দাকোপে তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও বিভিন্ন কারণে লোকসান গোনতে হচ্ছে এলাকার তরমুজ চাষীদের। দক্ষিন খুলনার উন্নয়নে সম্ভাবনাময় অর্থনীতি ফসল তরমুজ হলেও বঞ্চিত হচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষকরা। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, দাকাপ উপজেলার
৫টি ইউনিয়নে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাজুয়া, দাকোপ, লাউডোব, কৈলাশগঞ্জ ও বানিশান্তা ইউনিয়নে লাভ জনক ফসল হিসাবে ব্যাপক ভাবে তরমুজ চাষ হয়েছে। গত বারের তুলনায় এবার ৩২৫শ হেঃ জমিতে বেশী তরমুজ চাষ হয়েছে। তরমুজের বাম্পার ফলন হলেও বিভিন্ন কারনে এই সম্ভাবনাময় উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলের চাষারা ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারন হিসেবে চাষারা পরিবহন, র্দূযোগ, ক্রেতার অভাবে স্বল্পমূলে এলাকার হাটবাজারে বিক্রী,দালাল ফরিয়াদের চক্র বিশেষ প্রভাব সৃষ্টি করায় চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কৃষকরা এ ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন এনজিও ব্যাংক,মহাজনদের কাছথেকে ঋণ গ্রহন করে এবং বহিরাগত ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে চাষ ও পানি সেচের জন্য পাওয়ার টিলার ও স্যালো মেশিন জৈণ্ঠ মাসের মধ্যে পরিশোধ করার সার্থে ঋন নিয়ে চাষাবাদ করেন। কিন্তু সম্প্রতি প্রাকৃতিক র্দূযোগ (বৃষ্টি, শিলা বৃষ্টি) এর কারণে অধিকাংশ চাষীদের ক্ষেতে তরমুজ পানিতে তলিয়ে থাকায় চাষীরা বিপকে পড়ে ক্ষেত থেকে তরমুজ সংগ্রহ করে বাড়ীর আঙ্গিনায় ও রাস্তার পাশে স্তুপ করে রেখেছেন বেচা বিক্রির আশায় কিন্তু কোন ফড়িয়া বা ক্রেতারা কৃষকদের কষ্টে ফলানো ফসল কিন্তে না আশায় চাষীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। কি ভাবে নিদৃষ্ট সময় ঋন পরিশোধ করবে এ ভাবনায় ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে পশ্চিম বাজুয়ার কচা এলাকার তরমুজ চাষী মুরারী মহন থান্দার জানায় এ বছর তার বারো বিঘা জমিতে তরমুজ লাগিয়ে ছিলেন, তার ব্যয় হয়েছিল ১লক্ষ ৭০ হাজার টাকা তিনি মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রী করেছেন। একই এলাকার সুশান্ত মন্ডল জানান তার ৩০ বিঘা জমিতে এ বছর তরমুজ চাষ করেতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা কিন্তু তিনি এ পর্যন্ত তরমুজ বিক্রী করে ১ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। তবে অনেক কৃষককের সাথে আলাপ করে জানাযায়, আগামী বছর আর তারা হরতুজের চাষ করবেনা।
এ ছাড়া বহিরাগত ব্যবসায়ী যশোর কেশবপুর উপজেলার অরুন কুমার পাল জানান তিনি এ মৌসুমে তরমুজ চাষের জন্য জৈণ্ঠ মাসের মধ্যে ঋন পরিশোধের সত্তে বিভিন্ন চাষীদে মাঝে চাষাবাদ ও পানি সেচের জন্য প্রায় ১ কোটি টাকার পাওয়ার টিলার ও স্যালো মেশিন সরবরহ করি।তরমুজের ফলন ভালো হলেও বিক্রীর অভাবে চাষীরা ক্ষতি গ্রস্ত হওয়ায় তার পক্ষে টাকা আদায় করা অম্ভাব হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন তরমুজের ফসল ভালো হলেও বিভিন্ন প্রাকৃতিক র্দূযোগ ও দাম কম থাকায় তরমুজ চাষীদের প্রায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। দক্ষিণ খুলনার উন্নয়নে সম্ভাবনাময় অর্থনীতি ফসল তরমুজ হলেও যথাযর্থ সংরক্ষনের বা হিমাগারের ব্যবস্থা না থাকার কারণে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার কৃষাকরা।