গত ২৯ শে ডিসেম্বর ২০০৮ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সপ্ন নিয়ে ক্ষমতায় আসে বর্তমান সরকার । এরপর থেকে ডিজিটাল হওয়া শুরু করে দেশ ও জাতি । শিক্ষা প্রিতিষ্ঠানেও এর ছোয়া লেগেছে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রমহরা আর গ্রুপ সংঘর্ষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালেয় ভিসিকে পদত্যাগে বাধ্য করতে তালা ঝুলানো, রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালেয়ে প্রতিপক্ষের নেতাকে খুন । আর দেশব্যাপী নিজেদের মধ্যে সামরিক চর্চা ইত্যাদি এখন ডালভাতের মত । রাজনীতিকে এখন সন্ত্রাস থেকে বানিজ্যে রুপ দিয়েছে বর্তমান সরকারী দলের ছাত্র সংগঠন ও দলের এমপি মন্ত্রীরা
ভিকারুন্নেসা নূন স্কুল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের গদি নরবরে হয়ে গেছে এমপি মন্তীদের কথা না শোনার জন্য ।শিক্ষকরা মন্ত্রী পরিষদ বিভাএগের সচিবকে বিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে রাখতে চেয়েছিলেন । কিন্তু সম্প্রতি তিনি ভর্তিসংক্রান্ত চাপের মুখে নিজেই সরে গেছেন । স্থানীয় সাংসদ রাশেদ খান মেননের চেয়ারমান হিসেবে যোগদান অনেকটা নিশ্চিত । বিদ্যালয়ে প্রথম দফা ভর্তির জন্য ৪৫ জনের একটি তালিকা পাঠান সাংসদ মেনন । এরপর তিনি দ্বিতীয় দফায় ১০ জনের নাম পাঠিয়েছেন । বলেদিয়েছেন এদের নিতে হবে । সাংসদের পক্ষে দুইজন কর্মী দেখা করে চাপও দিয়েছেন । এ সুযোগে পরিচালনা কমিটির সদস্যরা সুযোগের অপেক্ষায আছেন । রাশেদ খানমেনন মিডিয়ার কাছে বলেছেন যে তিনিজনপ্রতিনিধি হিসেবে যে কেউ তার কাছে আসতে পারে। কারন তাদের ভোটে সে নির্বাচিত হয়েছে। তালিকা পাটানোর কথাও তিনি স্বীকার করেছেন।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের মুল ক্যাম্পাস এবং বনশ্রী শাখায় সুপারিসের মাধ্যমে দুই শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে । এর মধ্যে সর্বাধিক পরিমান সুপারিশ করেছেন রাশেদ খান মেনন । এছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য , মন্ত্রী, সাংসদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা সহ অনেকের কথা রাখতে বাধ্য হয়েছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ ।
মনিপুর উচ্চ বিদ্যারয়ে মোট আসন সংখা এক হাজার চল্লিশ । এ বছর মেধা তালিকা টাঙানো হয় সাতশত সত্তর জনের । বাকি দুইশত সত্তর জন রাখা হয়েছিল সুপারিশের জন্য । কিন্তু সরকারী দলের স্থানীয় সাংসদ কামাল মজুমদার জাতীয় সংসদের প্যাডে ১৭ ই জানুয়ারী প্রথম দফায় ৪০৮ জনের তালিকা পাঠান । বিদ্যালয় ভর্তি কমিটি তার সাথে দেখা করে জানান ২৭০ জন ভর্তি করা সম্ভব কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন একজনও বাদ দেওযা যাবে না । এটা তার নির্বাচনী প্রতুশ্রুতি । বাধ্য হয়ে সবাইকে নেয় ভর্তি কমিটি । এখানেই শেষ নয় এরপর আসে আরো দুই জন সাংসদের তালিকা । সাংসদ আসলামুল হক ও সাংসদ ইলিয়াস মোল্লা যথাক্রমে ১৩৭ জন ও২৭ জনের তালিকা পাঠান । সব মিলিয়ে আসন দারায় ১০৬৮ জন । এই গাদাগাদি অবস্থার পর সাংসদ কামাল আবার তালিকা পাঠিয়েছেন। এই কি পরিবর্তন..?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




