সব খানের ভীড় গুলোই একই রকম ভীতিকর। কোথা থেকে যেন কতগুলো রোদে পোড়া হাত জুটে যায়।হাতগুলোর চোখ নেয়, মুখ নাই,শুধু ললুপ দাঁত আছে। দাঁতে করে ওরা আমার নারীত্বকে কামড়ে ধরে। মুখ ভেংচিয়ে দাঁত কেলিয়ে পিশাচ হাত গুলো আমাকে যেন ছিড়ে খেতে চায়।বিধাতা আমাকে নারীত্ব দিয়েছেন তাই এ লাঞ্ছনা আমার প্রাপ্য।এই পুরুষের রাজত্বে আমি সাহায্য চাইতে গিয়েও পিছিয়ে যাই কারণ একবার ওরা আমাকে সতীত্ব হারা বললে আমাকে মৃত্যু থেকে কেউ ফিরাবে না।
আমি লজ্জা পেয়ে যাই।আমার অস্তিত্ব লজ্জা পাই।এই সন্তানতো আমারই। আমিতো মায়ের জাত।আমার মত কোনো নারী ওদের জন্ম দিয়েছেন। আমাকে ওদের ভুল গুলো ক্ষমার চোখে দেখতে হয়।আমার এক বন্ধু বলেছিল “ সবাই কে মায়ের চোখে দেখলে, বোনের চোখে দেখলে, বিয়ে করবো কাকে?” তাই আমি তাদের মুখ খুলে বলতে গিয়েও নিজেকে সংগযত করি।
আমাকে ওরা বলবে পর্দা করে চলতে তাহলে আর ওদের ললুপ হাত আমার দিকে আসবে না। আমি অনেক বড় করে ওড়না বানায় বোরখা পড়ি যদিও আমার ওটা পড়তে ইছা করে না। আমি হাঁসফাঁস করে ওই কালোর আড়ালে আড়াল করে রাখি আমার ছেলেদের লজ্জা কারণ আমিতো মা। ওরা আমার ছেলে হয়ে আমাকে ধর্ষনের লজ্জাতো আমাকেই ডাকতে হবে।সভ্যতার ভৎর্সনা ওদের কে বুঝতে দেই না।
ওদের কাছে ঘরের মা মেয়ে অথবা বোনটা ছাড়া সবাই ওদের শয্যাসঙ্গী।ওরা কিন্তু লজ্জা পাই না ওদের সহধর্মিনিকে রাস্তাঘাটে অপমান করতে।মহাকাল তুমি আমায় দোষ দিও না আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে ওরা চোখ রাঙাবে। আমি সত্যিটা সত্য ভাবে চোখা শব্দ দিয়ে বললে আমাকে ওরা তসলিমা বলে। আমি রবী ঠাকুরের কালে মেয়েরা যখন ঘরেই মরতো সেই সময় কে ঠিক বলে আরেক সন্তান কে মানুষ করার দায় নিয়ে কাজে নেমে পড়ি।নয়ত আবার আমাকে চাঁপা রাণীর মত বেঘরে প্রাণ টা হারাতে হবে।
ও হাঁ আমি কেন এসব বলছি এসব আমার ঘরের কথা।এগুলো আমার লজ্জা আমি অধম মা ওদের শেখাতে পারি নাই। এগুলো আমার একান্ত, আইন তাই এখানে আমাকে বাঁচাতে আসবে না আমিও বা কেন লজ্জার মাথা খেয়ে বলতে যাব।তাই নিশ্চুপ হয়ে আমার কান্না সভ্যতাকে মুখ ভেংচায়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




