গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ঘটেগেল বাংলাদেশের ইতিহাসে একনেক্কার জনক ঘটনা । সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী, দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকরক, স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবের অংশীদার বাংলাদেশ রাইফে সের বিদ্রোহ ৩৩ ঘন্টায় বাংলাদেশকে একটি নরবড়ে যায়গায় নিয়ে গেছে । তারা নিজেদের সার্থকে দেশ ও জাতির স্বার্থের উপরে নিয়ে গেছে । দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় দেরশত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে । দেশের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ।
সবচেয়ে বড় বিষয় হল তাদের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে । যা দেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক । দেশের নিরপত্তার জন্য হুমকী সরূপ । কারন বিডিআর এবং সেনাবাহিনী মূলত দেশের একটি জরিত আর তা হল বহিঃশক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা । একই কাজে নিয়োজিত দুটি বাহিনী যদি পরস্পারিক আস্থাহীনতায় থাকে তবে দেশের যেকোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তারা একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারবে না। দেশের নিরাপত্তা ব্যাবস্থার বারোটা বেজেছে । সীমান্ত অরক্ষীত হয়ে পরেছে । সেনাবাহিনী থেকে প্রেষনে যাওয়া বিডিআর কর্মকর্তারা আস্থাহীনতায় ভুগছে ।
কিন্তু কথা হল এই সংঘাত সৃস্টিতে কারা কাজ করেছে । শুধুইকি কয়জন বিডিআর জওয়ানই এ নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে না কোন বিশেষ শক্তি এর পিছনে থেকে কাজ করেছে । বিদ্রেহের অবস্থা বুঝতে পেরে ডিজি শাকিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফোন করেছিল এমনকি সেনাপ্রধানের কাছেও ফোন করেছিল । তখনও কিন্তু হত্যাকান্ড শুরু হয়নি । তখন সামরিক ব্যাবস্থা নিলে বিদ্রোহীরা এতবেশি অফিসারকে হত্যা করতে পারতো না । কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সামরিক পদক্ষেপ না নিয়ে রাজনীতি চর্চা করেছেন । বিদ্রোহীদের সাধারন ক্ষমা করে তাদের উৎসাহিত করেছেন এমনকি বিদ্রোহীদের নেতা তৌহিদ কে ডিজি নিয়োগ দিয়েছেন । যার কোনটির ক্ষমতাই তিনি সংরক্ষন করেন না । বিডিআর বিদ্রোহীদের ৩৩ ঘন্টা সময় দিয়েছেন শুষ্ঠ ভাবে তাদের কাজ সমাপ্ত করার জন্য ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিদ্রোহের প্রথম দিন রাতে ২০-২৫টি অস্ত্র জমা নিয়ে নাটক করেছেন যাতে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ না আসে । তিনি ঐদিন মাত্র ২৫টির মত পরিবার কে নিয়ে বেড়িয়ে এসেছেন য়াদের অধিকাংশই তার আত্মীয় ছিলেন । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি তার দেশের সকলের জীবন এবং সম্পদের নিরাপত্তা দিতে না পারেন তবে সেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রয়োজন কি ? বিদ্রোহের দিত্বীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রীসভা নিয়ে না বসে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নিয়ে বসেছেন । মন্ত্রীরা যদি দেশের ক্রান্তিকালে সিদ্ধান্ত নিতে না পারে তবে সে মন্ত্রী সভার প্রয়োজন কিসের ? কোন রকম তদন্তের পূর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্যরা বিরোধী দলের উপর দোষ চাপিয়েছেন । এতবড় ঘটনাকে তারা হালকা ভাবে নিয়েছেন । প্রথম দিনে াটোকে তারা সংসদে উন্থাপন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন । কিন্তু তা না করে কালক্ষেপন করেছেন এবং ঘটনাকে তিল হতে তালে রূপান্তরের সুযোগ করে দিয়েছেন ।
বিদ্রোহের দিন ভরতের সাথে পিলখানার বিডিআর দের মোবাইলে বেশ কথাবার্তা হয়েছে । বিডিআর জওয়ানদের কেসীমান্তে বিএসএফ অসংখ্য মোবাইল এসএমএস দিয়েছে যে তারা বিডিআর সদস্যদের সব রকম সহযোগতিা দিতে প্রস্তুত আছে । সেখানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে জরুরী মিটিং হয়েছে এবং তারা বাংলাদেশের জন্য বিশেষ ব্যাটেলিয়ান প্রস্তুত রেখেছে বিদ্রোহেরও বেশ কয়দিন পূর্বে । ২৬ তারিখের পর বিডিআররা ভারতের কাছে সহযোগীতা চেয়েছে । ভারত বিডিআর এর বেতন বৃদ্ধিতে অর্থ দানের ঘোষনা দেয় । বিদ্রোহের দিন তারা বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর আশা প্রকাশ করে । প্রশ্ন হল বিডিআরদের সাথে বারতের এত সখ্যতা কিভাবে হল ? তারা কোন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ব্যাটেরিয়ান প্রস্তুত রাখল যেখানে দেশের কোন গোয়েন্দা সংস্থা কোন তথ্য দিতে পারল না ? যেখানে বাংলা েশের কোন মিডিয়া প্রথমদিনে ডিজি শাকিলের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারল না সেখানে ভারতের এনডিটিভি সকাল সাড়ে দশটায় কিভাবে তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করল ? তা হলে কী এর পিছনে ভারতের হাত ছিল ?
সবচেয়ে আশ্চার্যের বিষয় হল বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দানকারী এবং প্রধানমন্ত্রী কতৃক নিয়োগ পাওয়া কয়েক ঘন্টার ডিজি তৌহুিদ আলম প্রতিমন্ত্রী এবং ২৫ তারিখের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত জাহাঙ্গীর কবির নানকের বন্ধু । সেনাবাহিনী থেকে চৌকশ কিছু কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের কয়েকদিন পূর্বে নিয়োগ দেয়া হয় ছুটিতে থাকা অনেক অফিসারকে জরুরী ভিত্তিতে যোঘদিতে বলা হয় । সারা বাংলাদেশ থেকে চৌকশ অফিসারদের পিলখানায় বদলি করা হয়েছে বিদ্রোহের ক’দিন আগে । তাহলেকি সরকার ভরতের সহায়তায় এ কাজ করেছে ?
বিডিআর বিদ্রোহে সরকারের কর্মকান্ডে যেসব বিষয় প্রমান করেছে তা হলঃ সেনাবাহিনী তার নিজেদের অফিসারদেরই জীবন রক্ষা করতে পারে না সুতরাং দেশের মানুষেরও জীবন রক্ষা করতে পারবে না । সেনাবাহিনীকে যদি সাভার থেকে পিলখানা যেতে ৩০ মিনিট সময় লাগে তবে স্বীমান্তে যেতে যেতে দেশ দখল হয়ে যাবে । বিডিআররা অবিশ্বাসী তাই এদের দিয়ে সীমান্ত রক্ষা করা সম্ভব না । দেশের সরকার দেশের সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা রাখেন না । দেশ প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার ব্যায় ভার বহন করতে সক্ষম না । সুতরাং দেশের নিরাপত্তার জন্যই আঞ্চলিক ট্রান্সফোর্স গঠন জরুরী । আর ভরতের স্বার্থ হল তারা ট্রান্সফোর্স গঠন করে বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রন করবে, ট্রানজিট আদায় করবে সাথে সাথে অখন্ড ভারত গঠনে এক ধাপ এগিয়ে যাবে ।
বর্তমান সরকারের অংশীদার লেঃ জেঃ এরশাদের বক্তব্য অনুযায়ী বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে । তাই সরকার তার আসন মজবুত করার জন্য তাদের বন্ধু ভারতের সাথে ট্রান্সফোর্স প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার গঠনের পর থেকেই । এরই অংশ হিসেবে যে বিডিআর বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছে সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার তারই প্রমান ।
প্রতিক্রিয়া:
বাংলা (ইউনিকোডে) অথবা ইংরেজীতে আপনার মন্তব্য লিখুন:
নাম:
স্থান:
ই-মেইল:
মন্তব্য:

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




