somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিডিআর বিদ্রোহের পিছনের শক্তি

২৪ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ২৫ ফেব্রুয়ারী ঘটেগেল বাংলাদেশের ইতিহাসে একনেক্কার জনক ঘটনা । সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী, দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকরক, স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবের অংশীদার বাংলাদেশ রাইফে সের বিদ্রোহ ৩৩ ঘন্টায় বাংলাদেশকে একটি নরবড়ে যায়গায় নিয়ে গেছে । তারা নিজেদের সার্থকে দেশ ও জাতির স্বার্থের উপরে নিয়ে গেছে । দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় দেরশত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে । দেশের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ।

সবচেয়ে বড় বিষয় হল তাদের সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে । যা দেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক । দেশের নিরপত্তার জন্য হুমকী সরূপ । কারন বিডিআর এবং সেনাবাহিনী মূলত দেশের একটি জরিত আর তা হল বহিঃশক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা । একই কাজে নিয়োজিত দুটি বাহিনী যদি পরস্পারিক আস্থাহীনতায় থাকে তবে দেশের যেকোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তারা একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারবে না। দেশের নিরাপত্তা ব্যাবস্থার বারোটা বেজেছে । সীমান্ত অরক্ষীত হয়ে পরেছে । সেনাবাহিনী থেকে প্রেষনে যাওয়া বিডিআর কর্মকর্তারা আস্থাহীনতায় ভুগছে ।

কিন্তু কথা হল এই সংঘাত সৃস্টিতে কারা কাজ করেছে । শুধুইকি কয়জন বিডিআর জওয়ানই এ নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে না কোন বিশেষ শক্তি এর পিছনে থেকে কাজ করেছে । বিদ্রেহের অবস্থা বুঝতে পেরে ডিজি শাকিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফোন করেছিল এমনকি সেনাপ্রধানের কাছেও ফোন করেছিল । তখনও কিন্তু হত্যাকান্ড শুরু হয়নি । তখন সামরিক ব্যাবস্থা নিলে বিদ্রোহীরা এতবেশি অফিসারকে হত্যা করতে পারতো না । কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সামরিক পদক্ষেপ না নিয়ে রাজনীতি চর্চা করেছেন । বিদ্রোহীদের সাধারন ক্ষমা করে তাদের উৎসাহিত করেছেন এমনকি বিদ্রোহীদের নেতা তৌহিদ কে ডিজি নিয়োগ দিয়েছেন । যার কোনটির ক্ষমতাই তিনি সংরক্ষন করেন না । বিডিআর বিদ্রোহীদের ৩৩ ঘন্টা সময় দিয়েছেন শুষ্ঠ ভাবে তাদের কাজ সমাপ্ত করার জন্য ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিদ্রোহের প্রথম দিন রাতে ২০-২৫টি অস্ত্র জমা নিয়ে নাটক করেছেন যাতে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ না আসে । তিনি ঐদিন মাত্র ২৫টির মত পরিবার কে নিয়ে বেড়িয়ে এসেছেন য়াদের অধিকাংশই তার আত্মীয় ছিলেন । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যদি তার দেশের সকলের জীবন এবং সম্পদের নিরাপত্তা দিতে না পারেন তবে সেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর প্রয়োজন কি ? বিদ্রোহের দিত্বীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রীসভা নিয়ে না বসে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নিয়ে বসেছেন । মন্ত্রীরা যদি দেশের ক্রান্তিকালে সিদ্ধান্ত নিতে না পারে তবে সে মন্ত্রী সভার প্রয়োজন কিসের ? কোন রকম তদন্তের পূর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্যরা বিরোধী দলের উপর দোষ চাপিয়েছেন । এতবড় ঘটনাকে তারা হালকা ভাবে নিয়েছেন । প্রথম দিনে াটোকে তারা সংসদে উন্থাপন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন । কিন্তু তা না করে কালক্ষেপন করেছেন এবং ঘটনাকে তিল হতে তালে রূপান্তরের সুযোগ করে দিয়েছেন ।

বিদ্রোহের দিন ভরতের সাথে পিলখানার বিডিআর দের মোবাইলে বেশ কথাবার্তা হয়েছে । বিডিআর জওয়ানদের কেসীমান্তে বিএসএফ অসংখ্য মোবাইল এসএমএস দিয়েছে যে তারা বিডিআর সদস্যদের সব রকম সহযোগতিা দিতে প্রস্তুত আছে । সেখানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে জরুরী মিটিং হয়েছে এবং তারা বাংলাদেশের জন্য বিশেষ ব্যাটেলিয়ান প্রস্তুত রেখেছে বিদ্রোহেরও বেশ কয়দিন পূর্বে । ২৬ তারিখের পর বিডিআররা ভারতের কাছে সহযোগীতা চেয়েছে । ভারত বিডিআর এর বেতন বৃদ্ধিতে অর্থ দানের ঘোষনা দেয় । বিদ্রোহের দিন তারা বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর আশা প্রকাশ করে । প্রশ্ন হল বিডিআরদের সাথে বারতের এত সখ্যতা কিভাবে হল ? তারা কোন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের ব্যাটেরিয়ান প্রস্তুত রাখল যেখানে দেশের কোন গোয়েন্দা সংস্থা কোন তথ্য দিতে পারল না ? যেখানে বাংলা েশের কোন মিডিয়া প্রথমদিনে ডিজি শাকিলের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারল না সেখানে ভারতের এনডিটিভি সকাল সাড়ে দশটায় কিভাবে তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করল ? তা হলে কী এর পিছনে ভারতের হাত ছিল ?
সবচেয়ে আশ্চার্যের বিষয় হল বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দানকারী এবং প্রধানমন্ত্রী কতৃক নিয়োগ পাওয়া কয়েক ঘন্টার ডিজি তৌহুিদ আলম প্রতিমন্ত্রী এবং ২৫ তারিখের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত জাহাঙ্গীর কবির নানকের বন্ধু । সেনাবাহিনী থেকে চৌকশ কিছু কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের কয়েকদিন পূর্বে নিয়োগ দেয়া হয় ছুটিতে থাকা অনেক অফিসারকে জরুরী ভিত্তিতে যোঘদিতে বলা হয় । সারা বাংলাদেশ থেকে চৌকশ অফিসারদের পিলখানায় বদলি করা হয়েছে বিদ্রোহের ক’দিন আগে । তাহলেকি সরকার ভরতের সহায়তায় এ কাজ করেছে ?

বিডিআর বিদ্রোহে সরকারের কর্মকান্ডে যেসব বিষয় প্রমান করেছে তা হলঃ সেনাবাহিনী তার নিজেদের অফিসারদেরই জীবন রক্ষা করতে পারে না সুতরাং দেশের মানুষেরও জীবন রক্ষা করতে পারবে না । সেনাবাহিনীকে যদি সাভার থেকে পিলখানা যেতে ৩০ মিনিট সময় লাগে তবে স্বীমান্তে যেতে যেতে দেশ দখল হয়ে যাবে । বিডিআররা অবিশ্বাসী তাই এদের দিয়ে সীমান্ত রক্ষা করা সম্ভব না । দেশের সরকার দেশের সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা রাখেন না । দেশ প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার ব্যায় ভার বহন করতে সক্ষম না । সুতরাং দেশের নিরাপত্তার জন্যই আঞ্চলিক ট্রান্সফোর্স গঠন জরুরী । আর ভরতের স্বার্থ হল তারা ট্রান্সফোর্স গঠন করে বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রন করবে, ট্রানজিট আদায় করবে সাথে সাথে অখন্ড ভারত গঠনে এক ধাপ এগিয়ে যাবে ।

বর্তমান সরকারের অংশীদার লেঃ জেঃ এরশাদের বক্তব্য অনুযায়ী বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে । তাই সরকার তার আসন মজবুত করার জন্য তাদের বন্ধু ভারতের সাথে ট্রান্সফোর্স প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার গঠনের পর থেকেই । এরই অংশ হিসেবে যে বিডিআর বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছে সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার তারই প্রমান ।

প্রতিক্রিয়া:


বাংলা (ইউনিকোডে) অথবা ইংরেজীতে আপনার মন্তব্য লিখুন:
নাম:
স্থান:

ই-মেইল:
মন্তব্য:




০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×