১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আমাদের আনন্দের দিন, জয়ের দিন। আমারো আনন্দ লাগে। কিন্তু কেন যেন পুরোটা আনন্দ উপভোগ করতে পারি না।
আমার মতে একটি দেশের বিজয় আসে দুই ভাবেঃ
১। রাজনীতিক ভাবে এবং
২। অর্থনীতিক ভাবে
একটু ইতিহাস বলিঃ বাংলাদেশের পরাধীনতার ইতিহাস অনেক পুরানো। প্রায় ১০০ বছর ইংরেজ দ্বারা শাসিত হয়ে ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্থান রাষ্টের জন্ম হয়। তখন এদেশের মানুষ মনে করেছিলো বিজয় বোধহয় এসে গেলো। কেননা সেসময়ের পশ্চিম পাকিস্থানীরা ভাই বন্ধু হিসেবে আসবে বলেছিলো।
কিন্তু ছয়মাসের মাথায় পশ্চিম পাকিস্থানীরা যখন শাসকের ভুমিকা নেয়, তখন এদেশের মানুষ পশ্চিম পাকিস্থানীদের আসলরূপ বুঝতে শুরু করে। এরপর পশ্চিম পাকিস্থানীরা যখন শাসনের নাম শোষন শুরু করে তখন বাংগালীরা হয়ে উঠে প্রতিবাদী। যা ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের জন্ম দেয়। এরপর পশ্চিম পাকিস্থানীদের অন্যায় অত্যাচার আরো বাড়লে বাংগালী প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলে আসে ১৯৬৯ এর গন অভ্যুথান এরই ধারাবাহিকতায় আসে ১৯৭১। রক্তে ভেজা ৯মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
আসে রাজনীতিক ভাবে স্বাধীনতা শুরু হয় বাংলাদেশ নামক দেশের অগ্রগতি, পথ চলা।
কিন্তু আসলেই কি বিজয় এসেছে?
এখনো আমাদের মাঝে মিশে আছে রাজাকার, আলবদর আলশামস, আছে পাকিস্থানপ্রীতির ভুত। তারচেয়ে ভয়ংকর হলো নব্য প্রজন্মের এক অংশ (যদিও ছোট তবে হেলাফেলার নয়)জামাত শিবিরকে সহযোগীতা করে!
এই নব্য রাজাকাররা কিন্তু বসে নেই। আজব হলেও সত্য শুধু জামাত শিবির নয়, আওয়ামীলিগ, বিএনপি সহ প্রায় সবদলেই এদের খুজে পাওয়া যায়। তাই এখন সময় সাবধান হয়ে এই নব্য রাজাকারের হাত হতে বিজয়কে বাচাতে হবে।
২। এবার আসি আধুনিক বিজয় কাকে বলে? আধুনিক বিজয় বলতে বুঝায় অর্থনীতিক বিজয়কে।
সহজ করার জন্য উদাহরন দিয়ে বলি, মালয়শিয়া অথবা সিংগাপুর কিন্তু আমাদের থেকে গরীব দেশ ছিলো। তারা তাদের গরীব অবস্থা কাটিয়ে উঠেছে খুব তারাতারি। যেমনটা ভারত বা চীনের তুলনামুলক অর্থনীতিক অগ্রগতি অনেক ভালো। আমাদের মনে রাখতে হবে নিজে কাড়িকাড়ি টাকা কামালে দেশের অর্থনীতিক উন্নতি হয় না। নিজের কামানো টাকার মাঝেও দেশের মানুষের ভাগ আছে।
যখন দেশের সাধারন গড়পরতা মানুষের আয় বাড়বে, তখন দেশের উন্নতি শুরু হবে। দেশের উন্নতির সাথে সাথে আর্থ সামাজিক উন্নতি (যেমন নিরাপত্তা)নিশ্চিত করতে পারলেই বাড়বে দেশের সম্মান।(যাকে দেশের ইমেজ বলে)
বিদেশে এখনো বাংলাদেশের পরিচয় গরীব, বন্যা এবং দুনীতির দেশ হিসাবে। এ অবস্থা কাটাতে হবে। এর দায় কিন্তু আপনার আমার সবার।
পরিশেষে বলি বড় বড় কথা বলা অনেক সহজ। বাস্তব বড় কঠিন। তাই বিজয় দিবসে বড় আশা পুরন হবে তখন যখন সবাই দেশকে সত্যিকার ভাবে ভালোবাসবে। দেশকে ভালোবেসে কি শপথ নেয়া যায় বা কিভাবে আগানো যায়?
আমার মতে সহজ উত্তর হলো সরকারের ট্যাক্স ফাকি দিবেন না। আপনার আশে পাশে যে যাই করুক আপনি সবটুকু ট্যাক্সের টাকা দিন। নিজের কাছে নিজে অন্তত পরিস্কার থাকুন।
সুদিন আমাদের আসবেই ইনশাল্লাহ।
ধন্যবাদ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




