আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জুন মাসের ১৪ তারিখে ১৯২৮ সালে জন্ম নেন অর্নেস্তা গুয়েভারা ডি লা সেরনা। ৫ সন্তানের মধ্যে বড় তিনি। ছোট বেলা থেকেই হাঁপানি রোগে তিনি অক্রান্ত ছিলেন।স্পেনের গৃহযুদ্ধে তিনি মিত্রশক্তির পরে ছিলেন।বুয়েনস আয়রস বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা বিদ্যায় পরাশূনা করলেও আগ্রহী ছিলেন সাহিত্যচর্চায় ও খেলাধূলয়। ছোটবেলায় বাবা চাইতেন আর্নে স্তা যেন একজন চিকিৎসক হয় আর তা তার নিজের চিকিৎসার জন্য। ভালো রাগবি খেলতেন।হাঁপানির কারনে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেননি । অবস্য সেনাবাহিনীতে যাওয়ার কোন ইচ্ছাও কোনদিন মনে রাখেন নি।তাঁর একটা প্রিয় মোটর সাইকেল ছিল যাতে চড়ে উত্তর আর্জেন্টিনার বিভি ন্ন স্থানে চার হাজার মাইল পরিভ্রমন করেছিলেন। তার প্রিয় কবি ছিল পাবলো নেরুদা।লাতিন আমেরিকার স্বপ্ন ও সাধনা যাঁর ভাষাতে কথা বলে।তিনি বায়োকেমিষ্টের ছাত্র ছিলেন।চিকিৎসা বিদ্যায় যখন তিনি শেষ বর্ষের ছাত্র সেই ২৪ বছরের যুবক প্রেমে পরেন চিচিনা নামের এক সু ন্দরীর যদিও পরবর্তীতে তারা বিবাহ করেন নি। কুষ্ঠরোগ বিশেষঙ্গ ডাক্তার বন্ধু আলবার্তোকে নিয়ে টানা দু বছর দনি আমেরিকা ভ্রমন করেন। ১৯৫৩ সালে চিকিৎসা বিঙ্গানে উত্তীর্ন হন এবং দ্বিতীয় বারের মতো লতিন আমেরিকা ভ্রমনে আসেন। গুয়েতামালার প্রগতিশীল জ্যাকবো আববেনজ এর নেতৃত্বাধীন সরকারকে মার্কিন সমর্থক কাি স্তলো আর্মস উৎখাত করায় আর্নিে স্তাকে পালিয়ে যেতে হয়। গুয়েতমালা ছেড়ে এসে চে কাজের সন্ধানে নানা যায়গায় ঘুরে বেড়ায়। ফটোগ্রফার হিসাবে কিছুদিন কিছুদিনের জন্য কাজ করেন।সেই সময় পরিচয় হয় ফিদেলের ভাই রাউল ক্যাষ্ট্রোর সঙ্গে। সে ই সূত্র ধরেই পরিচয় ফিদেলক্যাে ষ্ট্রার সাথে।কিউবায় পরিকল্পিত অভ্যুথানের জন্য গঠিত গোপন বাহিনীতে তিনি চিকিৎসক হিসাবে যোগ দেন।দলে তিনিই ছিলেন একমাত্র বিদেশী। কিউবায় পাহারারত মার্কিন নৌসেনাদের চোখে ধূলা দিয়ে বিরাশি জনের একটা দল নিয়ে তিনি ঢুকে পরেন কিউবায় তখন রাত ১ টা।কিন্তু তাদের আগমন বাতিস্তুতার বাহিনী টের পেয়ে যায় শুরু করে গুলি। চে’ বেঁেচ যায় কিন্তু মরে যায় তার প্রিয় বন্ধু নিকো লোপেজ। চে’ আশ্রয় নেন এক আঁখের েেত এক বি শ্বাস ঘাতক পথপ্রদর্শক খবর পাঠিয়ে দেয় আর সেখানেই আক্রা ন্ত হন চে’ ঘাড়ে গুলি লাগে। মৃত্যৃমুখে পতিত চে’ ডায়েরিতে লিখেছিলেন ”মাটিতে পড়ে আমি মিনিট দুয়েকের জন্য আশা হারিয়েছিলাম” আর সে আক্রমনের পরেই আর্নেস্তা গুয়েভারা চে’গুয়েভারায় পরিনত হন। সেখান থেকে পালিয়ে কিউবার দনি পশ্চিমের পাহাড়ে আ তœগোপন করেন। গেরিল আক্রমনে তাকে মেজর পদ দেয়া হয়। কমরেড সিলিয়া সানচেজ চে’ র হাতে একটা ছোট্ট তাঁরা তুলে দেন। যা চে’ র টুপিতে শেষ পর্য ন্ত তাকে চির বি প্লবীর আসনে বসিয়েছে।
ফিদেলক্যাষ্টোর পরেই দ্বিতীয় ব্যক্তি তিনি।দারুন মজা ও করতে পারতেন কিউবার বি প্লবের পর বাবার সাথে যেবার প্রথম দেখা ,রসিকতা করে বলেছিলেন আমার ডাক্তার উপাধিটা তোমাকে স্যুভেনির হিসাবে দিতে পারি। বিয়ে করেছিলেন ১৯৫৫ সালে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন হিলদা নামক এক সু ন্দরীকে ৫৬ সালে একটা মেয়েও হয়েছিল। এ বিয়ে টিকেনি ১৯৫৯ সালে আলেইদা মার্চ নামে আরেক সু ন্দরীকে তিনি বিয়ে করেন এ সময় তিনি বিপ্লবী সরকারের কে ন্দ্রীয় ব্যাংকের গর্ভনর হন । তিনি শিল্পমন্ত্রী ও নিযুক্ত হন।কিন্তু তার রক্তে মিসেছিল নির্যাতিত মানুষের আত্র ক্র ন্দন তাই অনেক সূখ ও যেন তাকে স্বস্তি পেতে দিত না। তাই ১৯৬৫ সালে তিনি ফিদেল ক্যাষ্ট্রোকে একটা চিঠি লিখেন যাতে তাকে কিউবার কমিউনিষ্ট পার্টি থেকে মুক্তি দেয়া হয়।এখানে তিনি লিখেন বন্ধু ফিদেল লতিন আমেরিকার সহস্ত্র নির্যাতিত মানুষের ক্র ন্দন আমাকে হাতছানি দিে চ্ছ আমাকে উৎপ্তি করছে আমাকে আমার কর্মের মাঝে ঝাপিয়ে পরতে হবে আমার বাস স্থান তো কোন ভূমিরেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। মার্কিন সম্রাজ্যবাদ ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিে চ্ছ হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া,ভেনজুয়েলা, কলি ম্বয়া, পেরু, বলিভিয়া বলতে গেলে গোটা লাতিন আমিরিকা এদের মুক্ত করতে হবে আর এ ধর্মই আমি গ্রহন করেছি। কিউবার প্রতি ও আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি কতটা সফলতা দেখিয়েছি তা বিচারের ভার তোমাদের।যতদিন আমার নতুন আশ্রয় না হবে ততদিন আমার স্ত্রী- স ন্তান তোমার দায়িে ত্ব রইল।
১৯৬৬ সালের ৭ই নভে ম্বর থেকে ১৯৬৭ সালের ৯ই অক্টোবর অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্ব পর্য ন্ত তিনি বলিভিয়ার বি প্লবী দলের নেতৃ ত্ব দিয়েছিলেন, মৃত্যুকে তিনি কখনো ভয় পাননি। মৃত্য হে চ্ছ যেনেও তিনি মোটেও ভীত নন বরং ধরা পরা অব স্থায় তিনি শিকিা জুলিয়া কার্টেজকে বলছেন ” ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা- ইয়ো পুয়োডো লীর= আমি পড়তে সক্ষম। স্প্যনিস বাচনবনগিতে যে পুয়োডো লেখা হয়েছে তা সঠিক নয়। ১৯৬৭ সালে মাত্র ১৭ জন গেরিলা নিয়ে যুদ্ধ করার সময় বলিভিয়ার দক্ষিন পূর্বে পাহাড় ঘেষা লা ইগুয়েরা স্কুলে ধরা পরেন ৮ টি গুলি চে'র বিপ্লবী আ তœাকে থামিয়ে দেয়। তিনি সবসময় বলতেন যারা নিজেদের মুক্তির জন্য লড়ছে তাদের সামনে সশস্ত্র সং গ্রাম ই একমাত্র পথ।
আজ আমরা তাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করছি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




