শৈশব পেরিয়ে যখন কৈশোরে পা দিয়েছি, তখন থেকে রোহিণীকে আমার খুব ভাল লাগত। তার নাম ভালোবাসা না মুগ্ধতা আমি জানি না।
তবে পুরো কৈশোর জুড়ে আমি রোহিণীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতাম, ঘুমেও দেখতাম,জেগেও দেখতাম। কখনও আমি প্রেমিক সেজে রোহিণীর সাথে প্রেম করছি, আবার কখনও বর বৌ সেজে সংসার করছি।
মুখ ফুটে কখনও রোহিণীকে কিছু বলি নি, বলতে পারিনি অথবা বলার ইচ্ছেটাও সেভাবে হয় নাই।
আমার মুগ্ধ চোখের দৃষ্টিতে রোহিণী কিছু খুঁজে পেত কি না জানা হয় নাই, জানা হয় নাই সেও আমায় নিয়ে ভাবত কি না।
গ্রামের মধ্যে রোহিণীদের আর্থিক অবস্থা সবচেয়ে ভাল, রোহিণী দেখতে সুন্দর, মেধাবী,অসম্ভব চঞ্চলা আর দুষ্টু।
এস,এস,সি, পাস করার পর, এক বড় লোকের ছেলের সাথে রোহিণীর বিয়ে ঠিক হল। শুনলাম, ছেলেটা ইঞ্জিনিয়ার, ভাল চাকরি করে।
বিয়ের আগের দিন বিকেল বেলা, রোহিণী আমার ঘরে এলো, বলল; হাসান ভাই, আমার কাল বিয়ে তুমি জান? আমি বললাম, জানি তো। অনেক বড় লোকের বৌ হচ্ছিস শুনলাম। ইস! কেন যে তোর মত মেয়ে হলাম না!
তোদের কি সুখ! অন্যের ঘাড়ে চড়ে সারা জীবন ফুটানি মারবি। আর আমাদের লেখা-পড়া করো, প্রতিষ্ঠিত হও,আয় উপার্জন করো আর তার পরে আরেক জনকে ঘরে এনে তার সকল দায়িত্ব পালন কর। কি দাস খত রে বাবা! গোলাম হয়ে মহারানীর সকল সুখ-সুবিধার ব্যবস্থা কর।
এই কথা? এটা ভাবলে না যে একটা অচেনা, অজানা মানুষ, তার ইচ্ছের উপর আমার সবকিছু নির্ভর করবে। ভাল হলে তো ভাল, কিন্তু, যদি মানুষটা আমারে না ভালোবাসে, বা আমি তারে ভালোবাসতে না পারি তাহলে কি হবে?
তোরে ভালবাসবে না এমন ছেলে আবার দুনিয়াতে আছে নাকি?
তোমার তাই মনে হয়?
হবে না কেন?
তুমি ভালোবাসো?
আমি বাসব কেন? তোকে তোর বর ভালবাসবে।
এই যে বললে, দুনিয়ায় এমন কোন ছেলে নাই যে আমায় ভালো না বাসবে। তুমি ছেলে না?
এই,ফাও প্যাঁচাল পাড়ি স না, এখন যা, সন্ধ্যা হয়ে এলো। তোর না আজকে গায়ে হলুদ হয়েছে; আর দেরি করলে ভুতে ধরবে। জানিস না ভুতেরা নতুন বৌ খুব পছন্দ করে?
ভুতে ধরে ধরুক, তুমি তো আর ধরছ না।
মলিন মুখে আরও কিছুক্ষণ বসে থেকে রোহিণী ধীরে ধীরে বের হয়ে গেল।
আমার তখন ওকে নিয়ে ভাবার সময় নাই, মেডিকেলে চান্স পেতেই হবে। যে কম্পিটিশন! শুধু রেজাল্টে কুলাবে না, ভর্তি পরীক্ষায়ও ভাল স্কোর করতে হবে।
পরদিন রোহিণীর বিয়ে হয়ে গেল।আর সপ্তাহ খানেক পরে আমিও ঢাকায় গেলাম ভর্তি পরীক্ষা দিতে।
পরীক্ষা ভাল হল, ফুরফুরে মন নিয়ে আমি বাড়ি ফিরে এলাম। কি ব্যাপার! আমার সবকিছু এমন শূন্য শূন্য লাগছে কেন? কি যেন নাই, কি যেন নাই!
গাছতলায়, পুকুর পাড়ে, পথের বাঁকে, উঠানে, যে সব জায়গায় রোহিণীকে দেখতাম, সে সব জায়গা থেকে না পাওয়া দৃষ্টি আমার বার বার ব্যথাহত হয়ে ফিরে আসছে।
কিছুতেই মন বসাতে পারছি না, কোন কিছুই ভাল লাগছে না, না খেতে, না ঘুমাতে, না বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে। গল্পউপন্যাস পড়া ধরলে আমি শেষ পৃষ্ঠা পড়ার আগে রাখতাম না, এখন এক পৃষ্ঠাও পড়ার ধৈর্য হচ্ছে না, এত প্রিয় গান শুনা, তাও কানে বিষের মত লাগছে।
কতদিন এমন ছট ফট করি, সবাই ভাবে রেজাল্টের টেনশন। আমি কোন কারণ খুঁজে পাই না।
রেজাল্ট হল, আমি মেডিকেলে চান্স পেলাম। শুরু হল পড়া-শুনা; পড়ার প্রচণ্ড চাপে বেশীক্ষণ মন খারাপ করার সুযোগ পাই না। বাড়ি গেলেই কষ্ট হয়।অস্থির হয়ে পড়ি, দুই এক দিনের বেশি থাকতে পারি না।
মা মারা যাওয়ার পর থেকে বাড়ি যাওয়া একেবারেই বাদ দিয়ে দিলাম, আব্বা তো নাই সেই ছোট বেলা থেকে। ভাই-ভাবি চিঠির পরে চিঠি লেখে; আমার যেতে ইচ্ছে করে না।
বন্ধুরা দেখি, কতজন প্রেম করে, গার্ল ফ্রেন্ড নিয়ে বেড়ায়, ঘোরে, কতকিছু করে, আমার ওসব হয় না; ওরা আমায় অনেক ঠাট্টা করে কিন্তু আমি কারো সাথে মিশলে কিছুদিন পর আর তারে ভাল লাগে না। নাহ, এর হাসিটা রোহিণীর মত মিষ্টি না,কথায় রোহিণীর মত মায়া নাই, চপলতা নাই, আকর্ষণ নাই।
সকল মেয়ের মধ্যে আমি শুধু রোহিণীকেই খুঁজে ফিরি। যে রোহিণীকে কখনও অনিবার্য বলে মনে হয় নাই,ভেবেছি অমন রোহিণী সময় মত ঢের পাওয়া যাবে। আজ একটা রোহিণীও আমি খুঁজে পাচ্ছি না।
দিন যাচ্ছে আর আমার চেতনার চৈতন্য গাছ ফলে ফুলে সুশোভিত বৃক্ষে রূপান্তরিত হয়ে আমায় বুঝাচ্ছে এবং ভাল মতই বুঝাচ্ছে; রোহিণী আমার কি! সে ছাড়া আমি কতটা নিঃস্ব, কতটা একা, কতটা অর্থহীন আমার জীবনের সকল অর্জন।
মেডিকেলের চার বছর আর ইন্টার্র্নির এক বছর পার হতে লেগে গেল সাত বছর। এর মধ্যে একবার মাত্র বাড়ি গিয়েছি, ভাবির কাছে শুনলাম, রোহিণী এখানে খুব কম আসে। ভাবলাম আসবে কেন! কত সুখে আছে,এই গণ্ড গ্রামে তার আর কি কাজ!
আমি বড় লোকের ছেলে না যে, বাপের টাকায় উচ্চতর ডিগ্রী নিতে পারব, আমার আগে চাকরি দরকার। তাই বি সি এস পরীক্ষা দিলাম। নিয়োগ হয়েছে বাংলাদেশের শেষ প্রান্তে গ্রামের এক হাসপাতালে। মন কিছুতেই চাইছে না এই আলো ঝল-মলে ঢাকা শহর ছেড়ে ওই অজ পাড়াগাঁয়ে যেতে কিন্তু উপায় নাই। যেতেই হবে, আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওখান থেকে আসার চেষ্টা করতে হবে।
ভাবলাম ওখানে যাওয়ার আগে ভাই-ভাবির কাছ থেকে একবার ঘুরে আসি, তাই বাড়ি গেলাম।
পরদিন ভাবি বলল, রোহিণী খুব অসুস্থ, অনেক দিন থেকে এ বাড়িতে আছে, তুমি একবার যেয়ে দেখে এস, আর দেখ বুঝায় সুঝায় পার কি না ডাক্তারের কাছে পাঠাতে।
কেন কি হয়েছে রোহিণীর?
কি হয়েছে কি করে বলব? ডাক্তার না দেখালে কিভাবে বুঝা যাবে যে ওর কি হয়েছে! সে তো ডাক্তারের কাছেই যাবে না। শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে; একদিন দুইদিন পর পর জ্বর আসে; এ অবস্থা অনেক দিন ধরে।
দেখি আমি বিকেলে একবার যাব।
তখন বৈশাখ মাস, খাঁ খাঁ রোদ্দুর,মাঠ ঘাট বৃষ্টির অভাবে ফেটে চৌচির; ঝিমিয়ে পড়েছে গাছ-পালা, গোটা প্রকৃতিই যেন মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে। বিকেলে গেলাম রোহিণীদের বাড়ি।
পথে বের হয়ে ভাবছি, ভাবির কাছে তো শুনে আসলাম না ওদের বাড়িতে কে কে আছে। কাকা-কাকী মা মারা গেছে শুনেছি বছর দুই আগে কয়েক দিনের ব্যবধানে। রোহিণীর তো কোন ভাইবোনও নাই।
সাত বছর পর আজ রোহিণীর সাথে দেখা হবে। ও কি লজ্জা পাবে আমায় দেখে! আমার তেমন নতুন কিছু মনে হচ্ছে না, কারণ আমার সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে রোহিণী সেই আগের মতই আছে। নিত্যই ওর সাথে আমার কথা হয়, কাছে থাকা হয়, কাছে পাওয়া হয়।
রোহিণী যদি বুঝতে পারে আমার মনের অবস্থা, তাহলে কি করব? না, না, ওকে কিছুতেই বুঝতে দেয়া যাবে না। সুখে আছে থাক, আমার কষ্টের কোন ঢেউ ওর বুকে আমি কিছুতেই লাগতে দেব না।
ভাবতে ভাবতে ওদের ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালাম, বাড়িতে কোন সাড়া শব্দ নাই। ডাক দিতে রোহিণীই গেট খুলে বেরিয়ে এলো।
ভুত দেখার মত চমকে উঠলাম আমি। এ আমি কাকে দেখছি! আলু থালু বিস্রস্ত বসন, চুলগুলো কাকের বাসার মত, চোখ দুটো বসে গেছে, চোখের নিচে অনেক খানি কালি পড়েছে।
হাসান ভাই তুমি? কেমন আছ? কবে আসলে? আস, ভিতরে আস। কথা আর হাসিটুকু সেই আগের রোহিণীর ই আছে।
ভাল আছি, তোমার এ কি অবস্থা? কি হয়েছে রোহিণী?
কি আর হবে, মেয়ে মানুষের ভাগ্য, কখন কি হয়ে যায় তার কি ঠিক আছে?তু মি কিন্তু অনেক সুন্দর হয়েছ হাসান ভাই। একেবারে পুরাদস্তুর সাহেব বনে গেছ।
কথা বলতে বলতে ঘরে ঢুকে দুজন মুখোমুখি বসলাম, আমার বিস্ময় কাটছেই না,তুমি এখানে কতদিন আছ?
এই বছর খানিক হবে।
তোমার হাজব্যান্ড কোথায়?
আছে, ঢাকাতেই আছে।
তুমি এতদিন এখানে; এই অবস্থায় একা, কি ব্যাপার স্বামীর সাথে কোন সমস্যা?
আমার কথা রাখ তো, তোমার কথা বল, তোমার খবর আমাকে তুমি জানালেও আমি অবশ্য পাই, ভাবির কাছ থেকে। দাঁড়াও তোমার জন্য কিছু নাশতা নিয়ে আসি।
না, তুমি আমার সামনে থেকে যাবে না, আগে তোমার সব কথা বল।
কি শুনতে চাও বল।
তোমার সব কথা, এই সাত বছরে তোমার জীবনে যা কিছু ঘটেছে সব।
তোমার কাছে আমার গোপন করার কিছু নাই হাসান ভাই, বিয়ের পর থেকে কখনই ওই মানুষটাকে সত্যি করে আমি ভালোবাসতে পারি নি। কিন্তু সংসার চলছিল মন্দ না, কষ্ট যা তা আমারই থাকত, বুঝতে দিতাম না কাউকে কিছু, তাই সংসারের সুর কখনও কেটে যেত না; বা কোনকিছুতে বাধাও পড়ত না।গাড়ি, বাড়ি, শাড়ি, গয়না আদর যত্ন কোন কিছুরই আমার অভাব ছিল না।
কিন্তু মানুষটার চরিত্র ভাল না, মানিয়ে নেয়ার অনেক চেষ্টা করেছিলাম, আমার তো কোথাও কেউ নাই, কি করব বল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারলাম না। একদিন দেখি, কাজের মেয়ের সাথে; ছিহ! আমি মনে করতেও চাই না।
ছাড়াছাড়ি করে ফেলেছো?
কোন ঘেন্নায় আর ওটা ঝুলিয়ে রাখব বল?
ডাক্তার দেখাও না কেন?
ডাক্তার দেখিয়ে কি করব? প্রতিটা মুহূর্ত যার আসার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে বসে থাকি, তার আসার পথে কেন বাধা সৃষ্টি করা!
কি বলব রোহিণীকে আমি? খুব ইচ্ছে করছিল, কিছু একটা বলে পরিবেশটা হাল্কা করি; কোন কথাই খুঁজে পেলাম না।
তখন রাত হয়ে গেছে, বাইরে মুশল ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। কখন যে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে বুঝি নাই, বুঝলাম যখন খুব কাছেই একটা বজ্রপাত হল।
হাসান ভাই বাইরের অবস্থা তো খুব খারাপ তুমি যাবা কিভাবে?
রাতে না হয় তোমার এখানে থেকেই যাই, কি বল?
বদনামের আর অভাব হবে না,আমি ঘর ভাঙ্গা মেয়ে, আর তুমি শহুরে নব্য ডাক্তার! তুমি বস, আমি তোমার খাবার দেই। ভাবি নিশ্চয় তোমার জন্য অনেক ভাল ভাল জিনিস রান্না করেছে, আমার এখানে আমার জন্য যা আছে, এসো ভাগাভাগি করে খাই।
দেখি, দুপুরের একটু ডাল, আলু ভর্তা আর ভাত, আমি আছি তাই সাথে একটু ঘি আর দুটো ডিম ভাজা হল। রোহিণী কোনদিন মাছ মাংস ছাড়া ভাত খেত না, যদি কোনদিন মাছ মাংস না থাকছে কাকী আমাদের ঘর থেকে একটু এনে রাখত, ওকে না জানিয়ে, জানলে ও খেত না।
এই খাও তুমি? একা মানুষ এত ভাত কেন? আমি আসব জানতে নাকি?
তা না, একার জন্য সকালে আর রাঁধতে ইচ্ছে করে না তাই একবারে চাল একটু বেশি দিয়ে দেই।
আমাদের খাওয়া হতে হতে ঝড়ের প্রচণ্ডতা একটু কমল, বৃষ্টি তখনও হচ্ছে। রোহিণী ছাতা দিয়ে বলল, আর দেরী করনা, এবার যাও; ভাই-ভাবী চিন্তা করবে।
এমন দুর্যোগের মধ্যে আমায় তাড়িয়ে দিচ্ছ?
না দিয়ে যে উপায় নাই।
বাইরের ঝড় কমলেও, আমার মনের মধ্যে বয়ে যাওয়া ঝড়ের কোন কমতি নাই, বজ্রপাতেরও না।
যতদূর দৃষ্টি যায়, পিছন ফিরে দেখি, রোহিণী দরজায় দাঁড়িয়ে আছে, আমার গমন পথের দিকে তাকিয়ে।
সারা রাত ঘুম হল না, রোহিণীর সাথে রাত জাগা আমার আজ নতুন না, এতদিন যে রোহিণী আমার সাথে থাকত সে ছট ফট করা চঞ্চলা এক ছোট্ট পাখি; যে আমায় ধরা দিয়েও দিত না;আমি ধরতে চাইতাম, সে ফুড়ুৎ করে উড়াল দিত, আবার কাছে আসত।
আর আজ চঞ্চলা ছটফটে সেই পাখিটা ডানা ভাঙ্গা ক্লান্তি নিয়ে আমার বুকের সাথে মিশে আছে নিরাপদ শান্তির আশ্রয়ের খোঁজ।
পরদিন ভাবিকে বললাম, ভাবি আমায় একটা জিনিস দেবে?
কি জিনিস? তোমাকে অদেয় আমার কি কিছু আছে ভাই? বল তোমার কি চাই?
আমি জানি ভাবি, তুমি আমার মায়ের চেয়ে কোন অংশেই কম না, কিন্তু আজ যে দাবীটা আমি তোমার কাছে করব, তা বড় অন্যায়, তোমার জন্য অনেক কঠিন।
দাবিটা আগে তুমি কর, দেখি আমি মিটাতে পারি কিনা, যথাসাধ্য চেষ্টা করি, তার পরে না পারলে তখন ভিন্ন কথা।
আমি রোহিণীকে চাই ভাবি, জানি রোহিণী কিছুতেই রাজী হতে চাইবে না, ভাইয়াও না, আমার জন্য এ অসাধ্য তোমাকেই সাধন করতে হবে । রোহিনি ছাড়া আমার কখনো সুখ হবে না, এই সাত বছর ধরে আমি তা হাড়ে হাড়ে বুঝেছি; আর সে কেমন আছে তাতো নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছ।
পরের বাড়ি থেকে নতুন একটা সংসারে এসে সে বাড়ির মায়ের সমান মর্যাদা লাভ করতে যে বুদ্ধি, উদারতা, মমতা আর বড়ত্ব থাকা দরকার, আমার ভাবির তার সবই ছিল।
রোহিণী এখন আমার এক সন্তানের গর্বিত জননী; আমার সুখী স্ত্রী।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




