প্রায়শ, অশ্রু গড়িয়ে পড়ে অঝোরে অক্ষরের গায়ে
কিছুতেই উচ্চারণ আসেনা, হরফের সারসার শুষ্ক পাতা
নিষ্প্রাণ বাক্যের কঙ্কালে আঙ্গুল আটকে থাকে
নিরর্থক হয়ে যায় তোমার কালামের সমস্ত আয়োজন।
ওগো মুর্দিশ, চোখবুজে তোমার মুখচ্ছবি ভাবি
প্রকাশের বিচ্ছুরণবাহিত ঠোট, কণ্ঠের অতীন্দ্রিয় ছটা
দ্যুতিময় অপার্থিব মুহূর্তের গান...
সাকার সম্পর্কের সেতু, স্পর্শে উদ্ধার
অনির্বচনে নিষিক্ত বাক্যের আশ্রয় তুমি
কর্তা ভজানার চন্দ্রোদয়ে, দিব্যতার স্বাধ আর স্বারক।
সেই আর্বিভাব বিরহিত অনুপস্থিতির এই ধার্য ছায়ায়
তোমার ছড়িয়ে যাওয়া চিহ্নের বাগানে ভীষণ কোলাহল
যারা উদ্বাহু, পরিপাটি সুরক্ষার গর্জনে যাবতীয় স্মৃতিচিহ্ন
ব্যক্ত ও অব্যক্তের মাঝে নিশানা ও নিরিখ নিশ্চিহ্নে মত্ত
পাখি, পুষ্প, পতঙ্গের গুঞ্জরণহীন প্রকোষ্ঠে ঢেকে দিচ্ছে সব
তোমার অনিন্দ্য উৎসারণের কিছুই পায়নি খোঁজ, দৃষ্টিহীন
আহরণ করেনি নির্যাস, শুধু অলঙ্কারের মাংশে আনাগোনা।
সমর্পন নেই, সাক্ষ্য থেকে সিদ্ধ অক্ষরের অন্তজ অর্থক্রিয়ায়
প্রেরিত বার্তা ও কর্তার কুসুম হৃদয়, ভক্তিপদে আশ্রয় নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




