somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"আগামী ৬ মাসেও হার স্বীকার করবো না" - ট্রাম্প । - ''এখন পর্যন্ত আমরা এমন কোন জালিয়াতির প্রমাণ দেখতে পাইনি যা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে পারে,'' -যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল।আমেরিকার ক্ষমতা হস্তান্তর সমাধান কোন পথে ?(আমেরিকার নির্বাচন পরবর্তী ফলোআপ পোস্ট - ৬)।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লড়াইয়ে পরাজিত হওয়ার পর এই প্রথম টিভি সাক্ষাতকারে রবিবার (২৯/১১/২০২০) ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, "তিনি জো বাইডেনের কাছে কখনো পরাজয় মেনে নেবেন না এবং ব্যাপক ভোট জালিয়াতির ব্যাপারে তার অভিযোগ প্রত্যাহার করবেন না"।

আগামী ছয় মাসেও হার স্বীকার করবেন না বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনের পর প্রথম সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানালেন তিনি। রবিবার ফক্স চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আক্রমণ করলেন সুপ্রিম কোর্টকেও। ট্রাম্প সাক্ষাতকার দেয়ার সময় ফক্স নিউজের ম্যারিয়া বর্টিরোমোকে বলেন, "ভোট জালিয়াতির দাবির বিষয়ে আমার মনোভাব পরিবর্তন করা একেবারে অসম্ভব। এ ব্যাপারে ছয় মাসের মধ্যে ও আমার মনোভাব পরিবর্তন হবে না।"

নভেম্বর নির্বাচনের পর দুই একবার তাঁকে জনসমক্ষে দেখা গেলেও সাংবাদিকদের সামনে বিশেষ মুখ খোলেননি তিনি। যা বলার টুইটে বলেছেন। তিনি যে হেরে গেছেন, তা জানতে পারার পর একের পর এক টুইটে এক পা এক পা করে তিনি পিছিয়েছেন। নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বললেও ক্ষমতা হস্তান্তরের রাস্তা খুলে দিয়েছেন। রবিবার প্রথম ফক্স চ্যানেলকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ফের নির্বাচনে ঐতিহাসিক কারচুপির অভিযোগ এনে আদালত থেকে নির্বাচনী কর্মকর্তা, সকলকেই এক হাত নিয়েছেন তিনি.

ট্রাম্পের অভিযোগ, মার্কিন নির্বাচনে এত বড় কারচুপি এর আগে কখনো হয়নি। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে ট্রাম্পের বক্তব্য, কারচুপি আটকানোর জন্য কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি তারা। যদিও নিজের বক্তব্যের সপক্ষে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি ট্রাম্প। আদালতও ট্রাম্প এবং রিপাবলিকানদের বহু অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।



সুপ্রিম কোর্টেরও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তাঁর প্রশ্ন, কেন সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ করবে না? সুপ্রিম কোর্টে দেওয়ার মতো তাঁর হাতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে বলে এ দিনের সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, আগামী ছয় মাসেও নিজের হার তিনি স্বীকার করবেন না।

ভোট জালিয়াতির দাবির পক্ষে আবারো কোন প্রমাণ তুলে না ধরে তিনি করে বলেন, ‘এটি পাতানো নির্বাচন ছিল। এ নির্বাচন একেবারে জালিয়াতিপূর্ণ ছিল।তিনি আরো বলেন, ‘আমরা খুব সহজে এ নির্বাচনে জয়লাভ করেছি।’
৪৫ মিনিটের ওই সাক্ষাতকার নির্বাচনে জালিয়াতির ব্যাপারে যুক্তিহীন দাবির পক্ষে একেবারে একপেশে ছিল। আর এটি ছিল ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের পর টেলিভিশনকে দেয়া ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাতকার।মার্কিন নির্বাচনের যথাযথ প্রক্রিয়া প্রশ্নে ট্রাম্পের নজিরবিহীন আক্রমণ সত্ত্বেও তার লিগ্যাল টিম এখন পর্যন্ত আদালতে কোন যুক্তিযুক্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।

নির্বাচনে জালিয়াতির অজুহাত তুলে দেশের আদালতে একের পর এক মামলা করলেও বিচারকরা এসব মামলা নাকচ করে দেন। সর্বশেষ পেনসিলভানিয়ার সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে যুক্তিহীন মামলা করায় তিরস্কার করে তা নাকচ করে দেন।

আর এত সবকিছুর মাঝেও ব্যাটেল গ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য হিসেবে পরিচিতি পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আটকে দিতে এবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্টকে রিপাবলিকানরা তাদের মামলা গ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন।বাইডেনকে ঠেকাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মামলা করেছিলেন, তা যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের অভাবে খারিজ করার তিনদিন পর মঙ্গলবার (০১/১২/২০২০) এ আবেদন করলেন রিপাবলিকানরা।

উত্তর-পশ্চিম পেনসিলভানিয়ার রিপাবলিকান ইউএস রেপ. মাইক কেলি এবং অন্যান্য বাদী আদালতকে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের অনুরোধ জানান। তারা বলছেন যে, পেনসিলভানিয়ার বিস্তৃত মেইল-ইন ভোট আইনটি অসাংবিধানিক কারণ এর বিধানগুলো অনুমোদনের জন্য সাংবিধানিক সংশোধনী প্রয়োজন।
বাইডেন পেনসিলভানিয়ায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৮০ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প এই অঙ্গরাজ্যে জয়লাভ করেছিলেন।এর আগে পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আটকে দিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা মামলা শনিবার রাতে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের অভাবে খারিজ করে দেয় আপিল আদালত।রাজ্য সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মতভাবে জানিয়েছে যে, ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির থেকে ভোট জালিয়াতির যে অভিযোগ করা হয়েছে সে বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ উত্থাপন করতে পারেনি।
এদিকে আবারো কোনো ধরণের প্রমাণ ছাড়াই বুধবার ( ০২/১২/২০২০) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে বিরোধী দলের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন," ৪ বছর পর আপনাদের দেখে নেব"।মার্কিন স্থানীয় সময় বুধবারের হোয়াইট হাউজের ডিপ্লোম্যাটিক রুম থেকে বক্তব্য রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানেই এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, "দারুন ছিল গত চার বছর। আরও চার বছরের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। যদি না হয়, চার বছর পর আবার দেখা হবে"।যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখছি। সকলেই জানেন নির্বাচনে কীভাবে কারচুপি হয়েছে। গণনায় প্রথম থেকে আমি এগিয়ে ছিলাম, হঠাৎ করে হেরে গেলাম। এটা হয় না। আমাদের কাছে অনেক প্রমাণ আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল ও প্রধান আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা উইলিয়াম বার বলেছেন,''এখন পর্যন্ত আমরা এমন জালিয়াতির প্রমাণ দেখতে পাইনি যা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিতে পারে"।যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির যেসব অভিযোগ তুলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার সপক্ষে কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই অ্যাটর্নি জেনারেল ।পরাজয় স্বীকার না করা ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য তার এই অবস্থানকে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

আবার ,নির্বাচনের আগে ঢেলে সাজানো কেন্দ্রীয় বিচার বিভাগও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কোনো সহায়তায় আসছে না। তিনি নির্বাচনের ফল পাল্টে দেয়ার যে চ্যালেঞ্জ করেছেন, তাতে বিচার বিভাগ তেমন কোনো ভ্রুক্ষেপই করছে না। উল্টো ট্রাম্পের নিয়োগ করা এক বিচারকই তাকে নিয়ে উপহাস করছেন। দেশের রাজনীতি বা ভোটের ফল নিয়ে কোনো আগ্রহই দেখাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। এখানে উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে মারা যান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ ব্যাডার গিন্সবার্গ। বিরোধী দল ডেমোক্রেটদের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও তিনি ওই পদে প্রচলিত রীতি না মেনে দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ করেন বিচারপতি এমি কোনি ব্যারেটকে। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টে রিপাবলিকান বিচারকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা শক্তিশালী হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আপ্রিল কোর্টে নিসেই স্টিফানোস বিবাস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। পেনসিলভ্যানিয়া রাজ্যে জয় পেয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। কিন্তু অপ্রমাণিত ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টিম ওই রায়কে উল্টে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রিপাবলিকান বিচারক স্টিফানোস বিবাস ট্রাম্প টিমের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন এ মামলায়। ইউএস থার্ড সার্কিট কোর্ট অব আপিলস প্যানেলের পক্ষে সর্বসম্মত এক রায়ে তিনি লিখেছেন, "অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলো আমাদের গণতন্ত্রের জীবনীশক্তি। অভিযোগ গঠনের জন্য সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হয়। তারপর আসে সেটা প্রমাণের বিষয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা কোনোটাই পাইনি। উল্লেখ্য, তিন বিচারকের এই প্যানেলে ছিলেন সাবেক রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নিয়োগ দেয়া দু’জন বিচারকও। তারাও স্টিফানোস বিবাসের ওই রায়ে স্বাক্ষর করেছেন"।



প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসেন ২০১৬ সালের নির্বাচনে। তারপর থেকে তিনি ফেডারেল আপিল কোর্টে নিয়োগ দিয়েছেন ৫৩ জন বিচারক। তার মধ্যে স্টিফানোস বিবাস একজন। পক্ষান্তরে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার দুই মেয়াদের ৮ বছরের ক্ষমতার সময়ে নিয়োগ দিয়েছিলেন ৫৫ জন বিচারক। ট্রায়াল-লেভেল ফেডারেল বিচারকদের প্রায় এক চতুর্থাংশই নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। লস অ্যানজেলেসের লোয়োলা ল স্কুলের প্রফেসর জেসিকা লেভিনসন বলেন, বিচারক নিয়োগের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসন এতটাই কার্যকর ছিল যে, আসলে তা ছিল তার প্রকৃত একটি ভুল সিদ্ধান্ত। কারণ, তারা মনে করেছিল যাকে তারা নিয়োগ দেবেন, তারাই নির্বাচনের ফল তাদের পক্ষে এনে দেবেন।

উল্লেখ্য, ৩রা নভেম্বর নির্বাচন শেষে ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন বিজয়ী হন। তার এই বিজয়কে উল্টে দিতে রাজ্য ও ফেডারেল কোর্টগুলোতে কমপক্ষে ৪০টি মামলা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবির, তার মিত্ররা। এমনকি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও অধিকারকর্মীরা। এর মধ্যে ১৩টি ফেডারেল মামলা এতটাই কম সফলতা দেখিয়েছে যে, তা উল্লেখ করার মতো নয়। তবে বেশির ভাগ অভিযোগই প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। স্টিফানোস বিবাসের কাছে আপিলে শুনানি হয়েছে এমন একটি কেসসহ তিনটি কেস খারিজ হয়ে গেছে। লেভিনসন বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তার আন্দাজনির্ভর অভিযোগ, যুক্তি, যার প্রতি বিচারকরা সমবেদনা দেখাতে পারছেন না। বিচারকদের কাছে এসব মামলা হলো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রদর্শনের জন্য একটি সহজ উপায়। এসব মামলা একেবারে ফালতু।

একটি ঘটনায় ট্রাম্পের নিয়োগ দেয়া একজন বিচারক ট্রাম্পেরই আইনজীবী লিন উডের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। ওই মামলায় জর্জিয়ায় জো বাইডেনকে বিজয়ী এমন সার্টিফাই স্থগিত করার আবেদন করা হয়েছিল। ১৯ শে নভেম্বর আটলান্টায় ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ স্টিভেন ত্রিমবার্গ তার রায়ে লিখেছেন, শেষ মুহূর্তে সার্টিফিকেশনকে স্থগিত করার মধ্য দিয়ে সংশয় সৃষ্টি হবে। এই সার্টিফিকেশন স্থগিত রাখার কোনো মৌলিক সত্য ও আইন আমি দেখছি না। তবে ট্রাম্পের আইনি পরিষদের উপদেষ্টা জেনা ইলিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, আদালতের কাছে পূর্ণাঙ্গ তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়নি ট্রাম্প টিমকে। যে দুর্নীতি হয়েছে, অনিয়ম হয়েছে, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে তার সঠিক বিচার হওয়া উচিত। সেটা হয়তো আদালতে না হয় রাজ্যের লেজিসলেচারে হওয়া উচিত।

ওদিকে নির্বাচনের আগে সেপ্টেম্বরে পেনসিলভ্যানিয়াতে ডাকযোগে আসা ভোট গণনার জন্য নির্বাচনের দিনের পর তিনদিন পর্যন্ত বর্ধিত করে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পেনসিলভ্যানিয়ার রিপাবলিকানরা। এতে ট্রাম্প শিবিরের অনুরোধ স্থগিত রয়েছে বলে বলা হচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে ৯ জন বিচারক আছেন। তার মধ্যে তিনজনকে নিয়োগ দিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তারা হলেন বিচারপতি নিল গোরসাস, ব্রেট কাভানাহ এবং সম্প্রতি নিয়োগ দিয়েছেন এমি কোনি ব্যারেটকে। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে সুপ্রিম কোর্টে যোগ দেন ব্যারেট। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টে এখন রিপাবলিকানরা ৬-৩ ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ। বার বার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, নির্বাচনের ফল নির্ধারণ হবে আদালতে। ফলে তিনি যখন নির্বাচনের ফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন, ভিত্তিহীন ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করছেন, তখন কি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা তার পক্ষ নেবেন!

তবে রোববার ট্রাম্পের কণ্ঠ অনেকটাই নরম শুনিয়েছে। তিনি ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, বাইডেনের বিজয় আদালতে উল্টে দেয়ার পথ ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে আসছে। তিনি বলেছেন, সমস্যাটা হলো, সুপ্রিম কোর্টকে বাগে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। আইনি বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত ফেডারেল বিচারকরা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে অনিচ্ছুক।

এখন দেখার বিষয় এই যে ,শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প কিভাবে এবং কেমন করে পরাজয় মেনে নেয় । সে কি দীর্ঘমেয়াদি আইনি লড়াই শেষে পরাজয় মানবে না এ পর্যন্ত যা হয়েছে-করেছে তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে পরাজয় মেনে নিবে। যদিও তার আইনি কিংবা বেআইনি কোন লড়াই তাকে ২ য় মেয়াদে ক্ষমতায় রাখতে পারবে বলে মনে হয়না কিন্তু সে কিভাবে-কখন এটা বুঝবে এটাই প্রশ্ন।


২০২০ আমেরিকার নির্বাচন পরবর্তী ফলোআপ পোস্ট - 5- Click This Link

তথ্যসূত্র: এএফপি,ডয়চে ভেলে।
ছবি - গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×