ট্রডোর ইমার্জেন্সী ঘোষনা
কানাডায় বিভিন্ন প্রভিন্সে আজ থেকে স্টেট ইমার্জেন্সি ঘোষনা করেছে মার্চ ৩১ তারিখ পর্যন্ত। এ পর্যন্ত (মার্চ ১৭) মোট ৫৫৬ জন করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে এবং মারা গেছে ৫ জন ও আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে ৯ জন। প্রথম থেকেই কানাডার সরকার ও গণমাধ্যম গুড়ুত্ব সহকারে নিয়েছিল করোনার আক্রমন প্রতিহত করতে। এই স্টেট ইমার্জেন্সি্র আওতায় বন্ধ থাকবে সকল পাবলিক জমায়েত, স্কুল, কলেজ, রেস্টুরেন্ট, লাইব্রেরী চার্চ, ইনডোর/আউটডোর খেলাধুলা, সিনেমা, স্টেজ পারফরমেন্স সহ সব কিছু। শুধু খোলা থাকবে হসপিটাল, ফার্মেসী ও গ্রোসারী শপ। তারপরও সে সব স্থানে স্যানিটাইজেসানের কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার করোনা ফান্ড ঘোষনা করেছে। কাজ না থাকলেও সকলের জন্য বেতনের যথাযথ ব্যবস্থা করেছে যাতে কেউই কোন সম্ভাব্য বিপদে না পরে। ২৪ ঘন্টা ইমার্জেন্সি ছাড়াও ৯১১ এর মতো ৮১১ এ স্পেশাল কল সেন্টার খুলেছে। এবং সবাইকে যথাসম্ভব ঘরে থাকতে বলেছে ও প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। বলতে গেলে প্রায় সকলেই তা মেনে চলছে। আমরা খাবার সহ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রেখেছি ও ঘরের বাইরে পরত:পক্ষে বের হই না।
এতো সব কথা বলার কারন দেশের বিভিন্ন খবরে দেখলাম আমরা স্কুল কলেজ ছুটি পেয়ে কক্সবাজার সাজকের দিকে বেড়াতে ছুটেছে, আনন্দে সবাই পার্টি দিচ্ছে, মেয়র সাহেব সবাইকে জমায়েত করে হাত ধোয়া শেখাচ্ছেন, আনন্দ করছি, কোলাকলি করছি, বিদেশ ফেরত বা কোরায়েন্টাইন থেকে পলাতক ভাইরাস পজিটিভ রোগীকে বাসায় দাওয়াত দিয়ে খাওয়াচ্ছি। কানাডার মতো সবচেয়ে কম ঘনবসতি জনগোষ্টিও ভয়ে কাঁপছে আর বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতি দেশ হওয়া সত্বেও আমরা কোন ভয় পাচ্ছি না বা আমলে নিচ্ছি না। কেন??? আমরা বুঝে করছি নাকি না বুঝে করছি?
আমি আরো বেশী দু:শ্চিন্তায় কাটাচ্ছি এই ভেবে যে আমাদের ডাক্তার নার্সদেরইতো কোন নিরাপদ ব্যবস্থা নেই, তারা কিভাবে রোগীর সেবা করবে? কোন পরিকল্পনা কি সরকারী তরফ থেকে নিয়েছে? কিংবা কিভাবে এ দূর্যোগ মোকাবেলা করবে তার কোন পদক্ষেপ নিয়েছে? কোন বাজেট বরাদ্দ হয়েছে কি? কিভাবে বরাদ্দের ব্যবস্থা হবে তা নিয়ে কি কেউ কথা বলেছে? রোগীকে কিভাবে ট্রিটমেন্ট দিবে তার কি কোন ব্যবস্থা বা ইউনিট খুলেছে? কোন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা কি করেছে লোকবলের?
শুধুমাত্র কিছু বেকুবদের বোকামীর জন্য জন্য প্রান হারালো কানাডা ফেরত শিক্ষার্থী নাজমা। এখনো সময় আছে সময় থাকতে হুশিয়ার হবার। আর যেন কেউ এভাবে প্রান না হারায়, কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় চলে না যায়.............. এ প্রত্যাশা সরকারের কাছে।
সবাই ভালো থাকুন ও সাবধানে থাকুন। প্রয়োজনের বাইরে ঘর থেকে বের হবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৭