somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দেবার জন্য।আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে জাতিগত সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়

২১ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার পোস্ট এর শুরুতেই আমি বাংলাদেশ সরকারকে
ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের পদক্ষেপ এর জন্য।সরকারকে আরও সতর্ক হতে হবে যেন অবৈধ লোক বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে।

বর্তমানে বাংলাদেশে যে বিষয়টি আলোচিত তা হল রোহিঙ্গা সমস্যা।রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে যতদুর জানা যায়
মিয়ানমারের এ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ইতিহাস ও ভূগোল বলছে, রাখাইন প্রদেশের উত্তর অংশে বাঙালি, পার্সিয়ান, তুর্কি, মোগল, আরবীয় ও পাঠানরা বঙ্গোপসাগরের উপকূল বরাবর বসতি স্থাপন করেছে। তাদের কথ্য ভাষায় চট্টগ্রামের স্থানীয় উচ্চারণের প্রভাব রয়েছে। উর্দু, হিন্দি, আরবি শব্দও রয়েছে। রাখাইনে দুটি সম্প্রদায়ের বসবাস মগ ও রোহিঙ্গা।

রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে একটি প্রচলিত গল্প রয়েছে এভাবে_ সপ্তদশ শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজ থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন উপকূলে আশ্রয় নিয়ে বলেন, আল্লাহর রহমে বেঁচে গেছি।

মূলত বলা যায় অনেক আগে থেকেই মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বসবাস।কিন্তু তারপরও মিয়ানমারের লোকজন তাদেরকে বহিরাগত ভাবে।মিয়ানমারে তাদের সামান্যতম নাগরিক মর্যাদা নেই।

মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ডের অনেকের কাছেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী 'কালা' নামে পরিচিত। বাঙালিদেরও তারা 'কালা' বলে। ভারতীয়দেরও একই পরিচিতি। এ পরিচয়ে প্রকাশ পায় সীমাহীন ঘৃণা।

এখানে একটি বিষয় খুব উল্লেখযোগ্য মিয়ানমারের লোকজন তাদের মূলত ঘৃণা করে তাদের চেহারা এবং তাদের গায়ের রং এর জন্য।রোহিঙ্গারা দেখতে অনেকটা বাংলাদেশী-ভারতীয়দের মত।এটাই তাদের ঘৃণার মূল কারন।অনেকে বলে তারা মুলসিম বলে মিয়ানমারের লোকেরা তাদের ঘৃণা করে।এ কথাটি একেবারে মিথ্যা।তাদের চেহারা যদি মঙ্গোলিয়া বা এরকম হত তাহলে তাদের প্রতি এ রকমের ঘৃণা বা বিদ্বেষ প্রকাশ পেত না।

সাম্প্রতিক মিয়ানমারের দাঙ্গায় অনেকেই তাদের বাংলাদেশ আসাটা সমর্থন করছে বা তাদের বাংলাদেশে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করছে।এখানে তাদের যুক্তি তারাও মুসলিম এবং আমরাও মুসলিম।আর তাই তাদের এখানে আসা উচিৎ।যেখানে আমাদের উচিৎ মানবিক কারনে তাদের পাশে দাঁড়ানো সেখানে তারা এখানে মুসলিম যুক্তি টেনে আনছে।বর্তমানে বাংলাদেশে ৫ লাখের মত রোহিঙ্গা আছে সেখানে তারা আরও রোহিঙ্গা আনার পায়তারা করছে।বর্তমানে মিয়ানমারের মাটিতে ৮ -১০ লাখের মত রোহিঙ্গা আছে।বাংলাদেশ এমনতেই একটি জনবহুল দেশ এবং গরিব দেশ।এখানে আরও মানুষ প্রবশের কোন কারন আমি দেখি না।

এখানে অনেক অভিযোগ আছে যে সৌদি সহ আরও অনেক দেশে তারা ব্বাাংলাদেশী নাম করে বাংলাদেশের বদনাম করছে। অনেক পত্র-পত্রিকা বিশেষ করে জামাত সমর্থিত একটি পত্রিকা এ নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছে।অথচ তারা এখন এই রোহিঙ্গাদের জন্য মায়াকান্না করছে।







ব্যাপারটা মিয়ানমারের পক্ষ থেকে দেখলে তারা মনে করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসি এবং মিয়ানমারের সরকার সহ সাধারন লোকজন মনে প্রানে চায় ভারতীয়দের মত লোকজন তাদের দেশ থেকে যেন চলে যায়।এ জন্য তাদের সরকার আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছে এবং চালিয়ে যাচ্ছে।এটা বুঝা যায় মিয়ানমারের সাধারন লোকজন রোহিঙ্গাদের পছন্দ করে না।আমরা রোহিঙ্গাদের যেন আমাদের দেশে নিয়ে আসি এজন্য তারা আমাদের দেশের বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করছে।তাদের একটাই চাওয়া আমরা যেন রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে নিয়ে আসি।এখানে মিয়ানমারের হ্যাকারদের বাংলাদেশ সরকারকে উদ্দেশ্য করে একটি বার্তা দেয়।


Dear Citizen of Bangladesh,

we [Burmese Hackers) are war with your Governments, because we don’t like how your Government react to it’s own people. We don’t like our Burmese Government too. The thing is that we want your government to accept lying the media and international about Rohingya. Rohingya word does not exist at all. That is the word made up of the illegal immigrants from Bangladesh, that group of people are associated with Al-Qaeda and associated with international terrorists group, because they want to invade our land, we don’t accept that, we the Burmese people will never accept that. We don’t have ethnic called “Rohingya” at all. On going crisis in Arakan is not about Muslim and Buddhist problem at all. We do respect other religious. We don’t force any people to be Buddhist in our history of Burma. We don’t pay anyone to be a Buddhist at all. That’s what we are. But lately, Illegal Bengali people are not behaving in our land, they raped a girl and behead her, which is what it began for crisis in Arakan, we let people to live without passport and they were trying to abuse our people. That’s not acceptable in our land. Since we are not authority to deport them, but we want to hear a fair justice for all. The Burmese government didn’t take action according for those criminals. If they could take care the problem and illegal people of Bangali didn’t claim the name of Rohingya, we will not any issue at all. We may still let illegal people to stay in, but don’t claim the nationality without the legal citizenship. But when the problem started, the illegal people are not telling the true. They are telling that they are the Rohingya, which are not recognized by Burmese Government, and we both Bangladesh/Burma don’t know that name at all. And they want to get the name, if they got the name, they will surely invade our land as Kashmir. Government of Bangladesh knows the fact so. They are still supporting indirectly at their Rohingya camp. Well, that’s why we are attacking all of Bangladesh Government sites., we will not stop about it. Once your government accepts those Rohingya as your brothers/sisters. Then we will stop doing this. If all Government/news sites are gone, we may turn into NGOs, and others public sites. We the people of Burma wage the cyber war! If you don’t want to take action on your own people, face our attack! This is not warning… this is just the beginning….

Burmese Hackers





কিন্তু কিছু অবুঝ মানুষ বুঝে শুনে তাদের মনের এই বাসনা পুরন করতে চাচ্ছে।তারাও রোহিঙ্গাদের আমাদের দেশে আনতে চাচ্ছে।তারা এখানে মুসলিম মুসলিম আওয়াজ তুলছে অথচ এটা একটি জাতিগত সমস্যা।তারা কি জানে না আগে থেকে বাংলাদেশে ৫ লক্ষ রোহিঙ্গা আছে।এদের কি আর জীবনেও সেখানে পাঠানো যাবে।যারা রোহিঙ্গাদের এই দেশে আস্রয়ের পক্ষে তারা কি পারবে এদের মিয়ানমারে পাঠাতে।তবে কেন তারা রোহিঙ্গাদের এখানে আসার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।

আমি আমার পোস্ট এ রোহিঙ্গাদের খারাপ কিছু বলছি না।তারা আসলেই বড় দুঃখী।বাংলাদেশে আশ্রয় তাদের দুঃখটা আরও বাড়বে।তাহলে মিয়ানমার আর কোনদিন তাদেরকে তাদের দেশে যেতে দেবে না।এই বিষয়টি আমাদের হিন্দু-মুসলিম ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে না দেখে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে হবে।এ ঘটনাটি জাতিসঙ্ঘ এবং পশ্চিমা বিশ্বের নজরে আনতে হবে।এই ঘটনা ফেসবুক,ব্লগ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আরও প্রচার করতে হবে।তাহলেই রোহিঙ্গাদের উপকার হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১২ বিকাল ৪:১০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×