মন্ত্রী পরিষদ, রাজন্যবর্গ, আত্মীয়-স্বজন, সমস্ত রাজ্যের একটাই চিন্তা- কখন আসবে তাদের প্রিয় অথিতি। ভাবতে ভাবতে একদিন সারা রাজ্যে হৈ চৈ শুরু হয়ে গেল, চারিদিকে সারা পড়ে গেল। নতুন অথিতি এসেছে। তাদের বহুপ্রতিক্ষীত চাঁদের চুকরো পৃথিবীতে আগমন করেছে।
বালক চাঁদ একদিন ছুঁয়ে দেয় তরুণকাল। আর স্বপ্নভঙ্গের কষ্টগুলো বড় হতে হতে ছুঁয়ে দেয় তার কষ্টে নীল হওয়া নীল আকাশ। কিন্তু মন্ত্রীপরিষদ, রাজন্যবর্গ, আর প্রজাদের আশার কোন হেরফের হয়না তাকে ঘিরে। বরং তাদের আশাগুলি ডালপালা গজিয়ে মজবুত হয়। ছোট্ট থেকে বিশাল হয়। তারা খুশীতে আত্মহারা, তাদের রাজপুত্র বড় হলো-এবার তাদের মূখ রক্ষা করবে, তাদের মাথা উচু করবে। এতসব সূখ ভাবনায় তারা বিভোর। এসব দেখে রাজা-রাণী সুখে আটখানা। কিন্তু কেউ বুঝেনা দিন দিন পাথর অভিমানী হচ্ছে তাদের রাজপুত্র।আস্তে আস্তে একাকী চুপচাপ হতে থাকে সে। ধুসর মলিন হতে থাকে রাজপুত্রের স্বপ্নরাজ্য। স্বপ্ন ভাঙ্গার যন্ত্রণায় দিশেহারা হয় চাঁদ। মহাকাল পেরিয়ে রাজপুত্র একদিন বড় হয়ে যায়। সীমাবদ্ধতার শেকল পরানো থাকে রাজপুত্রের সোনার দুটি পায়ে। এই শেকলের ভার বইতে বইতে ক্লান্ত হয় চাঁদ। তারুণ্য ছোঁয়া চাঁদের খুব সাধারণ ইচ্ছেগুলো সাধারণের বৃত্তের ভেতর বড় হয়ে যায়।সীমাবদ্ধতার ভেতরে থেকে প্রচন্ডতা পায় আশাগুলো। কিন্তু স্বপ্ন ভঙ্গের আক্রোশে সারারাত জেগে থাকে রাজপুত্র।গভীর রাতে যখন সমস্ত পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়ে, নিজের সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ঘুম পাড়িয়ে ঈশ্বর নিজেও যখন ঘুমের কোলে ঢলে পড়েন, তখন রাজপুত্র নির্বাক নি:ষ্প্রাণ নি:স্বপ্ন জেগে থাকে চুপচাপ।নিজের স্বপ্নগুলোকে দুহাতের মুঠোয় নিয়ে দলিয়ে মলিয়ে রক্তাক্ত করে ব্যর্থ হওয়ার ক্ষোভে। বাঁচার সব আশা হারিয়েও রাজা-রাণীর মুখের দিকে তাকিয়ে বেঁচে থাকে স্বপ্নহীন বালক। হঠাৎ একদিন আধারে ঢাকা রাজপুত্রের জীবনটাকে আলোয় আলোয় ভরিয়ে দিতে বন্ধুত্বের ছায়া নিয়ে এগিয়ে এলো এক রাজকন্যা। আলোকিত হলো চাঁদ।
কিন্তু রাজপুত্রকে ঘিরে প্রজাদের আশাগুলো থেকে যায় আগের মত, সেদিকে খেয়াল থাকেনা রাজপুত্রের।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




