ফ্রান্সে লালন শাহের ভাস্কর্য নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। অত্যন্ত উত্তেজনাকর এই সংবাদটি জানিয়েছেন- বিশিষ্ট লালন গবেষক ড. আবদুল ওয়াহাব। তিনি আরও জানান- দেশের গণ্ডি ছেড়ে ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং এশিয়ার মধ্যে জাপানে লালন শাহের জীবন দর্শন নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। তবে লালন শাহ অনেকখানি এগিয়ে আছেন সূদূর ফ্রান্সে। সেখানে লালন শাহের ভাস্কর্য নির্মাণ করার পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে। ১৭৮৯ সালে ফরাসী বিপ্লবের পর রুশো এবং ভলতেয়ার মানব জাতিকে যে জীবন দর্শনের পথ দেখান তার অনেক আগে লালন শাহ মানুষকে মুক্তির পথ দেখান। শত বছর আগে লালন যা বলে গেছেন, শত বছর পর সেই জীবন দর্শনের আলোকে মানুষ মুক্তির পথ খুঁজছে।
ড. আবদুল ওয়াহাব আরও জানান: উপমহাদেশে লালন শাহ-ই প্রথম ’মহাত্মা’ উপাধি পান। এর ২৫ বছর পর করমচাঁদ গান্ধীকে ’মহাত্মা’ উপাধি দেয়া হয়। এ দু’জনের পর আজ পর্যন্ত এই উপাধিতে আর কাউকে ভূষিত করা হয়নি। ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর লালন শাহের মৃত্যুর ১২ দিন পর ৩১ অক্টোবর তৎকালীন পাক্ষিক পত্রিকা ’হিতকরী’তে লালন শাহ সম্পর্কে লেখনীতে তাকে মহাত্মা উপাধিতে ভূষিত করা হয়। সংবাদটির প্রতিবেদক ছিলেন রাইচরণ নামের এক ভদ্রলোক। হিতকরীর সম্পাদক ছিলেন মীর মোশাররফ হোসেন। উল্লেখ্য, ১১৬ বছর বয়সে লালন শাহ প্রাণ ত্যাগ করেন। তবে মৃত্যুর পর লালন শাহ ’মহাত্মা’ উপাধি পেলেও গান্ধীজী পেয়েছিলেন জীবদ্দশায়। ১৯১৫ সালের ২১ জানুয়ারি গুজরাটের কামরীবাই স্কুল পরিদর্শনে গেলে নৌতম লাল ভগবানজী মেহতা নামের এক রাজনৈতিক নেতা গান্ধীজীকে ওই উপাধি দেন।
স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও ছিলেন লালন ভক্ত। লালন সম্পর্কে তিনি বলেছেন, লালন ফকির নামে একজন বাউলসাধক হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, জৈন ধর্মের সমন্বয় করে কী যেন একটা বলতে চেয়েছেনÑ আমাদের সবারই সেদিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
তথ্যসূত্র: মনিজা হাবীব-এর নিবন্ধ: লালন শাহ-ই প্রথম ‘মহাত্মা’ উপাধি পান উপমহাদেশে। দৈনিক আমাদের সময়। আগস্ট ১৭, ২০০৯, সোমবার : ভাদ্র ২, ১৪১৬ । আপডেট বাংলাদেশ সময় রাত ১২:০০
মূল সংবাদটি এখানে ...
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৪১