বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশের । পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে ক্ষমতায় আসা এই সরকাররে ক্ষমতা গ্রহনের পর যেমন সরকারী দল এবং দলের অংগসংগঠন গুলো চাদাবাজী, টেন্ডারবাজী, হত্যা, মারামারি ইত্যাদি করে বেরাচ্ছে তেমনি সরকার ও কিছু মহত্(!) কাজ করছে । এর মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি লে: জেনারেল জিয়াউর রহমানের পরিবারের নামে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ৬, শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটির বরাদ্দ বাতিল অন্যতম ।
১৯৮১ সালের ৩০শে মে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান লে: জেনারেল জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে শহীদ হন । এর পর ১৯৮২ সালের ১৭ই জুলাই তত্কালীন সেনাপ্রধান লে: জেনারেল এরশাদ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে বাড়িটি স্থায়ী ভাবে বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলে বরাদ্ধ দিয়েছিল । বাড়িটির দলিল করেও দেয়া হয় । ব্রিগেডিয়ার হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এ বাড়িতেই ছিলেন । সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে আরও বড় বাড়ি পেলেও তিনি তা গ্রহন না করে এখানেই ছিলেন ।
বাড়িটি যিনি বরাদ্ধ দিয়েছিলেন সেই সাবেক সেনাপ্রধান ও বতর্মান সরবকারের অংশীদার লে: জেনারেল(অব
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে গত ১লা এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বাড়িটি ছেড়ে দিতে বলেন । শেখ হাসিনা বলেন বেগম জিয়া বাড়িটি ছেড়ে দিলে সেখানে পিলখানায় নিহত শহীদ পরিবারের জন্য ফ্লাট নির্মান করবেন ।তাহলে খালেদা জিয়া কি শহীদ সেনাপ্রধানের স্ত্রী নন ? তিনি কি তাহলে বাড়ি পেতে পারেন না ? পিলখানায় শহীদদের পরিবার যদি ফ্লাট পান তবে জিয়া পরিবারের সাথে এমন বিমাতা সুলভ আচরন কেন ? তাছাড়া ক্যান্টনমেন্টর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিঘ্নের প্রশ্ন তুলছেন অনেকে । একটি জিয়া পরিবার থাকলে যদি শৃঙ্খলার সমস্যা হয় তবে একশত পরিবার থাকলে কি অবস্থা হবে ?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা কালীন ধানমন্ডিতে শেখ রেহানার নামে একটি বাড়ি বরাদ্ধ দেন । তবে কিছুদিন পর এক মহিলা এর মালিকানা দাবি করে মামলা দায়ের করেন । মামলাটি এখনো বিচারাধীন । সে হিসেবে শেখ রেহেনা বাড়িটির এখনো দখল পাননি । অথচ শেখ হাসিনা ঘোষনা দিলেন তার বোন বাড়িটি ছেড়ে দিবে । এটাযে জাতির সাথে কত বড় মিথ্যাচার তা জনগনই বিচর করবে ।
শেখ হাসিনা ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পূর্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে ১ টাকার বিনিময়ে গনভবন লিখিয়ে নিয়েছিলেন । কিন্তু জনগনের তীব্র বিরোধীতার কারনে এবং ২০০১ এর নির্বাচনে ইমেজ হারানোর আশংকায় গনভবন ছেড়ে দেন । বর্তমান সিদ্ধান্ত কি তাহলে তারই নিরব প্রতিশোধ ? জাতির কাছে এটা এখন প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে । আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ বলেছেন যে জিয়াউর রহমানের সৃতির কথা বলা হচ্ছে কিন্তু গনভবনও শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সৃতিবিজরিত । সরকার শেখ হাসিনার নামে গনভবন এবং শেখ রেহেনার নামে একটি বাড়ি দিয়েছিল পরে তা বাতিল হয় । এ সরকারও তাই জিয়া পরিবারের নামে বরাদ্ধ করা বাড়িটি বাতিল করেছে । এটাযে প্রতিহিংসার ইংগিত বহন করে না তা হলফ করে কেউ বলতে পারবে না ।
স্বনামধন্য আইনজীবী ও আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদের আরও একটি কথা না বললেই নয় । তিনি বলেছেন যে জিয়া পরিবারের নামে বাড়িটি বরাদ্ধ ছিল অবৈধ । অর্থাত্ তত্কালীন সরকার, ক্যান্টনমেন্টের সেনাবোর্ড এবং সেনাপ্রধান লে: জেনারেল এরশাদ অবৈধ ভাবে বাড়িটি বরাদ্ধ দেয় । তবে মজার বিষয় হল লে: জেনারেল(অব
সরকারের অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী বলেছেন এক পরিবারের নামে দুটি বাড়ি বরাদ্ধ আইনত অবৈধ । কিন্তু প্রশ্ন হল তাহলে শেখ হসিনা সরকার ১৯৯৬-২০০১ আমলে শেখ মুজিব পরিবারের নামে কিভাবে দুটি বাড়ি কিভাবে বরাদ্ধ নিলেন ? এটা কি অবৈধ ছিল না ? না তখন এ আইন ছিল না ?
সরকারের এ সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে তারা বি.এন.পি.কে রাজপথে নামাতে চাচ্ছেন । বি.এন.পি. তাদের দাবি আদায়ে হরতাল-ভাংচুর শুরু করলে দেশবাসীর কাছে তার দলের নেতা কর্মীদের চাদাবাজি, টেন্ডারবাজী অনেকটা ঢাকা পড়ে যাবে । বরোধী দল সরকারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করছে এমন প্রচার করে সরকার নিজের দুবর্লতা ঢাকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
সবচেয়ে বড় কথা হল দান করে কেউ ফেরত নেয় না । জাতির ঐতিহ্য ও তাই । কারন ফেরত নেয়াটা নিচু মনের লক্ষণ । বর্তমান সরকার একাজের মাধ্যমে দেশবাসীকে জিয়া পরিবার ও বিশ্বের কাছে ছোট হিসেবে উপস্থাপন করেছে ।
‡jLK: mvwnwZ¨K I wkv_©x, dwjZ imvqb I ivmvqwbK cÖhyw³ wefvM, XvKv wek¦we`¨vjq |
Email : [email protected]
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশের । পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে ক্ষমতায় আসা এই সরকাররে ক্ষমতা গ্রহনের পর যেমন সরকারী দল এবং দলের অংগসংগঠন গুলো চাদাবাজী, টেন্ডারবাজী, হত্যা, মারামারি ইত্যাদি করে বেরাচ্ছে তেমনি সরকার ও কিছু মহত্(!) কাজ করছে । এর মধ্যে সাবেক সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতি লে: জেনারেল জিয়াউর রহমানের পরিবারের নামে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ৬, শহীদ মইনুল রোডের বাড়িটির বরাদ্দ বাতিল অন্যতম ।
১৯৮১ সালের ৩০শে মে তত্কালীন রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান লে: জেনারেল জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে শহীদ হন । এর পর ১৯৮২ সালের ১৭ই জুলাই তত্কালীন সেনাপ্রধান লে: জেনারেল এরশাদ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে বাড়িটি স্থায়ী ভাবে বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলে বরাদ্ধ দিয়েছিল । বাড়িটির দলিল করেও দেয়া হয় । ব্রিগেডিয়ার হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এ বাড়িতেই ছিলেন । সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে আরও বড় বাড়ি পেলেও তিনি তা গ্রহন না করে এখানেই ছিলেন ।
বাড়িটি যিনি বরাদ্ধ দিয়েছিলেন সেই সাবেক সেনাপ্রধান ও বতর্মান সরবকারের অংশীদার লে: জেনারেল(অব
আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে গত ১লা এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বাড়িটি ছেড়ে দিতে বলেন । শেখ হাসিনা বলেন বেগম জিয়া বাড়িটি ছেড়ে দিলে সেখানে পিলখানায় নিহত শহীদ পরিবারের জন্য ফ্লাট নির্মান করবেন ।তাহলে খালেদা জিয়া কি শহীদ সেনাপ্রধানের স্ত্রী নন ? তিনি কি তাহলে বাড়ি পেতে পারেন না ? পিলখানায় শহীদদের পরিবার যদি ফ্লাট পান তবে জিয়া পরিবারের সাথে এমন বিমাতা সুলভ আচরন কেন ? তাছাড়া ক্যান্টনমেন্টর নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিঘ্নের প্রশ্ন তুলছেন অনেকে । একটি জিয়া পরিবার থাকলে যদি শৃঙ্খলার সমস্যা হয় তবে একশত পরিবার থাকলে কি অবস্থা হবে ?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা কালীন ধানমন্ডিতে শেখ রেহানার নামে একটি বাড়ি বরাদ্ধ দেন । তবে কিছুদিন পর এক মহিলা এর মালিকানা দাবি করে মামলা দায়ের করেন । মামলাটি এখনো বিচারাধীন । সে হিসেবে শেখ রেহেনা বাড়িটির এখনো দখল পাননি । অথচ শেখ হাসিনা ঘোষনা দিলেন তার বোন বাড়িটি ছেড়ে দিবে । এটাযে জাতির সাথে কত বড় মিথ্যাচার তা জনগনই বিচর করবে ।
শেখ হাসিনা ২০০১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পূর্বে মন্ত্রীসভার বৈঠকে ১ টাকার বিনিময়ে গনভবন লিখিয়ে নিয়েছিলেন । কিন্তু জনগনের তীব্র বিরোধীতার কারনে এবং ২০০১ এর নির্বাচনে ইমেজ হারানোর আশংকায় গনভবন ছেড়ে দেন । বর্তমান সিদ্ধান্ত কি তাহলে তারই নিরব প্রতিশোধ ? জাতির কাছে এটা এখন প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে । আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদ বলেছেন যে জিয়াউর রহমানের সৃতির কথা বলা হচ্ছে কিন্তু গনভবনও শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সৃতিবিজরিত । সরকার শেখ হাসিনার নামে গনভবন এবং শেখ রেহেনার নামে একটি বাড়ি দিয়েছিল পরে তা বাতিল হয় । এ সরকারও তাই জিয়া পরিবারের নামে বরাদ্ধ করা বাড়িটি বাতিল করেছে । এটাযে প্রতিহিংসার ইংগিত বহন করে না তা হলফ করে কেউ বলতে পারবে না ।
স্বনামধন্য আইনজীবী ও আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার শফিক আহমেদের আরও একটি কথা না বললেই নয় । তিনি বলেছেন যে জিয়া পরিবারের নামে বাড়িটি বরাদ্ধ ছিল অবৈধ । অর্থাত্ তত্কালীন সরকার, ক্যান্টনমেন্টের সেনাবোর্ড এবং সেনাপ্রধান লে: জেনারেল এরশাদ অবৈধ ভাবে বাড়িটি বরাদ্ধ দেয় । তবে মজার বিষয় হল লে: জেনারেল(অব
সরকারের অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রী বলেছেন এক পরিবারের নামে দুটি বাড়ি বরাদ্ধ আইনত অবৈধ । কিন্তু প্রশ্ন হল তাহলে শেখ হসিনা সরকার ১৯৯৬-২০০১ আমলে শেখ মুজিব পরিবারের নামে কিভাবে দুটি বাড়ি কিভাবে বরাদ্ধ নিলেন ? এটা কি অবৈধ ছিল না ? না তখন এ আইন ছিল না ?
সরকারের এ সিদ্ধান্ত দেখে মনে হচ্ছে তারা বি.এন.পি.কে রাজপথে নামাতে চাচ্ছেন । বি.এন.পি. তাদের দাবি আদায়ে হরতাল-ভাংচুর শুরু করলে দেশবাসীর কাছে তার দলের নেতা কর্মীদের চাদাবাজি, টেন্ডারবাজী অনেকটা ঢাকা পড়ে যাবে । বরোধী দল সরকারের কাজকে বাধাগ্রস্ত করছে এমন প্রচার করে সরকার নিজের দুবর্লতা ঢাকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
সবচেয়ে বড় কথা হল দান করে কেউ ফেরত নেয় না । জাতির ঐতিহ্য ও তাই । কারন ফেরত নেয়াটা নিচু মনের লক্ষণ । বর্তমান সরকার একাজের মাধ্যমে দেশবাসীকে জিয়া পরিবার ও বিশ্বের কাছে ছোট হিসেবে উপস্থাপন করেছে ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




