জুল ভার্নের নাম সাইন্স ফিকশনপ্রেমী মাত্রেই চেনে। তার ১৮০০ সালে ফ্রান্সের এক অপরিচিত দ্বীপ নান্তেস এ। তিনি আইনের উপর সর্বোচ্চ ডিগ্রী নেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অল্পদিনের ভেতরেই এক সফল আইনবিদে পরিনত হন তিনি।
আইনবিদ হয়েও তার অন্তঃসত্তা একজন খাঁটি বিজ্ঞানী,অভিযাত্রী আর পর্যটক। তাই এই জীবন তার ভাল লাগল না। তার কল্পনার স্বর্গরাজ্য প্রবাহিত হল কলমের মসী রুপে। অবিশ্বাস্য,অসাধারন সব কাহিনী বেরোতে লাগল তার হাত দিয়ে। কখনও তিনি চাঁদে ছুটছেন,তো কখনও পৃথিবীর একেবারে অভ্যন্তরে। বন জঙ্গল এবং মহাশুন্য,দুটোই তার পদানত। কল্প বিজ্ঞানে তার সাথে আসিমভ বা ক্লার্কের কোনো তুলনা হয় না। সেই উনবিংশ শতাব্দীতে বসে এমন সব কাহিনী রচনা,এর সাথে একমাত্র গোয়েন্দা কাহিনীর সম্রাট কোনান ডয়েলের তুলনা চলে।
কল্পবিজ্ঞান লেখকদের বিজ্ঞান জগতে সমাদরের অন্যতম কারন,তারা ভবিষ্যতের আবিস্কারকে প্রভাবিত করেন। জুল ভার্ন এমনসব কল্পনা করেছিলেন,যা পরবর্তীতে আমাদের কাছে বাস্তব হয়ে ধরা দিয়েছে।
তিনি পর্যটক ছিলেন না। তার অবিশ্বাস্য কাহিনীগুলি পড়তে পড়তে আমরা যখন মানসভ্রমনে বেরোই,ভাবতেও অবাক লাগে শুধুমাত্র নিজের ঘরে বসে এমন বর্ণনা কিভাবে সম্ভব।
তার মিষ্টিরিয়াস আইল্যান্ডের কথাই ধরা যাক। এই গ্রন্থটি আমার ছোটবেলায় প্রচন্ড আকৃষ্ট করেছিল,তার ক্যাপ্টেন সাইরাস হার্ডিং এর উদ্ভবনী শক্তির কারনে। খালি হাতে তিনি সব কিছু বানিয়ে ফেললেন!
'টুয়েন্টি থাউজেন্ড লীগস আন্ডার দ্য সী' তার আর একটি অবাস্মরনীয় উপন্যাস। সাবমেরিনের চিন্তাই শুধু করেননি,তার খুঁটিনাটি তথ্যও তিনি আমাদের দিয়েছেন।
'এরাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটটি ডেজ' তার আর একটি ক্লাসিক। সারা পৃথিবীকে আশি দিনে পর্যটন করা সম্ভব কিনা,এই নিয়ে দুই বন্ধুর বাজি থেকে যার উৎপত্তি। আর মাঝখানে সব মহাদেশেরই অসাধারন কিছু ঘটনা দিয়ে শেষ হয়েছে আরও একটি চমক দিয়ে। রওনা হওয়ার একাশি দিনের মাথায় পৌঁছেও বাজী জিতে গেলেন প্রফেসর।
'ফাই্ভ উইকস ইন এ বেলুন' তার ভ্রমনের অসাধারন আর একটি বর্ণনা। বেলুন প্রয়োজনমত ওঠানো নামানোর কৌশলটার কোনও তুলনা আমার মনে আসে না।
এই সমগ্রতে জুল ভার্নের ৩৩ টা গল্প উপন্যাস অন্তর্ভুক্ত আছে। আপনার কাছে রাখার মত একটি বই অবশ্যই। আর যাদের স্কুল পড়ুয়া ভাইবোন বা ছেলেমেয়ে আছে,তারা অবশ্যই এই বইটা রাখবেন। বইটা ডাউনলোড করতে নিচের
সাইটে যান,
http://www.boiRboi.blogspot.com
(আমার সাইটে আমি প্রতিদিনই নতুন নতুন বই দিই,যা নেটে আগে কোথাও আপলোড করা হয়নি। তবে লেখক,প্রকাশকদেরও বই বিক্রি হওয়ার দরকার। নাহলে আমরা আরও নতুন বই পাব কি করে? তাই নিজেদের ব্যবহারিক জীবনে বই কেনা বাড়ান। কোনও উৎসবে অবশ্যই বই উপহার দিন। এখান থেকে কোনও বই পড়ে ভাল লাগলে সেটার হার্ডকপি বাজার থেকে কিনে আনুন। বই কখনও আপনার ক্ষতি করবে না,যদি তা ভাল বই হয়।)