শাকিব খানকে নিয়ে কিছুটা আগ্রহী হয়ে উঠি যখন অপু বিশ্বাসের সন্তানসহ কান্নাকাটির সাংবাদিক সম্মেলন দেখি। স্বামীর অন্য নায়িকার সাথে লটর পটর দেখে বলা নেই কওয়া নেই হটাৎ জনসম্মুখে শিশু সন্তানসহ হাজির হয়ে নিজের সংসার রক্ষার জন্য স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন দেখে আমার ভিমড়ি খাবার জোগাড়। সংসার হবে তোমার আর তোমার স্বামীর আন্ডারসেন্ডিং এ, সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা কোথায় তা আমি একটা যোগসূত্র খোজাঁর চেষ্টা করলাম। তখনই মনে পড়লো কোন এক সময় রোকেয়া হলের একজন নেত্রীও তার সংসার রক্ষাত্রে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন। এবং যতদূর জানি প্রধানমন্ত্রী তা মিমাংসা করেছিলেন। হয়তো সে কারনে ইন্সপ্রাইড হয়ে অপু বিশ্বাস সে কাজ করেছেন কিংবা ভেবেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ধমকে স্বামীর মন গলবে!! বোকা মেয়েটি বোঝেনি স্বামীদের মন গলানো অতো সহজ নয়।
যাহোক, আমাদের শাকিব খান সে ধরনের পুরুষই নয়, উনি যথেষ্ট শক্ত পুরুষ। সবার সবকিছু থোড়াই কেয়ার করে উনি ডিভোর্স এর পথে গেলেন। ঘটনা সেখানেই শেষ হতে পারতো কিন্তু না...... আমাদের সমাজের শক্ত পুরুষ বলে কথা। আবারো জাতির সামনে কয়েক বছরের ব্যবধানে এবার সে নায়িকা বুবলী একই বয়সী তার শিশু সন্তানসহ কান্নাকাটির সাংবাদিক সম্মেলন করেন এবং আবারো স্বামীকে ফিরে পাওয়ার আকুল আকুতি জানান। আর আবারও সেই পুরোনো কাহিনীর পুনরাবৃত্তি। এবার নুতন নায়িকার স্থান দখল করেছে নায়িকা পূজা। আর আমাদের বুবলী স্বামী হারা হওয়ার আশংকায় হঠাৎও গর্ত থেকে সন্তানসহ হাজির।
দর্শকরা আরো বছর কয়েক অপেক্ষা করলে নায়িকা পূজারও সন্তানসহ কান্নাকাটির সাংবাদিক সম্মেলন দেখতে পাবেন এটা নিশ্চিত।
এমনিতেই আমাদের সমাজের পুরুষ, তার উপর জনপ্রিয় অভিনেতা তারও উপরে নিজেকে নাম্বার ওয়ান হিসেবে পরিচয়, সে তো নিজেকেতো ইশ্বরের কাছাকাছি ভাবে। আর এ সুযোগে মেয়েদের ইমোশনকে ইউজ করবে ও তারা হুমড়ি খেয়ে পড়বে। তারপর কিছুদিন লটর পটর, অতি গোপনীয়তার নিশ্চয়তার ভিত্তিতে সন্তানের জন্ম। অতপর: নতুন নায়িকার আগমন ঘটবে।
আমার প্রশ্ন শাকিব খানকে না, প্রশ্ন আমাদের নারী সমাজকে। কারন এ অপু, বুবলী বা পূজারাই শাকিবকে ইশ্বরের আসনে বসিয়েছে। তারা সুযোগ দিয়েছে বলেই শাকিব সুযোগ নিয়েছে। আজ যদি অপু/বুবলী নিজেকে এতো খেলো না ভাবতো, নিজেকে শাকিবের অধীন নয় নিজেদেরকে একজন স্বাবলম্বী অভিনেত্রী ভাবতো এবং ঘুরে দাঁড়াতো তাহলে শাকিব একের পর এক একই কাহিনীর পুনরাবৃত্তির সাহস পেতো না।
একজন পুরুষকে ইশ্বর বানানোর সুযোগটা আমরা মেয়েরাই দেই। আমরা নিজেদেরকে খুব খেলো মনে করি, নিজেদের ক্ষমতাকে কখনই বুঝতে পারি না। যার কারনে যে কেউই আমাদেরকে সহজেই ইউজ করতে পারে। অপু বিশ্বাস, বুবলী কিংবা পূজারা নিজেদের আত্মসন্মান নিয়ে ঘুরে দাঁড়াক, এই প্রত্যাশায়।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:০২