শিক্ষকদের একাংশ বলেছেন যে , দেশে বিতর্কিত নির্বাচন হলে তারা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপালন করবেন না । উপজেলা ও পৌর নির্বাচনে শিক্ষকদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধেরও বিরোধিতা করেছে তারা।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আজ দুপুরে জাতীয় শিক্ষক কর্মচারি ফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ বলেন, "আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে কোনো রকম বিতর্ক দেখা দিলে শিক্ষক সমাজ সেখানে দায়িত্ব পালন করবে না। কোনো বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্বপালন করে শিক্ষকরা কেন জীবনে ঝুঁকি নেবেন?"
তিনি আরো বলেন, "১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র"য়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি হলে তখনকার মতো এবারো শিক্ষক সমাজ দায়িত্বপালন করবে না।"
সম্প্রতি জারি হওয়া স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) অধ্যাদেশ ২০০৮ এ বলা হয়েছে, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কোনো সংস্থার সার্বক্ষণিক বা খণ্ডকালীন পদে চাকরিরতরা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
উপজেলা বা পৌর নির্বাচনে শিক্ষকদের অংশগ্রহণের সুযোগ বহাল রাখার দাবি জানিয়ে কাজী ফারুক বলেন, "শিক্ষকরা উপজেলা বা পৌর নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না বলে স¤প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবর সঠিক হলে শিক্ষক সমাজ তা মেনে নেবে না। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া তাদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। আমরা নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।"
[সূত্র: বিডিনিউজ}

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




