সূর্যটা একটা মিষ্টি হেসে চোখ মেলে।তাকিয়ে থাকি আমরা।তাকিয়ে থাকি অবাক হয়ে।প্রতীক্ষার তীব্র অবসান হয় সূর্যটার মিষ্টি এক হাসিতে।দম বন্ধ করা আধার চিরে ঠান্ডা হাওয়ার প্রলেপ বুলিয়ে যায় সকালের শিশিরভেজা বাতাস।শরীরের প্রতিটা রোমকূপে যেন জেগে ওঠার নগ্ন উদ্দামতা।সকালের লালচে আলোয় উদ্ভাসিত হয় ধরণী,কষ্টের নীল রং এর রেশ তবু যেন খানিকটা থেকে যায়।বেলা বাড়ে।হাফ ছেড়ে বাঁচে দুনিয়া।ধীরে ধীরে পাংশুটে নীল মুখটায় রং আসে,সাদা,কালো,লাল,সবুজ...নীল রংটাকে ঠেলে দেয় আকাশের দিকে।সূর্যটারো দূরে।যাতে ওই কষ্ট কষ্ট রং টা আর ফিরে না আসে ধারিত্রীর বুকে।হয়তো আশায় আশায় তাকিয়ে থাকে সূর্যের দিকে।তুমি আবার চলে যাবেনাতো???সূর্যের তেজ বাড়ে।আশায় বুক বাধে পৃথিবী।হয়তো আর দেখতে হবেনা সেই কালিগোলা অন্ধকারের বিভতস মুখ,শুনতে হবেনা নিশুতি রাতের বিকট শিতকার।ধারিত্রী শান্ত হয় একটু।
দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা,সূর্যটা সারাদিনের তেজ বিকিরণ করে একটু যেন ক্লান্ত।বোকা পৃথিবীটা ভাবে,হয়তো সূর্যটা এবার ওকে উষ্ণ আলিঙ্গণ করবে।সূর্যটা কিভাবে যেন বুঝতে পারে ওর মনের কথা।বুকের কাছে এসে তপ্ত নিঃস্বাস ফেলে।একটু যেন লজ্জা লজ্জা লাগে।লালচে হয়ে ওঠে গোটা শরীর।ভালোবাসার অকৃপণ আবেশে পাগল হয়ে যায় চারিদিক।পাখির কলতান,পাগলা হাওয়ার মাতম কিংবা সোনাঝরা প্রকৃতি।সবাই যেন এক অন্য উৎসবের প্রস্তুতিতে মগ্ন।
কিন্তু হায়।টুপ করে ডুব দেয় সূর্যটা। হারিয়ে যায় কোথাও।কষ্ট হয়।অন্ধকারে ভয় ভয় লাগে ধারিত্রীর।কিন্তু কাঁদেনা সে।আশায় বুক বাধে।আবারো সূর্যটা ওর কাছে ফিরবে।ওকে ফিরতেই হবে।
কিন্তু গল্পের শেষ না এখানে।শুরু।একজন,শুধু একজন খুশী হয় পৃথিবীকে আঁধারে ডুবে যেতে দেখে।কারণ কালো রং যে অনেক সুন্দর।অনেক মিষ্টি।সাদাকালো জীবনের সবগুলি রুক্ষতাকে কেমন যেন উপহাস করে সূর্য।রুক্ষতাকে সবার সামনে ছুড়ে ফেলে বারবার ধর্ষণ করে সূর্যটা।তাই সূর্যকে সে সইতে পারেনা।আঁধারের প্রলেপমাখা ভেজা চোখগুলি যখন ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যায়,স্বপ্নেরা জেগে ওঠে।পৃথিবীটাকে তখন রংগীন মন হয়।আহ!সাদাকালো জীবনটাকে আধার তার বুকে লুকিয়ে থাকা সবগুলি রং দিয়ে যেন ইচ্ছে মত রাঙ্গায়।স্বপ্নেরা বেচে থাক।বেচে থাক রংধনুর সাতরং।দীর্ঘজীবি হোক রাতের অন্ধকার।বোকা পৃথিবীটা হয়তো কষ্ট পাবে,আমিতো সুখী।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





