somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফ্রান্সে লালন শাহের ভাস্কর্য নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে

১৭ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ফ্রান্সে লালন শাহের ভাস্কর্য নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। অত্যন্ত উত্তেজনাকর এই সংবাদটি জানিয়েছেন- বিশিষ্ট লালন গবেষক ড. আবদুল ওয়াহাব। তিনি আরও জানান- দেশের গণ্ডি ছেড়ে ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ার মধ্যে জাপানে লালন শাহের জীবন দর্শন নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। তবে লালন শাহ অনেকখানি এগিয়ে আছেন সূদূর ফ্রান্সে। সেখানে লালন শাহের ভাস্কর্য নির্মাণ করার পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে। ১৭৮৯ সালে ফরাসী বিপ্লবের পর রুশো এবং ভলতেয়ার মানব জাতিকে যে জীবন দর্শনের পথ দেখান তার অনেক আগে লালন শাহ মানুষকে মুক্তির পথ দেখান। শত বছর আগে লালন যা বলে গেছেন, শত বছর পর সেই জীবন দর্শনের আলোকে মানুষ মুক্তির পথ খুঁজছে।
ড. আবদুল ওয়াহাব আরও জানান: উপমহাদেশে লালন শাহ-ই প্রথম ’মহাত্মা’ উপাধি পান। এর ২৫ বছর পর করমচাঁদ গান্ধীকে ’মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়। এ দু’জনের পর আজ পর্যন্ত এই উপাধিতে আর কাউকে ভূষিত করা হয়নি। ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর লালন শাহের মৃত্যুর ১২ দিন পর ৩১ অক্টোবর তৎকালীন পাক্ষিক পত্রিকা ’হিতকরী’তে লালন শাহ সম্পর্কে লেখনীতে তাকে মহাত্মা উপাধিতে ভূষিত করা হয়। সংবাদটির প্রতিবেদক ছিলেন রাইচরণ নামের এক ভদ্রলোক। হিতকরীর সম্পাদক ছিলেন মীর মোশাররফ হোসেন। উল্লেখ্য, ১১৬ বছর বয়সে লালন শাহ প্রাণ ত্যাগ করেন। তবে মৃত্যুর পর লালন শাহ ’মহাত্মা’ উপাধি পেলেও গান্ধীজী পেয়েছিলেন জীবদ্দশায়। ১৯১৫ সালের ২১ জানুয়ারি গুজরাটের কামরীবাই স্কুল পরিদর্শনে গেলে নৌতম লাল ভগবানজী মেহতা নামের এক রাজনৈতিক নেতা গান্ধীজীকে ওই উপাধি দেন।
স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও ছিলেন লালন ভক্ত। লালন সম্পর্কে তিনি বলেছেন, লালন ফকির নামে একজন বাউলসাধক হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, জৈন ধর্মের সমন্বয় করে কী যেন একটা বলতে চেয়েছেনÑ আমাদের সবারই সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

তথ্যসূত্র: মনিজা হাবীব-এর নিবন্ধ: লালন শাহ-ই প্রথম ‘মহাত্মা’ উপাধি পান উপমহাদেশে। দৈনিক আমাদের সময়। আগস্ট ১৭, ২০০৯, সোমবার : ভাদ্র ২, ১৪১৬ । আপডেট বাংলাদেশ সময় রাত ১২:০০

মূল সংবাদটি এখানে ...

Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৪১
৩৫টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×