রাজশাহী নগরীতে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এক কন্যার সন্ধান পাওয়া গেছে। এই কন্যার নাম বিভা রহমান। নিজেকে জিয়ার কন্যা বলে পরিচয় দিয়ে ক্ষান্ত হননি বিভা। জমির দলিল, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সব কিছুতে পিতার নাম হিসেবে জিয়াউর রহমান ও মায়ের নাম বেগম খালেদা জিয়া বলে উল্লেখ করেছেন। থাকার ঘরগুলো সাজিয়েছেন জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছবি দিয়ে। স্থানীয়ভাবে তিনি খালেদা জিয়ার মেয়ে বলে পরিচিত। এক বাক্যে সবাই তাকে খালেদা জিয়ার কন্যা বলেই চেনে। তবে অনুসন্ধান করেও তার প্রকৃত পিতামাতার পরিচয় জানা যায়নি। এমন প্রশ্নের উত্তরে বিভা রহমানের সাফ জবাব তার পিতার নাম জিয়াউর রহমান ও মাতা বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাজশাহী নগরীর বড়বনগ্রামে (শহীদ জিয়া শিশু পার্ক সংলগ্ন) গ্রামে গিয়ে পাওয়া যায় বিভা রহমানকে। স্বামী নিয়ে তিনি থাকেন ওই বাড়িতে। কোন সন্তান নেই তার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে প্রথমে নিজেকে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মেয়ে পরিচয় দিয়ে আলোচনায় আসেন বিভা। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রীর কন্যা পরিচয় দিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। দীর্ঘদিন জেল খাটার পর ছাড়া পান। তারপরেও নিজের জন্ম পরিচয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রেখেছেন জিয়া ও খালেদাকে। এখনো রাজশাহী মহানগরীর বড় বনগ্রাম এলাকার বিভা রহমান নিজেকে জিয়ার কন্যা বলে পরিচয় দেন। সম্প্রতি এলাকায় একটি জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিভা নিজেকে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মেয়ে পরিচয় দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে হুমকি দেয়ায় নতুন করে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।
বিভা রহমান তার স্বামী পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী উপ-পরদর্শক (এএসআই) কোরবান আলীকে নিয়ে বড় বনগ্রাম এলাকার একটি বাড়িতে থাকেন। শনিবার ওই এলাকায় গিয়ে কাউকে বিভার নাম বলতে হয়নি। খালেদা জিয়ার মেয়ে কোথায় থাকেন বলতে সবাই তার বাড়ি দেখিয়ে দিলেন। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে প্রথমে কথা বলতে রাজী হননি। পরে তিনি বাড়ির ভেতরে নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক ও মামলা নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। পাশে থাকা তার স্বামীও দাবি করেন খালেদা জিয়ার জামাই তিনি।
বিভা রহমান জানান, বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার মা এবং জিয়াউর রহমান তার বাবা। এ নিয়ে মামলা হয়েছে। ২০০২ সালে আদালত থেকে তিনি স্বীকৃতি পেয়েছেন বলে দাবি করলেও কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘মায়ের সঙ্গে (খালেদা জিয়া) দেখা করতে মাঝে মাঝে ঢাকায় যান তিনি। মাও খোঁজ খবর নেন।’ সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে হয়ে এখানে থাকেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মা আমাকে তার কাছে রাখতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি আমার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই বলে এখানে আছি।’ জাতীয় পরিচয়পত্রে বিভার জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ১৯৬১ সালের ২ মার্চ। সে হিসেবে তিনি তারেক ও কোকোর বড় বোন বলে নিজেকে দাবি করেন।
স্থানীয়রা জানান, বিভা নিজেকে খালেদা জিয়ার মেয়ে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে অনেক টাকা খরচ করেছে। তার বিরুদ্ধে যেসব মামলা হয়েছে, তা থেকে মুক্ত হতে বাড়ির আসবাবপত্র পর্যন্ত বিক্রি করেছে। তারপরেও সে নিজেকে জিয়ার কন্যা বলে পরিচয় দেয়। বিভার স্বামী কোরবান আলীও মামলা চালাতে গিয়ে নিঃস্ব হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন
কপি পেস্টঃ http://dailysunshinebd.com/?p=3092

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




