৫৩৮টি গাড়ি চায় নির্বাচন কমিশন
পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকার ইভিএম কেনার প্রকল্প।
৬ মাইক্রোবাস ভাড়া নিতে ৬ কোটি টাকা।
প্রতি ইভিএমে খরচ আগের চেয়ে ১ লাখ টাকা বেশি।
ইভিএম রাখার ঘর বানাতে ৩৬৯ কোটি টাকা চায়।
সিসি ক্যামেরায় খরচ হবে ১৩১ কোটি টাকা।
ইসির নতুন প্রকল্প প্রস্তাব থেকে জানা যায়, প্রতিটি ইভিএমে এবার আগের চেয়ে বেশি গুনতে হবে কমপক্ষে এক লাখ টাকা। আনুষঙ্গিক বিষয়সহ ইভিএম কেনায় প্রকল্পে আগের চেয়ে বাড়তি ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এ প্রকল্পে গাড়ির বিশাল বহরও চায় ইসি। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচনী কার্যালয়ে ইভিএম আনা-নেওয়ায় গাড়ির পেছনে খরচ হবে ২৭০ কোটি টাকা। থাকবে গুদাম নির্মাণসহ অন্যান্য ব্যয়ও। নির্বাচনের এক বছর আগেই প্রকল্পটি পাস করাতে চায় ইসি। প্রকল্প ব্যয়ের পুরোটাই সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে।
এ প্রকল্প প্রস্তাবের ওপর কোনো সমীক্ষা বা সম্ভাব্যতা যাচাই বা বিনিয়োগ-পূর্ব যাচাই-বাছাইও করা হয়নি। যদিও পরিকল্পনা কমিশন বলছে, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে কতটা সুফল পাওয়া যাবে, ব্যয় ও বাস্তবায়ন কৌশল কী হবে, সমীক্ষা থেকেই তা ধারণা পাওয়া যায়। সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প-সম্পর্কিত পরিপত্র অনুযায়ী, প্রকল্প ব্যয় ৫০ কোটি টাকার বেশি হলে তার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা বাধ্যতামূলক। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার নির্দেশনাও দিয়েছেন। কারণ, সমীক্ষা ছাড়া প্রকল্প নেওয়ায় সেগুলো বারবার সংশোধন করতে হয়। এতে ব্যয় আরও বেড়ে যায়।
ইসি অপচয়ের বড় আয়োজন করছে। এই টাকা জনগণকেই শোধ করতে হব
সূত্র ঃ আজকের পত্রিকা
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮