হরতাল হচ্ছে আজ। বিএনপি নেত্রীও এতে সমর্থন দিয়েছেন। ইসলাম রক্ষার জন্যে নয়, শুধু নারীদের বঞ্চিত করতেই এ হরতাল। বেগম জিয়া একজন নারী নেত্রী। তিনি কিভাবে এ হরতাল সমর্থন করেন? এর আগে বরং তার রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়া উচিত। নতুন নারী নীতিতে সম্পত্তিতে সমান অধিকারের কথা নেই। যতো বেশি এ নিয়ে বলা হচ্ছে, আসলে এটি শুভংকরের ফাঁকি। ইসলাম মতেই নারীকে তার প্রাপ্য অংশটুকু অর্জনের আইনগত অধিকার দেয়া হয়েছে। এতে শিক্ষিত নারীদের খুব বেশি লাভ নেই। তারা এটা পেয়ে থাকেন। সাধারণ নারীরা এতে কিছুটা লাভবান হতে পারে। পিতার সম্পত্তিতে ভাগ, স্বামীর সম্পত্তির ভাগ, আগে শুধু কাগজ কলমেই ছিল। এখন হয়তো বাস্তবেও কিছু মিলবে। ধর্ম যেমন অনেক কিছুই দিয়ে রেখেছে, আইন না হলে তা মেলে না। হুজুররা যেমন দেনমোহরের কথা বলেন। এটা নাকি তাদের জন্যে সম্পত্তির সাম্যের একটা প্রম্না। আমার ধারণা বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ হুজুরই (পুরুষদের ৯০ শতাংশ) এ দেনমোহর টাকায়/ সম্পত্তিতে শোধ করেননি। মাফ চেয়ে নিয়েছেন। মেয়েদের যে দেশে এখনো যৌতুক ছাড়া বিয়ে হয় না, সে দেশে দেনমোহর হচ্ছে নারীর একটি সম্পত্তি। তাছাড়া যেীতুক নিয়ে কোন আন্দোলনে যায় না এইসব আমিনিরা। ওইসব আমিনিদের কথা বলে লাভ নেই। আমার প্রশ্ন হলো, খালেদা কিভাবে আমিনিকে নারীর অধিকার বা সম্পত্তি নিয়ে কথা বলেন? তিনি নারী হিসেবে কোনভাবেই নেত্রী হতে পারেন না। ছেলের সমান মেয়ের সম্পত্তি লাভ যদি কোরআন বিরোধী হয়, তেমনি নারীর প্রধানমন্ত্রী হওয়া আরো বেশি কোরআনবিরোধী। সেটি কিন্তু আরো বড় লংঘন। শুধু ক্ষমতার কারণে নিজ নারীত্বের প্রতি এর চেয়ে বড় অবমাননা আর হতে পারে না। বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র নয়। যে আইনের সংস্কার এর কথা বলা হচ্ছে, সেটিও ইসলামী আইন নয়। এটি বৃটিশ আইন। শুধু সাধারণ মেয়েদের জন্যে অধিকারের জন্যে এ ধরনের কথা হচ্ছিল, তখন খালেদার উচিত ছিল, তাতে পূর্ন সমর্থন দেয়া। এতে তার নেত্রী হওয়া বা জনসমক্ষে হাজার পুরুষের নেতৃত্ব দেওয়ার একটা যৌক্তিক ভিত্তি মিলতো। আপনার নেতৃত্ব দেওয়াকে যদি এই আমিনিই নিষিদ্ধ করার কথা বলে, কোরআণবিরোধী বলে, আপনার কেমন লাগবে। এই আমিনি না বলুক, আরেক আমিনি বলতেই পারে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





