কিন্তু জনি মারা গেছে । তার হাসি আর ঠাট্টা এখন কেবলই অতীত । অনেক রাউন্ডআপে, অনেক কঠিন কর্মক্লান্ত দিনের শেষে জনির হাসি-কৌতুক পরিস্থিতিকে উজ্জীবিত করেছে । অবশ্য কোন সাধুপুরুষ ছিলনা জনি । পিস্তলে হাত ছিল তার ভালোই এবং অনেক হাঙ্গামায় জড়িয়েছে সে তার জীবনে ।
'ঘোড়াটাকে হাঁটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সে ।' বলে উঠল কেসনি । '
'ভারী মানুষ,' একমত হল হার্ডিন । 'আমাদের লম্বা দৌড় দৌড়াতে চায় ও ।'
'ঘোড়াটার পায়ে চোট লাগেনি তো ?' জানতে চাইল কেসনি ।
'না, খোঁড়ানোর কোন আলামত দেখা যাচ্ছেনা । লক মানুষটা আসলে বুদ্ধিমান ।'
প্রায় হাঁটু সমান ধুলোর মাঠ থেকে বেরিয়ে শক্ত পাথুরে প্রান্তরে এসে পড়েছে ওরা । হঠাৎ ঘোড়ার রাশ টেনে থামিয়ে আঙ্গুল তুলে দেখাল হার্ডিন ।
'দেখো ওখানটায়,' শক্ত মাটিতে ছলকে পড়া কয়েকফোঁটা তরলের দিকে তার আঙ্গুল । 'পানি ছলকে পড়েছে ।'
'অসাবধানী,' বলল নীল । 'পানির খুব দরকার হবে ওর ।'
'না,' জানাল কেসনি । 'একডলার বাজি ধরে পারি, একটা কাপড়ে পানি ঢেলে ঘোড়ার নাকে জমা ধুলো সাফ করে দিয়েছে ও, ।'
'ঠিককথা,' একমত হল হার্ডিন । 'সেটাই করেছে ও, এরকম করলে ঘোড়া অনেক ভালভাবে নিশ্বাস নিতে পারে । দৌড়ের ওপর আছে এমন লোক, একটা ভাল ঘোড়াকে খাটিয়ে মেরে ফেলতে পারে ।'
প্রায় ঘন্টাদেড়েক চুপচাপ ঘোড়া হাঁকাল ওরা । সুর্জের দিকে তাকিয়ে চোখ কোঁচকাল নীল, এতোক্ষন ওটা ওর বাঁয়ে ছিল, এখন সোজা সামনে ।
'কী করছে ও' অবাক গলায় বলল কেসনি । 'এটা ওর বাড়ি ফেরার রাস্তা নয় !' ট্রেইল আবার বাঁক নিল, সুর্য পেছনে পড়ল ওদের । হার্ডিন নেতৃত্ব দিচ্ছিল আগে থেকে, ঘোড়ার রাশ টেনে গাল বকল ও ।
বাকিরা ওর পাশে ছড়িয়ে পড়ল অন্যরা । সামনের একটা খাদ মরুভুমির বুক চিরে চলে গেছে ওদের সামনে । ঠিক নীচেই একটা জায়গায় যেখানে একটা ঘোড়া দাঁড়িয়ে ছিল অনেকক্ষন । খাদের পাড়েই একটা একটা শাদা কিছু গ্রিজউড ঝোপে পতপত করে উড়ছে ।
জিন থেকে নামল কেসনি । খাদটা পেরিয়ে শাদা কাগজটা তুলল সে ঝোপ থেকে । মুখ খারাপ করতে শুনল তাকে অন্যরা । ফিরে এসে হার্ডিনের হাতে তুলে দিল সে কাগজটা, ভীড় করল অন্যরা ওদের পাশে ।
হার্ডিনের পড়া হলে ওর হাত থেকে কাগজটা নিল নীল । কোন একটা বইয়ের পাতা থেকে ছিঁড়ে নেয়া হয়েছে কাগজটা, গোটা গোটা হরফে লেখা তাতে;
'বন্দুকযুদ্ধটা খুব নায্যভাবেই হয়েছিল, আর আমাকে ধরার জন্য ছয়জন যথেষ্ট নয় । ফিরে গিয়ে আরও লোক নিয়ে এসো । ধুসর কাপড় পরা লোকটাকে বলছি জিনের পেটি আরও কষে বাঁধতে । নইলে ঘোড়ার পিঠে ব্যাথা হবে ।'
'কী আস্পর্দা..' নীচু গলায় বলল শর্ট । 'আমাদের ঠিক পঞ্চাশ গজের মধ্যে ছিল লোকটা, যখন আমরা বাঁক নিলাম । জিনের খাপে রাইফেল ছিল নিশ্চয়ই । আমাদের একজনকে অনায়াসে ফেলে দিতে পারত ও ।'
'সত্যি বলতে কী আমাদের দুজনকে ফেলতে পারত ।' কিমেলের মন্তব্য । ওরা সবাই একবার কাগজটার দিকে চেয়ে নীচের খাদটার দিকে চাইল । বালির মধ্যে একটা পায়ে চলা পথ দেখা যাচ্ছে, গরু-বাছুর চলাচলের আলামতও পাওয়া যাচ্ছে । তবে ওখানে চলার গতি ধীর হয়ে যাবে ।
লাল হয়ে ওঠা মুখে জিনের পেটি শক্ত করে বাঁধল নীল, অন্যরা চোখ ফিরিয়ে রাখল । একজনের অপমান, সকলের অপমান । লোকটা বিড়াল-ইঁদুর খেলছে ওদের সাথে, ব্যাপারটা ওদের মোটেই পছন্দ হচ্ছেনা ।
'অন্যায় হয়নি !' বিস্ফোরিত হল সাটার । 'পিঠে গুলি করে মেরেছে ও জনিকে !'
ট্রেইল নেমে গেছে খাদের মধ্যে, চলার গতিও ধীর হয়ে গেছে তাই । ওপরের মরুভুমিতে তাও দুচার ঝাপটা হাওয়া লাগছিলো গায়ে, খাদের মধ্যে একেবারে তন্দুরের গরম । মনে হয়ে ভারী বাতাস ঠেলে চলেছে ওরা । ঘাম স্রোতের মত গড়িয়ে পড়ছে ওদের মুখ আর দাড়ি বেয়ে ।
খাদ থেকে বেরিয়ে খোলা বালিময় মাঠে পড়ল ওরা আবার, ট্র্যাকগুলো অনেক পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে এখন । মনে হচ্ছে ইচ্ছা করেই ট্রেইলটা সবচয়ে খারাপ জায়গা দিয়ে চলছে এখন । কারন সামনে একটা ক্ষারের আস্তর পড়া হ্রদ । হ্রদের পানির পানির কিনারে এসে ট্রেইলটা হারিয়ে গেছে । ঘোড়া সমেত হ্রদের পানিতে নেমে গেছে লক । অবিশ্বাসের চোখে হ্রদের কিনারে রাশ টেনে দাঁড়াল ওরা ।
'এটা পার হতে পারবেনা ও,' রায় দিল হার্ডিন । 'মাঝখানে গভীর, সাঙ্ঘাতিক বিপজ্জনকও হ্রদটা । একটা ঘোড়া অনায়াসে হ্রদের পাঁকে আটকা পড়তে পারে ।'
পাড় ধরে সাবধানে লেকটা পাশ কাটাল ওরা । তিনজন একদিকে গেল, বাকি তিনজন আরেকদিকে । হঠাৎ ঘাড় ফিরিয়ে কেসনিকে হাত তুলতে দেখল নীল । ' পেয়েছে ওরা একটা কিছু, চল পেছনে ফিরে যাই ।' ফিরতে ফিরতে ভাবল নীল, দেরী হয়ে গেল খানিকটা ।
'সোজা ওর র্যাঞ্চ বরাবর চলিনা কেন আমরা ?' শর্টের পরামর্শ ।
'তা আমরা যেতে পারি,' বলল হার্ডিন । 'কিন্তু ও আমাদের ধাপ্পা দিয়ে ওটার ধারে কাছে নাও যেতে পারে । তাহলে ওকে হারাব আমরা ।'
সহজ হয়ে এল ট্রেইলটা । এখন সোজা পর্বতমুখো হয়ে চলছে লক ।
'যাচ্ছে কোথায় ও?' বিরক্ত গলায় বলল কেসনি । 'কিচ্ছু বোঝা যাচ্ছেনা ।'
কোন উত্তর দিলনা অন্যরা । সবাই এখন একজনের পেছনে আরেকজন, একসারিতে চলেছে । হঠাৎ সামনে থাকা কিমেল দাঁড়িয়ে পড়ে হাত দিয়ে দেখাল একটা কিছু । পানির একটা ছোট্ট সরু ধারা পড়ছে পাথরের দেয়াল বেয়ে, ছোট ছোট পাথর ফেলে একটা বেসিন মতো বানানো হয়েছে পানি ধরে রাখার জন্য ।
'হাহ!' ওদিকে তাকিয়ে বলল হার্ডিন । ' এ ঝর্ণাটার কথা জানতান না আমি । পানি খেয়ে নেয়া যাক ।' বলে জিন থেকে মাটিতে নামলো সে । সবাই নামল ঘোড়া থেকে, একটা সিগারেট পাকাল নীল ।
'কেউ একজন বানিয়েছে, এই পানি ধরে রাখার বেসিনটা,' মন্তব্য করল নীল । 'পাথরগুলো মোটেই পুরনো নয় ।'
শর্ট চোখ বোলাল ওদের ওপর । 'লোকটা একটা ধুর্ত শেয়াল । ঝানু, পাকা ওস্তাদ । একজন মানুষ আর তার ঘোড়া পানি খেতে খুব বেশি সময় লাগার কথা নয় । ছয়জন মানুষ আর ছয়টা ঘোড়া ! আমাদের দেরি করিয়ে দেয়ার জন্যই ও এটা করেছে ।'
'তোমার কী ধারনা ও এটা প্ল্যান করেই করেছে ?' জানতে চাইল সন্দিগ্ধ নীল ।
ঘাড় ফিরিয়ে নীলের দিকে চাইল হার্ডিন । 'শিওর, লক এটা ভেবে চিন্তেই করেছে ।'
আবার ঘোড়ায় চেপে চললো ওরা । নীল ভাবছে ব্যাপারটা, লক লোকটা আসলেই ধুরন্ধর । মরুভুমির রাস্তা ঘাট সে চেনে হাতের তালুর মতো । এই ঝর্ণাটার কথা হার্ডিন পর্যন্ত জানতোনা, আর ও এখানে বিশবছর হয় স্প্রিংভ্যালিতে আছে । লক ওদেরকে টেনে নিয়ে চলেছে, পথহীন দুর্গম পর্বতমালার পথ ধরে । সোরেনসন প্লেস অবশ্য বেশি দুরে নয় ।
ক্ষয়ে যাওয়া পাহাড়ের পাদদেশ ধরে, ওরা একটা ঘোড়া চলতে পারে, এমন একটা রাস্তা ধরে চলছে । পথের ধারে জোশুয়া আর স্প্যানিশ বেওনেটের সারি । ভাঙ্গাচোরা পথ, শুকনো কালো লাভার স্রোত নেমে এসেছে পর্বত থেকে মরুভুমি পর্যন্ত । ট্রেইলটা ওপরে উঠতে শুরু করল, গালে মৃদুমন্দ বাতাসের ছোঁয়া পেল ওরা । ভুরুর ওপরের ধুলো মুছতে গেল নীল, চলটা হয়ে ঝরে পড়ল সেটা ।
বাঁক নিল ট্রেইলটা । লালচে পোড়া বেলে পাথরের ওপর দিয়ে চলছে ওরা এখন, তারপরে লাভার ওপর, পাহাড়ের পাশ দিয়ে চলছে, পাহাড়ের সবগুলো স্তর একটা কেকের মত দেখা যাচ্ছে । এবার ট্রেইলটা নেমে এল নীচে, প্রকান্ড প্রকান্ড সব বোল্ডার ছড়ানো আশপাশে । জিনের ওপর নেতিয়ে পড়েছে নীল । অনেকক্ষন ধরে চলছে ওরা, ট্রেইল শেষ হবার কোন আলামতই দেখা যাচ্ছেনা ।
'ভাগ্য ভালো আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করছেনা ও,' কয়েকঘন্টা পর এই প্রথম মন্তব্য করল কিমেল ।'আমাদের একেবারে মাছি মারার মতো করে খতম করে দিতে পারে ও ।'
যেন একথাটা শুনেই, একটা ক্রুদ্ধ গুঞ্জন উঠল বাতাসে, কয়েক মুহুর্ত পর শোনা গেল রাইফেলের গর্জন । যে যেদিকে পারে ছিটকে সরে গেল ওরা, একই সাথে জিনের খাপ থেকে দ্রুতহাতে বের করছে রাইফেল । শর্ট তার ঘোড়া থেকে নেমেই কাভারের জন্য ছুটেছিল । খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল ওর ঘোড়াটা, জিনের পাশে বাঁধা পানির ক্যান্টিন । হঠাৎ বুলেটের বাড়ি খাওয়ার ঠকাস শব্দে চমকে লাফ দিল ঘোড়াটা । কয়েকমুহুর্ত পরেই করাৎ করে রাইফেলের আওয়াজ পেল ওরা ।
হিংস্রভাবে গাল দিল শর্ট । 'শালা যদি আমার ঘোড়াকে খুন করে, তবে ...।' কিন্তু ঘোড়াটা মনে হল অক্ষতই আছে, যদিও নার্ভাস ।
'ও তোমার পানির ক্যান্টিন ছ্যাঁদা করে দিয়েছে!' চেঁচাল কেসনি ।
সত্যি, ঘোড়াটার পাশদিয়ে পানি চুঁইয়ে পড়ছে মাটিতে । উঠতে যাচ্ছিল শর্ট, কিন্তু বাহু ধরে আটকাল ওকে সাটার ।
'সামলে ভায়া!' ও যদি তোমার ক্যান্টিনে গুলি লাগাতে পারে তো তোমার গায়েও গুলি বেঁধাতে পারবে ও ।'
ওরা অপেক্ষা করে রইল । চুঁইয়ে পড়া পানির স্রোত একসময় বন্ধ হল । সবাই ক্রুদ্ধ চোখে চেয়ে আছে পাথরের দুর্গম দেয়ালের দিকে । ভাগ্য ভালো ঝর্নায় গিয়ে সবগুলো ক্যান্টিন ভরে নিয়েছিল ওরা, চলে যাবে ওদের । কিন্তু ব্যাপারটা ভাবিয়ে তুলছে ওদের । ওদের শিকার চ্যাট লক, যাকে খুনের দায়ে ধাওয়া করছে ওরা, ওদেরকে নিয়ে খেলাচ্ছে । ওদেরকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে সে যেখানকার রাস্তাঘাট শুধু সেই চেনে । একটা ক্যান্টিন গুলি করে ফুটো করে বুঝিয়ে দিল সে । নিঃশব্দে বালি আর পাথরের ওপরে শুয়ে অপেক্ষা করছে ওরা ।
কেউ প্রথমে আগে বাড়তে চায়না । চ্যাট লক যে রাইফেলটা খুবই ভালো চালায় সেটা সে বুঝিয়ে দিয়েছে । অবশেষে হ্যাটটা রাইফেলের নলের ডগায় রেখে সেটা পাথরের ওপর উঁচু করল, কিছু ঘটলনা । এবার পাথরের পাশ দিয়ে বের করল সে হ্যাটটা ।
আবারও কিছু ঘটল না দেখে হ্যাটটা ফেরত আনছিল, এমন সময় হ্যাটটার অল্প দূরে এসে একটা গুলি এসে লাগল । জানিয়ে দিল লক, সে এখনও ওখানে আছে; এবং এত সস্তা চালাকিতে ধোঁকা খাবেনা ও ।
অপেক্ষা করতে লাগল ওরা । হঠাৎ হার্ডিন উঠে হামা গুঁড়ি দিয়ে পাশে সরে যেতে লাগল । অন্যরা তাকিয়ে দেখতে লাগল ওকে । ভাল কাভার আছে হার্ডিনের, গুঁড়ি মেরে অজ্ঞাত পরিচয় মার্কসম্যান যেখানে পজিশন নিয়েছে সেখানে চলে যেতে পারে সে । শেষমেষ ওদের দৃষ্টির আড়ালে চলে গেল সে । ক্যান্টিনের পানি চুমুক দিতে দিতে ঢুলতে লাগল লাগল নীল ।
চিৎকার শুনে সম্বিত ফিরল ওদের । মুখ তুলে চেয়ে দেখল একটা পাথরের ওপর দাঁড়িয়ে ওদের দিকে হাত নাড়ছে হার্ডিন । হার্ডিনের ঘোড়াটাকে দড়িতে বেঁধে জিনে চাপল অন্যরা, ট্রেইলের ধারে হার্ডিনের সাথে দেখা হল ওদের, চোখ গরম করে ট্রেইলের দিকে তাকিয়ে আছে সে ।
'চলে গেছে!' শক্ত হাতের তালু বাড়িয়ে দেখাল হার্ডিন । হাতের তালুতে তিনটে গুলির খোসা । 'খাড়া করে রেখেছিল সে এগুলোকে একটা ট্রেইলের ধারে একটা পাথরের ওপর, ওখানে দেখ ।' আঙ্গুল তুলে দেখাল সে । মাটিতে পাথর ফেলে ফেলে তীরচিহ্ন তৈরি করা হয়েছে । এবং পাশেই বেলে পাথরের ওপর আঁচড় কেটে লেখা, 'এই চিহ্ন ধরে যাও ।'
মাথার হ্যাটটা তুলে রাগে মাটিতে আছড়ে ফেলল কেসনি ।
'শালার বাঞ্চোত...!' বলে থেমে গেল সে । যে লোকটাকে ওরা ধাওয়া করছে, সে ওদের পাত্তাই দিচ্ছেনা । বোকা বানাচ্ছে সে ওদের, এমনভাবে আচরণ করছে যেন ওরা সব আনকোরা, আনাড়ি নবিশ ।
'পিঠে গুলি করা হারামী লোকটা !' ঘোষনা করল শর্ট । 'খুব খুশী হয়েই ওর গলায় দড়ি পরাব আমি । ওরা ধারনা ও খুব চালাক !
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



