বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের নেপথ্য কারা ভুমিকা রাখে ? মধ্য যুগ হতে এখন পর্যন্ত যদি আমরা ইতিহাস ঘাঁটি তাহলে দেখা যায় এই বঙ্গভুমির সংখ্যা গরিষ্ঠ (প্রায় ৯০%) মানুষ ক্ষমতা নিয়ে কখনই মাথা ঘামায়নি । দেশে ক্ষমতা বা শাষক পরিবর্তনের ঘটনাগুলো পল্লীবাংলার প্রায় সব মানুষের কাছেই বিনোদন বা অবসরে গল্প-গুজব করে কাটানোর বিষয় ছিলো এবং আছে। আমার নিজস্ব পর্যবেক্ষনে বর্তমানেও এদের সংখ্যা ৭০% ভাগেরও বেশী। ইতিহাস স্বাক্ষীঃ একমাত্র বঙ্গবন্ধু ব্যতিত অন্য কোন নেতা বা গোষ্ঠী এই “ঘরকুনো-অল্পেতুষ্ট” বাঙ্গালীকে বাড়ীর বা গ্রামের চৌহদ্দি থেকে বের করতে পারেনি বা হাতে অস্ত্র ধরাতে পারেনি। বাঙ্গালীদের মধ্যকার এই বিশাল শ্রেনীটাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে , গল্প-গুজবে-আলোচনায়-মস্করায় ৭১ থেকে আজ পর্যন্ত “ধরিমাছ-না ছুই পানি” নীতিতে ক্ষমতা পরিবর্তনে প্রধান ভুমিকা রাখছে।
৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত নিজেদের অজান্তেই বঙ্গবন্ধু হত্যার পটভুমি তৈরী করেছিলো এই শ্রেনীটাই- যারা বিশ্বাষ করতো বঙ্গবন্ধুর শাষনের মান যতোই খারাপ কষ্টকর হোক, বাংলাদেশের কোন মশাও জাতির জনকের গায়ে বসবে না, কামড় দেয়া তো দুরের কথা। আমেরিকা,মধ্যপ্রাচ্য,চীন-পাকিস্থান গোষ্ঠী সেই ঘাতক মশার দল তৈরী করতে পেরেছিল।
হতভম্ব এই শ্রেনীটির বোধোদয় হতে খুব বেশীদিন লাগেনি । কারন বঙ্গবন্ধুর বিকল্প বঙ্গবন্ধুই।
আবেগপ্রবন-অল্পে তুষ্ট বাঙ্গালীদের এই শ্রেনীটাই দেশের স্বৈরশাষন, সামরিক শাষন, এসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না- “মজা লোটে”
টঙ্গের উপড় পা তুলে আয়েশে বসে চা খায় এবং ফ্রিতে বিনোদন নিয়ে পাটি বিছিয়ে নাক ডেকে ঘুমায়। কে কোথায় গুম-খুন হলো তাতে তাদের গল্প-গুজবের পরিধি বাড়ে - ঘুমের ব্যতায় হয় না। শেখ‘ক শালারা ছাড়ে নাই- যদু, মধুতে কি আসে যায় ?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০