরন এখন কোন মেয়ে জোর করে ফোন করলেও তার আসেপাশেও আসেনা। যখন মনের এমন অবস্থা তখন ভাবি তোর আগে যদি অন্য কারো সাথে সম্পর্ক থাকতো তবে তোরটায় আর এত ভুগতাম না। যখন মেয়েটারে এসএমএস দেই তখন ভাবি এমনটাতো কথা ছিলনা, আসমানীকে ওয়াদা দিয়েছি কাউকে এসএমএস দিবোনা। তারপর আবার ভাবি, আমার জন্য ওর কি কি থেমে আছে? আমি কেন শুধু শুধু সাফার করবো! আরো নানান কথা। আবার ভাবি ও অন্যায় করলে আমিও করবো। ও কথা রাখেনি বলে আমিও রাখবোনা।
আসমানী, সব চিন্তা বাদ, আমি যদি কিছুতে একটু সুখ পেতাম আমার আর আপত্তি ছিলনা। তাতে তোর কথা রেখে হোক না রেখে হোক। আমরা যে যা করি সবই নিজের ভালোর জন্য। দ্যাখ, প্রত্যেকটা জিনিস ভাইবা দ্যাখ, যা-ই করছো, করছি সব নিজের সুখের জন্য।
কিছুতেই ভালো লাগেনা। আমার এসএমএস পেয়ে ও মেয়েও খুশি। একদিন আমারে বলে,আপনার এসএমএস খুব ভালো। আমারে মন ভালো করা একটা এসএমএস দিবেন? আমার সাথে সাথে তোর কথা মনে পরে গেল। তাকে বললাম, আমার আসমানীকে আমি ১০ হাজারেরও বেশি এসএমএস দিয়েছি। বিয়ের আগের দিন জিন হাতে ১৬০০ এসএমএস ডিলেট করে দিছি।
সে বললো সে নিজে যেটা করতে যায় সেটাতেই ভয় পায়। এমন লিখে আমাকে জানালো। আমি তাকে সস্তা কথা লিখে দিলাম। সবার শেষে লিখলাম। ‘‘এখন বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক বৃষ্টি হচ্ছে। আমার -আসমানীর সেই দিন থাকলে আমার আসমানী ঘুম থেকে উঠে বলতো, একটা এসএমএস দিবি? বড় এসএমএস!
মেয়ে আর কথা বলেনা। পরি অবশ্য একটা থ্যাংকস দিছিলো।
কী বৃষ্টি হইতেছে , দেখছো? সকালে ঘুম দিয়া ১২ টায় উঠছি। সকালে কিছু খাইনি। ঘুম ভাঙ্গে সকালেই। বাইরে তাকাই বৃষ্টি দেখি আর অনিচ্ছা সত্বেও তোর কথা মনে আসে বারবার। চুপ মাইরা বইসা থাকি। ভাবি, আসমানীর কি আর এইসব মনে আছে? মেয়েদের মাথা ভালোনা!
আমার কিছু মনে থাকেনা। পকেটের টাকা ঘরের এখানে ওখানে ফেরে রাখি। রুমে সবাই নিজেরা। তাই টাকা তুলে নিয়ে আমারে গালাগালি করে । বলে এইরকম হইলে হয়না। আমি টাকা পয়সা ভুলে যাই, পড়া ভুলি, পরীক্ষার ডেট ভুলে যাই। এত কিছুর ভুলের মধ্যে যদি ঐ ৩টা বছরও ভোলা যেত আমি ্খুব সুখি হতাম। বিশ্বাস কর, আমি তোরে মনেই করতে পারিনা। তোরে নিয়ে আমার যেই সব বিষয়ে আপত্তি আমার কল্পনায় বিয়ের তোকে নিযে শুধু সেই সবই দেখি।
সত্যি সত্যি আমি একজন মানুষিক রোগি। এটা আমার একটা ব্যাধি। ইদানিং ১ দিন নরজিন না খেলেই আমি অসুস্থ হয়ে যাই। তাই নিয়ম করে কনটিনিউ বাসায় যাওয়ার সময় ৮ টাকা দিয়ে ১ প্যাকেট নরজিন নিয়ে যাই। তোর কোন বিষয়ে টেনশন লাগলো তুইও খেতে পারো। ভালো কাজ দেয়।
তোর বাবু আছে কেমন? মিরাজ সম্রাট আজকে বা কালকে তোর বাসায় যাবে। আমি ঠিক করে রেখেছি এই ৩ দিনে সম্রাট মিরাজের কোন ফোন রিসিভ করবোনা। ওরা তোর বাসা থেকে বের হয়েই আমাকে ফোন দিয়ে তোর বিয়ে পরবর্তী নানান পরিবর্তনের কথা আমাকে শোনাবে। শারীরিক পরিবর্তন, মানুষিক পবির্তন। এই বান্দর দুইটাও আমারে তোর বিষয়টা নিয়ে খুব যন্ত্রনা দিছে।
ইদানিং ব্যাবসায়ে মন বসাতে পারছিনা। মেজ ভাই ঈদে আসবে মনে হয়। ঈদের আগে বাড়ি যাবোনা। আমি ইচ্ছে করলে সময় করে বাড়ি যেতে পারি। বাড়ি গেলে তোর বিষয়টা আমাকে বেশি যন্ত্রনা দেয়। বিশ্বাস কর, আমি কিন্তু এই জন্যই বাড়িতে যাওয়ার জন্য আগ্রহ হলেও আগ্রহ দেখাইনা। বাড়িতে দোকানের অযুহাত দেই। বাড়িতে গেলে, দোকানে বসলে, তোদের ঐ রোডে গেলে আমার হেভি যন্ত্রনা লাগে বাল।
এ যন্ত্রনা আমার প্রাপ্য। তাই আল্লাহকেও আর দোষিনা। ভাবি শাস্তি এখানে হয়ে যাওয়া ই ভালো।
আবার অনেক দিন পর লিখবো।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




