অবশেষে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক তদন্ত কমিটির প্রধান পদত্যাগ করেছেন। এতে আপাতত একটি বিতর্ক শেষ হলেও, ঘটনাটি কি কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা? বিষয়টি কিন্তু বেশ কয়টি প্রশ্ন জাগিয়ে তুলে----
১। যুদ্ধাপরাধের বিচার এখন জাতিয় দাবি। বিচারকে সকল প্রশ্নের উর্দ্ধে রাখার জন্য একটি প্রশ্নহীন তদন্ত প্রয়োজন, কিন্তু এই বিতর্ক শুরুটেই কি বিষয় টাকে প্রশ্নবিদ্ধ করলো না?
২। নিশ্চয়ই এতো গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগটি স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এসেছে, তাহলে কারা করলো এই সুপারিশ? তাহলে কি সত্যই, সর্ষের ভিতর ভূত? যুদ্ধাপরাধীরা এতই ক্ষমতাধর, যে তারা এই বিষয়কেও প্রভাবিত করতে পারে। বিষয়টি কিন্তু খুবই উদ্বেগজনক।
৩। নিশ্চয়ই গোয়েন্দা সংস্হা রিপোর্ট দিয়েছে? তারা কি রিপোর্ট দিলো? তারা যদি ঠিক রিপোর্টই দিয়ে থাকে, তাহলে বিষয়টি আমলে নিলো না কারা? কি তাদের উদ্দেশ্য?
৪। স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রি, প্রতিমন্ত্রি কি এই বিষয়ে তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন?
৫। বিষয়টি যদি এই উপদেস্টা জানতেনই, তবে তিনি আগে কেনো বল্লেন না? সংবাদপত্রে দেখা গেলো, সরকারের আরো কয়েকজন মন্ত্রি, এম.পি তাকে জানতেন, তাহলে তারা কিছু বল্লেন না কেন? নাকি, বিষয়টি উচ্চমহলে কোন আলেচনা ছাড়াই হয়েছে? এইটা কি সরকারের সমন্বয়হীনতাই প্রমান করে না?
এই সরকারের এখনো অনেক সময় বাকি। আর ষড়যন্ত্রকারিরা ও সক্রিয়। কাজেই সরকারের উচিত আরো সতর্ক হওয়া। আশা করবো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রি সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে সফলতার সাথে যুদ্ধপরাদধের বিচার শেষ করার ব্যবস্হা করে জাতিকে কলংকমুক্ত করবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



