`জীবন যখন ফুরায়ে যায় ... ক্লান্তি ধারায় এসো।' - খুব ক্লান্ত লাগছে জানো ?
ক্লান্ত মেয়েটা বিশ্রামের জন্য একটা শান্তির আশ্রয় পেয়েছিলো। জায়গাটা তার না। ছেড়ে দিতে হবে।
বসে বসে ভাবছিলাম সবকিছু নিয়ে। কেন এমন হয়। কেন আমার নিজের বলে কিছু নেই, থাকেনা। সমস্যাটা কোথায়? সমস্যাটা বোধহয় পেয়ে গেছি। আমার চাওয়াগুলো সবসময়ই অন্যরকম হয়, প্রচন্ড তীব্রতায় র্পূণ থাকে। কিন্তু প্রকাশ ভঙ্গীতে সেই তীব্রতাটা থাকেনা। অন্যের সুবিধা-অসুবিধ-ইচ্ছা এগুলোকে স্পেস দিতে গিয়ে নিজের ইচ্ছার গলা অনায়াসে চেপে ধরি আমি। কষ্ট হয়, কষ্টের গলাও চেপে ধরি। এভাবেই চলছে সব কিছু, সেই ছোট থেকে। হঠাৎ হঠাৎ সব কিছু ভুলে গিয়ে আবার প্রচন্ড তীব্রতায় কোন কিছু চেয়ে বসি। একি গল্পের পুনোরাবৃতি শুরু হয় আবার।
তোমার সাথে আমার একটা মিল আছে বুঝলে? চাইতে পারি না। খুব চাই, অথচ চাইতে পারি না। চুপ করে থাকি। এইতো আমি। এইতো তুমি। গতকাল রাতে জিগ্ঘেস করেছিলে ছেলেটাকে বিয়ে করতে চাই কি না। উ্ত্তর জানা ছিলো । দিতে পারিনি। দিবো কি করে?
কি করে বলবো যে আমি ছেলেটাকে চাইনা। কি করে বলবো যে আমি দামি বাড়ি, দামি গাড়ি, সুন্দর আসবাব এসব কিচ্ছু চাইনা। আমি ফাঁক পেলে আজিজে গিয়ে চা খেতে চাই। আমি ফেব্রুয়ারীতে সব ফেলে বইমেলায় গিয়ে অযথা বসে থাকতে চাই। আমি কাজের সময় সব ভুলে শুধু কাজ নিয়ে পরে থাকতে চাই। আমি আমার অবসরগুলো আমার মতো করে কাটাতে চাই। আমি পাহাড় চাই, আমি প্রান চাই। আমি আমার গতিতে আমার মতো করে চলতে চাই। আমি আমার পাশে আমার জন্য একজন বন্ধু চাই। আমাকে আটকাবে না, আমাকে টানবে না। আমি যখন ইচ্ছা তখন হাত বাড়াতে চাই, আমার হাতে তার র্স্পস পেতে চাই।
আর কি করে বলবো ? আর কি করে বলবো যে আমাকে তোমার একচিলতে পাকা উঠোনটা দাও। আমাকে তোমার বই র্ভতি রং উঠে যাওয়া নিচু বাড়িটা দাও।আর কি করে বলবো - আমাকে জীবনের মানে খুঁজতে থাকা মৃত্যুর বন্ধু ছেলেটা দাও। আমি ওকে বুকে আগলে রাখতে চাই। ও আমার কাছে ভালো থাকবে। এগুলো তো বলতে পারি না। না বলা কথাগুলো ভেতরেই গুমরে গুমরে মরে। ওদের সাথে সাথে প্রতিদিন আমিও মরে যাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




