somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামী লীগের সাফলতা ও ব্যর্থতা

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আওয়ামী লীগের আরও একটি মেয়াদ পূর্ণ হতে চলেছে আর সেই সাথে পূনরায় ক্ষমতায় আসার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর কারন প্রথমত: তাদের নেওয়া দেশে চলমান কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসতে ব্যর্থ হলে হয়তো তাদের নেয়া মেগা প্রকল্প গুলোর কাজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা কাজের গতি থমকে যেতে পারে।। দ্বিতীয়ত: আওয়ামী লীগ আরও একটি বার ক্ষমতায় আসতে সক্ষম হলে অন্যতম বিরোধী শক্তি বিএনপি এই দশ বছরে যতটা দূর্বল হয়েছে আগামী ৫ বছরে আরও দুর্বল হয়ে যাবে। পর পর দুটি মেয়াদ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন ছিল। আর এই দীর্ঘ সময়ে দেশের কিছুটা হলেও রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ সর্বক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে একটি দল নির্বাচনে জয় লাভ করে যে জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় আসে ক্ষমতার মেয়াদান্তে সেই জনপ্রিয়তা খুব একটা বজায় থাকে না। কারন উন্নত বিশ্বে যেখানে বেকার সমস্যার সমাধান, মুদ্রাস্ফীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়েই বেশী চিন্তা করতে হয় সেখানে বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলিতে সরকারের উপর জনগণের মৌলিক চাহিদা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ এতো চাহিদা বিদ্যমান থাকে যে তা সীমিত সম্পদ দিয়ে পুরোপুরি পূরনে কোন সরকারই খুব একটা সক্ষম হয় না। তারপরও এই সকল দেশগুলি সীমিত সম্পদের সুষম বন্টনের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য নিরলস কাজ করে চলেছে। বিগত দুটি মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় ছিল। তাদের এই মেয়াদে এমন কিছু অর্জন রয়েছে যা স্বাধীনতার এই দীর্ঘ ৪৭ বৎসরে কোন সরকার করতে সক্ষম হয়নি। আবার দেশের শেয়ার বাজার ও ব্যাংকিং সেক্টরের অবস্থা অনেকটাই নাজুক।

১। জঙ্গীবাদ দমন:
বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকরের আমলে দেশে যে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছিল তা বাংলাদেশের ইমেজকে অনেকাংশে নষ্ট করে দিয়েছিল। বিষয়টি এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ভাবে একটি জঙ্গী রাষ্ট্রের নামে আখ্যায়িত হতে চলেছিল। শেখ হাসিনা শক্ত হাতে এই জঙ্গীবাদকে দমনে সক্ষম হন। আমি মনে করি আওয়ামী লীগের বিগত শাসন আমলের এটা একটি অন্যতম বড় অর্জন। বাংলাদেশের অবস্থা অনেকটা আফগানিস্তান, ইরাক, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও সিরিয়ার মত অবস্থার দারপ্রান্তে পৌছে গিয়েছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এদেশে জঙ্গীবাদের উত্থান ও শেখ হাসিনা কর্তৃক সাফল্যের সহিত দমনের প্রেক্ষিতে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু যেমন বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে বাঙ্গালীকে বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছিলেন তেমনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এদেশ থেকে জঙ্গীবাদ দমনের মাধ্যমে এদেশ ও এদেশের মানুষকে উদ্ধার করেছেন।

২। পদ্মা সেতু নির্মান।
১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন পলাশীর আম্র কাননে যখন নবাব সিরাজউদ্দোল্লা পরাজয়ের খরব নবাব মহলে আসছিল তখন নবাবের স্ত্রী লুৎফা নবাবকে এই বলে সান্তনা দিচ্ছিলেন যে, নবাব তুমি হারানো রাজ্য আবার ফিরে পাবে। নবাব এই সান্তনার জবাবে বলেছিলেন, ঘরের লোক শত্রু হলে বাইরের লোক দ্বারা সবই সম্ভব। পদ্মা সেতু নির্মানে এদেশেরই অনেক বিশ্বাস ঘাতক দেশে-বিদেশে অনেক চেষ্টা করেছে যাতে পদ্মা সেতু না হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মানসিকতার কারনে সেই পদ্মা সেতু আজ সমাপ্তির পথে। বিশ্ব ব্যাংকের এক রিপোর্ট অনুযায়ী পদ্মা সেতু নির্মান হলে দেশের জিডিপি ১.২% বৃদ্ধি পাবে এবং দক্ষিন বাংলার প্রায় ৬ কোটি মানুষের জীবনমানের উন্নতিতে ব্যাপক অবদান রাখবে।

৩। সমূদ্র বিজয়।
আওয়ামীলীগ সরকার বিগত দেশ পরিচালনায় এমন কিছু মুন্সিয়ানা ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে যে, এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারনেই। দেশ স্বাধীনতার প্রায় ৪৭ বছর অতিবাহিত হলেও অমীমাংশিত সমুদ্র সীমানা নিয়ে কোন সরকার অদ্যাবধি কোন রূপ বিন্দু পরিমান চেষ্টা করেনি। আওয়ামীলীগ সরকারই বিষয়টি রাজনৈতিক উপায়ে এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাধান করতে সক্ষম হন। সমূদ্র সীমার সমাধান হওয়াতে বাংলাদেশ তার ভু-ভাগের সমপরিমান জলরাশির অধিকার অর্জন করেছে।

৪। ছিটমহল বিনিময়
ভারতের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর ছিটমহল ইস্যুটির সমাধান করতে সক্ষম হয় আওয়ামীলীগ সরকার। এটাও সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারনে। সুসম্পর্ক বজায় রেখে একটি দেশের সাথে যে অমীমাংশিত বিষয়গুলিকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা যায় এটা প্রমান করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছিটমহল বিনিময় মুলত: এটা ছিল একটা জটিল প্রক্রিয়া। বছরের পর বছর বাংলাদেশের কিছু মানুষ চারপাশে ভারতের সীমানা বেষ্টিত গ্রামে মানবেতর জীবনযাপন করত। আওয়ামীলীগ সরকার তাদের সেই দু:সহ পরিবেশ থেকে উদ্ধার করে নতুন জীবনের সন্ধান দিয়েছে।

৫। ডিজিটালাইজেশন
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বিগত মেয়াদে সরকার গঠন করেছিল তার অনেকটাই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করা হয়। এখন মানুষ ঘরে বসেই দেশ বিদেশে যোগাযোগ করতে পারে এবং ডিজিটালাইজড হওয়াতে মানুষের সময় ও অর্থ দুটিই সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি দূর্ণীতিও অনেকটা হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১০ কোটি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে এবং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমও বৃদ্ধি পেয়েছে।

৬। বিদ্যুৎ উৎপাদন
বিগত বিএনপি-জামাত চারদলীয় জোটের শাসনামলে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো মাত্র ২০০০ মেগাওয়াট। ফলে বিপুল চাহিদার তুলনায় এতো কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো যে, রেশনিং সিস্টেমে একঘন্টা অন্তর অন্তর বিদ্যুৎ চলে যেতো। সন্ধ্যার পর অফিস আদালত ও কলকারখানা বন্ধ করে দেওয়া হতো। সুতরাং এটা ছিল একটা চরম নেতিবাচক পরিস্থিতি। কেননা অফিস আদালত আর কারখানা বন্ধ রেখে কখনও দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দেশ ২৪ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি করছে আর আমাদের দেশে বিদ্যুৎ শক্তির অভাবে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এইরূপ পরিস্থিতি থেকে দেশকে আজ বিদ্যুৎ উৎপাদনে আওয়ামী লীগ সরকার নিয়ে গেছেন ২০,৪৩০ মেগাওয়াটে। আরও কিছু মেগা প্রকল্প নির্মানাধীন রয়েছে আশা করা হয় এগুলি চালু হলে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপ্লব ঘটবে।

৭। বঙ্গবন্ধু সেটেলাইট প্রেরণ
বিশ্বে ৫৩তম রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ উপগ্রহ প্রেরণের গৌরব অর্জন করে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভাবে দেশের ভাবমুর্তি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশ পরিচিত কেবলমাত্র ঝড়-জলোচ্ছাস আর রাজনৈতিক অস্থিরতার দেশ হিসাবে। কিন্তু, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অতি গতিময়তার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে তারই প্রমান বঙ্গবন্ধু সেটেলাইট প্রেরণ।

৮। যোগাযোগ খাতে অবদান
বাংলাদেশ যোগাযোগ খাতে অসামান্য অগ্রগতি লাভ করেছে বিগত ১০ বছরে। এ বিষয়ে প্রথমেই বলতে হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিং, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে সহ অসংখ্যা রাস্তা ও সেতু নির্মানে বর্তমান সরকার কাজ করেছে এবং এখনও তা অব্যাহত আছে। মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মান, শীতলক্ষ্যা সেতু, মেঘনা-ঘোমতি সেতু, মেঘনা সেতু সহ অসংখ্য সেতুর কাজ নির্মানাধীণ আছে। আশা করা যায় এগুলোর কাজ শেষ হলে দেশের যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে।

৯। পোষাক রপ্তানীতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়
বাংলাদেশ পোষাক রপ্তানীতে বিশ্বে দ্বিতীয়। বিশ্ব বাংলাদেশকে চেনে তার গর্বিত তৈরী পোষাক খাতের মানের জন্য। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাদের পোষাক শিল্পকে প্রতি নিয়ত ধ্বংস করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। মূলত: এজন্য প্রায়ই শ্রমিক অসন্তোষের দেখা দিচ্ছে। কিন্তু সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সহিত এসকল ষরযন্ত্রকে দমন করে দেশের তৈরী পোষাক খাতকে সচল রেখেছে এবং অশুভ শক্তির হাত হতে আমাদের পোষাক খাতকে নিরাপদ করেছে। এর পাশাপাশি যাতে করে এখাতে দ্রুত বিকাশ লাভ করতে পারে তার জন্য সহজ নীতিমালা গ্রহন করা হয়েছে। যদিও এখাতের বিকাশ আশি দশকের শুরু হতে কিন্তু এসরকারের আমলেই সবচেয়ে বেশী পোষাক খাতে শ্রমিকদের আন্দোলনের মোকাবেলা করতে হয়েছে। দেশী-বিদেশী ষরযন্ত্রকে মোকাবেলা করেই তৈরী পোষাক খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার।

১০। আন্তর্জাতিক ভাবে দেশের ভাবমুর্তি বৃদ্ধি
বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে দেশে যেভাবে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছিল তার ফলে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ একটি জঙ্গী রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিল। বিদেশীরা এদেশে আসতে দ্বিধা বোধ করতো। আন্তর্জাতিক ভাবে দেশের ইমেজ এতোটাই তলানীতে গিয়েছিল যে, একসময় অষ্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট টিম এদেশের আসতে অনিহা প্রকাশ করেছিল। দীর্ঘদিন যাবৎ জঙ্গী ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের ইমেজের কারনে পাকিস্তানে কেবলমাত্র কোন রাষ্ট্রের খেলোয়ারই যাচ্ছে না বরং সেখানে বৈদেশিক বিনিয়োগও অনেক কমে গেছে। এমন নেতিবাচক পরিস্থিতি থেকে দেশকে ইতিবাচক ইমেজ তৈরী করতে সরকার সচেষ্ট হয় আওয়ামীলীগ সরকার।

১১। একাধিক ভাতা প্রদান
আওয়ামী লীগের এই দশ বৎসরে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে যার দ্বারা সমাজের পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠি সরাসরি উপকৃত হয়েছে। তার মধ্যে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার প্রচলন, দেশে দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় বিশেষ করে প্রজনন মৌসুমে মৎস আহরন নিষিদ্ধ করা আর এই সময়টিতে জেলে সম্প্রদায়কে খাদ্য সহায়তা প্রদান, গরিব শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপ-বৃত্তি প্রদান, প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে বৈশাখী ভাতা, মাতৃত্বকালীন সময়ে গর্ভবতী নারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতারও ব্যবস্থা করেছে এই সরকার এবং সন্তান জন্মদানের পর সন্তানের পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজনে গরিব মহিলাদেরকে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া সরকার গ্রামের পিছিয়েপরা হতদরিদ্র মহিলাদের আয় বৃদ্ধি ও মূলধন গঠনের লক্ষ্যে সরকার ভিজিডি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। এছাড়া দেশের সর্বকালের শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতা বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়। এসকল ভাতাদি প্রদানের কারনে সরকারকে প্রতি বৎসর রাজস্বের একটা বড় অংশ এখাতে খরচ হচ্ছে। তবুও এসরকার এই কার্যক্রমগুলো অব্যাহত রেখেছে। মূলত: একারনেই আওয়ামীলীগ সরকারকে দরিদ্র বান্ধব সরকার বলা হয়ে থাকে।

১২। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি
একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশকে প্রতি বৎসর প্রায় ২০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য বিদেশ হতে আমদানী করতে হতো। এজন্য বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হতো। কিন্তু দেশের জনসংখ্যা ৭ কোটি হতে আজ ১৬ কোটিতে উত্তীর্ণ হলেও দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিখাতে সুষ্ঠ নীতিমালা প্রনয়ণ ও তা কার্যকরার করার মাধ্যমেই মূলত: সরকারের এ সাফল্য এসেছে। কৃষির উপকরনের প্রয়োজনীয় যোগান, কৃষির ন্যায্য দাম ইত্যাদি সুনিশ্চিত করার মাধ্যমে কৃষিতে এক ধরনের বিপ্লব ঘটিয়েছে যা সরকারের খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর ফল। একটা সময় ছিল যখন কৃষক সার চেয়ে বন্দুকের গুলি খেয়েছে আর এই সরকার সারের মূল্য হ্রাস করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমেই কৃষিতে এই অর্জন লাভ করেছে। তাই বলা হয়ে থাকে আওয়ামীলীগ সরকার সর্বদাই কৃষিবান্ধব সরকার।

১৩। নারীর ক্ষমতায়ন
বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া সত্বেও এদেশ আজ বিশ্বের বুকে নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে সাধারণত: ধর্মীয় বাতাবরণের মধ্য দিয়ে নারীদের পর্দা ও গৃহকেন্দ্রীক করে রাখা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারই নারীদেরকে ঘরের বাহিরে এনে তাদেরকে পুরুষের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নিয়োগের সহজ পথ করে দিয়েছে। আজ দেশের প্রশাসনের বড় বড় পদে নারী। সংসদের স্পীকার, রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ উচ্চ পদগুলোতে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা পূর্বের কোন সরকার করেনি।

১৪। কমিউনিটি ক্লিনিক
তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প গ্রহন করেছে। রাষ্ট্রের মানুষের অন্যতম প্রধান মৌলিক অধিকার এই স্বাস্থ্য সেবা। যা নিশ্চিত করার সিংহভাগ দাবীদার এই সরকার। স্বাস্থ্যবান জাতী গঠনের লক্ষ্যেই মূলত: এই সরকার তার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পটি অব্যাহত রেখেছে। এখানে উল্লেখ্য বর্তমান সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করেছিল কিন্তু বিএনপি-জামাত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে এই প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয় ।

১৫। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে যারা বিরোধীতাই কেবল করেনি আমাদের হাজার হাজার মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করেছিল সেই সকল পাপিষ্ট যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একসময় মনে হতো অসম্ভব। কেননা স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বৎসরে তাদেরকে বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন সময়ে পূণবার্সনের মাধ্যমে সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় জীবনের মূল স্রোতধারার সাথে মিশিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারই এই কঠিন ও জটিল কাজটি প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তাদেরকে সর্বোচ্চ সাজা দিতে বাধ্য হন এবং দীর্ঘদিনের অপবাদের বোঝা জাতির উপর হতে অপসারণ করতে সমর্থ হয়। কোন সরকারই কখনই এই বিষয়টিকে আমলে নেয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারই অত্যন্ত সাহসিকতার সহিত তাদেরকে বিচারের ব্যবস্থা করে। এরা কেবলমাত্র ৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধীতাই করেনি বরং ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পিছনেও এই চক্রটির হাত রয়েছে। জেল হত্যা, গ্রেনেড হামলা, কিবরিয়া হত্যা, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা, যশোরের উদিচি হামলা, রমনার বটমূলে হামলা এই সকল হত্যাকান্ডের সাথে ৭১ এর পরাজিত শক্তি জড়িত। কারন এরা আজও ৭১ এর পরাজয়কে মেনে নিতে পারছে না। তাই তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে বিচার করা জাতির জন্য অত্যন্ত জরুরী ছিল। যা আওয়ামী লীগ সরকার অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে একাজটি করেছে এবং জাতিকে কলংকের অভিশাপ হতে মুক্ত করেছে।

আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা

১। দূর্ণীতি দমনের ব্যর্থ
যদিও দুর্ণীতি দমনে সরকার স্বাধীন দূর্ণীতি দমন কমিশন গঠন করেছে এবং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে দূর্ণীতিতে যে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষ স্থান লাভের যে দূর্ণাম রয়েছে তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তথাপিও শেয়ার মার্কেটের জালিয়াতি, কয়লা দূণীতি, ব্যাংকিং খাতের অনিয়ম, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি সহ সরকারের বেশ কিছু ব্যর্থতা রয়েছে এটা অস্বীকার করা যাবে না। এসকল দূর্ণীতির সুষ্ঠ তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহনে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারকে একটা কথা মনে রাখতে হবে দশটি ভাল কাজ নষ্ট হয়ে যায় একটি খারাপ কাজের কারনে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়। অনেক বড় বড় অর্জন ছিল তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর সরকারের যেমন: বঙ্গবন্ধুর যোগ্য দিকনির্দেশনা ও দক্ষ নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করা, ৯ মাসের মধ্যে দেশকে একটি সংবিধান প্রদান করা, ভারতীয় সৈন্য ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পূন:গঠনে কাজ করা, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত সাফল্য ছিল কিন্তু দেশের আইন-শৃংখলার অবনতি ঐসকল বড় অর্জনগুলোকে অনেকাংশে ম্লান করে দিয়েছিল। ঠিক তেমনি বর্তমান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৮-২০১৮ পর্যন্ত শাসন আমলে অনেক বড় বড় অর্জন রয়েছে যা দেশ স্বাধীনতার ৪৭ বৎসরে কোন সরকার করতে পারেনি। এই সকল অর্জনগুলোও ম্লান হবে সরকারের সামান্য কিছু ব্যর্থতার কারনে। একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, স্বাধীনতা অর্জনের পর আওয়ামী লীগের বড় অর্জনগুলোকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সাধারণ জনগনকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। ঠিক তেমনি শেখ হাসিনা বিগত ২০০৮ হতে ২০১৮ পর্যন্ত এই এক দশকে অর্জিত সাফল্যগুলোকে সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা কেবলমাত্র আত্মকলহ ও বিরোধীদের দুর্নাম রটানোর কাজে ব্যস্ত ছিল। এই জন্য সরকারকে অতীতের ভূলভ্রান্তিকে সংশোধ করে আগামীর জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তবে এই সকল সমস্যাবলী মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য ও যোগ্যতা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী শেখ হাসিনার রয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করে।

২। কিছু মন্ত্রীর উস্কানীমূলক আচরণ
সরকার ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে সে অনুযায়ী সরকারের মন্ত্রীদের আচরণগত উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। প্রাচীনকালের রাজা-বাদশাগণ রাজ্যের স্ব স্ব ক্ষেত্রের অভিজ্ঞদেরকেই মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিতেন কিন্তু আমাদের দেশে বর্তমানে যারা মন্ত্রী হন তাদের মধ্যে সেই গুনাবলী সম্পন্ন তেমন একটি দেখা যায় না। আমরা মুখে মুখে উন্নত রাষ্ট্রের আদলে দেশ গড়ার কথা বলব কিন্তু একজন মন্ত্রী সর্বদা উর্ধ্বতনের চাটুকারীতায় কিংবা বিরোধী দলের প্রতি আক্রমনাত্মক বক্তৃতা দিয়ে যাবেন এটাতো হয় না। কিংবা কোন একটা বিষয়ে বেফাস মন্তব্য প্রদান জনরোষের পরবে। মন্ত্রীদের হতে হবে বিচক্ষন ও দুরদৃষ্টি সম্পন্ন, তাদেরকে কথার চেয়ে কাজ বেশী করতে হবে। কারও প্রতি টিপ্পনি দিয়ে বা খোচা দিয়ে কথা বলার নেতিবাচক স্বভাব ত্যাগ করতে হবে।

৩। বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনে কঠোরতা অবলম্বন
দেশে অবাধ গণতন্ত্র চর্চায় বিরোধী দলগুলো সভা-সমাবেশ করার ক্ষেত্রে সরকার কঠোর ভূমিকা পালন করে। এটা দেশে গণতন্ত্রের জন্য অন্তরায়। আবার সরকার এই জাতীয় কঠোর মনোভাবের জন্য বিরোধী দলও অনেকাংশে দায়ী। কারন বিএনপি-জামাত চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সরকারের সরাসরি পৃষ্টপোষকতায় যেভাবে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছিল এবং জ্বালাও, পোড়াও পরিস্থিতির পরিবেশ তৈরী হয়েছিল যেকারনে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে বিরোধী দলের কর্মসূচী পালনে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে। আমাদের দেশে যেদলই বিরোধী অবস্থানে থাকে সেদলই ধ্বংসাত্মক কর্মসূচীর মাধ্যমে সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার পরিবেশ তৈরী করে। বিরোধীদের এমন ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের প্রতি সাধারণ জনগণ প্রথম প্রথম নেতিবাচক মনোভাব দেখালেও একসময় সরকারের উপর বিতৃষ্ণা মনোভাব পোষণ করে থাকে।

পরিশেষে বলা যায় তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে কোন একটি রাজনৈতিক দল যতটা জনপ্রিয়তা নিয়ে ক্ষমতায় আসীন হয় মেয়াদের শেষান্তে সেই জনপ্রিয়তা খুব একটা বজায় থাকে না। কারন তৃতীয় বিশ্বের এই দেশগুলিতে সরকারের উপর জনগনের নানাবিধ চাহিদা পূরন করতে হয়। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোগত এত বেশী চাহিদা সীমিত সম্পদ দিয়ে সকল চাহিদা পূরণ করা কোন সরকারেরই পক্ষেই সম্ভব হয় না। তাই এই দেশগুলিতে মেয়াদান্তে সরকার পরিবর্তন হয়ে থাকে। অথচ দেখা যায় বিশ্বের কিছু দেশ চোখে পরার মত উন্নতি সাধন করেছে মুলত: একটি সরকার কয়েকটি মেয়াদে দেশ পরিচালনার সুযোগ পাওয়াতে। যেমন, মালয়শিয়াতে ড. মোহাম্মদ মহাথির, ভারতের ইন্দিরা গান্ধি, শ্রীলংকায় শ্রীমাভ বন্দরনায়েক, কেনিয়া কেনিয়াথা, ইন্দোনেশিয়াতে সুহার্তো ইত্যাদি রাষ্ট্রের কথা বলা যায় যারা দীর্ঘ মেয়াদে দেশ পরিচালনা করে দেশের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার পর পর দুটি মেয়াদ সম্পন্ন করেছে এবং এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় কিছু ব্যর্থতা ছাড়া সাফল্যের দিক অসামান্য এবং তাদের গৃহিত কিছু মেগা প্রকল্প নির্মানাধীন রয়েছে আশা করা যায় এই প্রকল্প গুলির নির্মান কাজ সম্পন্ন হলে দেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। তাদের হাত ধরেই এই প্রকল্পগুলি সম্পন্ন হওয়া উচিৎ কেননা আমাদের দেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে কোন একটি সরকার কর্তৃক গৃহিত প্রকল্প অন্য সরকার এসে বন্ধ করে দেয়। তাই আরও একটি মেয়াদ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় থাকা দরকার আর এটা নির্ভর করছে একান্তই দেশের মানুষের রায়ের উপর।

লেখক: আলী আমজাদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক

সূত্র: বাংলা সংবাদ
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×