somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিজয় দিবসের চাওয়া পাওয়ার হিসাব ও একটি শপথ ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আমাদের আনন্দের দিন, জয়ের দিন। আমারো আনন্দ লাগে। কিন্তু কেন যেন পুরোটা আনন্দ উপভোগ করতে পারি না।
আমার মতে একটি দেশের বিজয় আসে দুই ভাবেঃ

১। রাজনীতিক ভাবে এবং
২। অর্থনীতিক ভাবে

একটু ইতিহাস বলিঃ বাংলাদেশের পরাধীনতার ইতিহাস অনেক পুরানো। প্রায় ১০০ বছর ইংরেজ দ্বারা শাসিত হয়ে ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্থান রাষ্টের জন্ম হয়। তখন এদেশের মানুষ মনে করেছিলো বিজয় বোধহয় এসে গেলো। কেননা সেসময়ের পশ্চিম পাকিস্থানীরা ভাই বন্ধু হিসেবে আসবে বলেছিলো।
কিন্তু ছয়মাসের মাথায় পশ্চিম পাকিস্থানীরা যখন শাসকের ভুমিকা নেয়, তখন এদেশের মানুষ পশ্চিম পাকিস্থানীদের আসলরূপ বুঝতে শুরু করে। এরপর পশ্চিম পাকিস্থানীরা যখন শাসনের নাম শোষন শুরু করে তখন বাংগালীরা হয়ে উঠে প্রতিবাদী। যা ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের জন্ম দেয়। এরপর পশ্চিম পাকিস্থানীদের অন্যায় অত্যাচার আরো বাড়লে বাংগালী প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলে আসে ১৯৬৯ এর গন অভ্যুথান এরই ধারাবাহিকতায় আসে ১৯৭১। রক্তে ভেজা ৯মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
আসে রাজনীতিক ভাবে স্বাধীনতা শুরু হয় বাংলাদেশ নামক দেশের অগ্রগতি, পথ চলা।
কিন্তু আসলেই কি বিজয় এসেছে?
এখনো আমাদের মাঝে মিশে আছে রাজাকার, আলবদর আলশামস, আছে পাকিস্থানপ্রীতির ভুত। তারচেয়ে ভয়ংকর হলো নব্য প্রজন্মের এক অংশ (যদিও ছোট তবে হেলাফেলার নয়)জামাত শিবিরকে সহযোগীতা করে!
এই নব্য রাজাকাররা কিন্তু বসে নেই। আজব হলেও সত্য শুধু জামাত শিবির নয়, আওয়ামীলিগ, বিএনপি সহ প্রায় সবদলেই এদের খুজে পাওয়া যায়। তাই এখন সময় সাবধান হয়ে এই নব্য রাজাকারের হাত হতে বিজয়কে বাচাতে হবে।


২। এবার আসি আধুনিক বিজয় কাকে বলে? আধুনিক বিজয় বলতে বুঝায় অর্থনীতিক বিজয়কে।
সহজ করার জন্য উদাহরন দিয়ে বলি, মালয়শিয়া অথবা সিংগাপুর কিন্তু আমাদের থেকে গরীব দেশ ছিলো। তারা তাদের গরীব অবস্থা কাটিয়ে উঠেছে খুব তারাতারি। যেমনটা ভারত বা চীনের তুলনামুলক অর্থনীতিক অগ্রগতি অনেক ভালো। আমাদের মনে রাখতে হবে নিজে কাড়িকাড়ি টাকা কামালে দেশের অর্থনীতিক উন্নতি হয় না। নিজের কামানো টাকার মাঝেও দেশের মানুষের ভাগ আছে।
যখন দেশের সাধারন গড়পরতা মানুষের আয় বাড়বে, তখন দেশের উন্নতি শুরু হবে। দেশের উন্নতির সাথে সাথে আর্থ সামাজিক উন্নতি (যেমন নিরাপত্তা)নিশ্চিত করতে পারলেই বাড়বে দেশের সম্মান।(যাকে দেশের ইমেজ বলে)

বিদেশে এখনো বাংলাদেশের পরিচয় গরীব, বন্যা এবং দুনীতির দেশ হিসাবে। এ অবস্থা কাটাতে হবে। এর দায় কিন্তু আপনার আমার সবার।

পরিশেষে বলি বড় বড় কথা বলা অনেক সহজ। বাস্তব বড় কঠিন। তাই বিজয় দিবসে বড় আশা পুরন হবে তখন যখন সবাই দেশকে সত্যিকার ভাবে ভালোবাসবে। দেশকে ভালোবেসে কি শপথ নেয়া যায় বা কিভাবে আগানো যায়?

আমার মতে সহজ উত্তর হলো সরকারের ট্যাক্স ফাকি দিবেন না। আপনার আশে পাশে যে যাই করুক আপনি সবটুকু ট্যাক্সের টাকা দিন। নিজের কাছে নিজে অন্তত পরিস্কার থাকুন।
সুদিন আমাদের আসবেই ইনশাল্লাহ।

ধন্যবাদ।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×