কেউ কি একবারও ভাবসে?
এই যে ভারত বিশ্বকাপটা জিত্তা গ্যালো – এর ফলাফলটা কি হইবো?
আমি বারবার কইসি যে আমি চাইনা যে ভারত বিশ্বকাপ জিতুক।
কিসু লোক আসে তারা বলসে আমি নাকি পাকিস্তানের সাপোর্টার – লোকলজ্জার ভয়ে মুখে কইতে পারি না – তাই নাকি কই যে ভারত চ্যাম্পিয়ন হোক এইটা আমি চাইনা।
বাংলাদেশে দাঁড়াইয়া পাকিস্তানরে সাপোর্ট করতে বা মাঠে যাইয়া পাকিস্তানের পতাকা ওড়ানোর মধ্যে লজ্জার কি আসে? এইটা তো স্বাধীনতা দিবসের ২ দিন আগেও ঘটসে – বেশি দূরেও না – এই ঢাকায়ই – মিরপুরে। আগেও ঘটসে – তেমন একটা চিন্তা না করলেও মনে করতে পারবেন।
আরো কিসু লোক আসে যারা নাকি বিশ্বাসই করে না যে আমি ভারত সাপোর্ট করি না। হিন্দু মানেই মনে মনে ভারত। মুখে স্মার্টনেস দেখানোর জন্য বলি আমি ভারতরে সাপোর্ট করি না।
একজন বলসে আমি নাকি সাবকনশাসলি ভারতরে সাপোর্ট করি।
ফ্রয়েড যে কি শিখাইয়া গ্যালো !!!!
এইগুলা থাইকা আসলে কি বুঝা যায়?
বুঝা যায় যে আমারা বাংলাদেশিরা এখনো কোন স্বাধীন চেতনা গইড়া তুলতে পারিনাই – ৪০ বৎসর চ্যাষ্টা কইরাও পারিনাই। আমাদের চেতনায় হয় ভারত নয়তো পাকিস্তান। চীন ও আসে কোথাও কোথাও, রাশিয়াও আসে,আমেরিকা ব্রিটেন কানাডা তো আসেই।
কত চিল্লামিল্লি করতে হবে আর ?
আরে আমাদের তো একটা নিজের দেশ আসে নাকি ? তারা তো টেস্ট খ্যালে এখন – কুলীনগো তালিকায়ই আসে।
অন্য দেশেরে সাপোর্ট ক্যান করবো ? ? ? ? ? ? ? ?
অন্য দ্যাশ কিসের আটি বানসে তা মাথায় নিয়া নাচমু ক্যান ? ? ? ? ?
তা যা কাইতাসিলাম।
এই যে ভারত বিশ্বকাপটা জিতলো তার ফলাফলটা এখন কি হইবো?
বাংলাদেশ টেস্ট ইসট্যাটাস পাইসে ২০০০ সালে।
এই ভারতই পরথম ঢাকায় আইয়া বাংলাদেশের ফিতা কাইটা দিয়া গ্যাসে। এরপর আরো কয়েকবার অরা ঢাকায় আইসে, টেস্ট ওয়ানডে টুয়েন্টি টুয়েন্টি খেলসে। কিন্তুক, একবারও বাংলাদেশরে টেস্ট খ্যালার লাইগা অগো দেশে ডাকে নাই। ১১ মানে এগারো বসর হইয়া গ্যালো কিন্তুক একবারের লাইগাও টেস্ট খ্যালতে ডাকলো না। আইসিসির একটা ক্যালেন্ডার আসে। হেইডারেও তোয়াক্কা করে নাই ভারত। ক্যান করে নাই?
আইসিসি তো ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাগোও তোয়াক্কা করেনাই ভারত। এই ভারত। ক্যান করে নাই?
১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জিতার পরে – যহন বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাসের লাইগা চ্যা্ষ্টা তদবির করতাসে – সাবের চৌধুরী আর আশরাফ সাহেব – তখন ভারতের জগমোহন ডালমিয়া সিলো আইসিসির প্রেসিডেন্ট। অনেকে কয় এই লোকের লাইগাই নাকি বাংলাদেশ টেস্ট ইস্ট্যাটাস পাইসে। কিন্তু প্রশ্ন হইলো – বাংলাদেশ টেস্ট খ্যালার যোগ্যতা পাওয়ার পরও তো প্রায় বসর পাঁচেক ডালমিয়া ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের পেরসিডেন্ট আসিলো? তহনো তো বাংলাদেশরে টেস্ট খ্যালতে ডাকেও নাই - আইসিসির ক্যালেন্ডাররে এক পয়সার বেলও দেয় নাই ভারত।
মোটামুটি সরল একটা ব্যাখ্যা হইতে পারে যে বাংলাদেশের লগে টেস্ট খেলার টিকেট বিক্রী হইবো না।
তাইলে জিম্বাবুয়ে বা নিউজিল্যান্ড বা ওয়েস্ট ইন্ডিজ যহন খ্যালতে যায় তহন বুঝি অনেক টিকেট বিক্রী হয়?
হইতে পারে এইরহম যে ২০০৩-এ যেইবার বাংলাদেশ মুলতানে পাকিস্তানের লগে প্রায় জিত্তাই গেসিলো সেইটা দেইহা ভারত ভয় পাইসে। যদি বাংলাদেশরে খ্যালতে ডাকলে বাংলাদেশ অগোরে হারাইয়াই দেয় তাইলে আর মুখ দেহানের উপায় থাকবো না।
আবার এইরহমও হইতে পারে যে, জিম্বাবুয়ের যতদিন টেস্ট খ্যালার পারমিশান সিলো, ততদিন ভারত জিম্বাবুয়ে আর নিউজিল্যান্ডরে ডাকতো অস্ট্রেলিয়া, সাউথ আফ্রিকা বা ইংল্যান্ডের সাথে তথাকথিত বড় কোন সিরিজের আগে প্র্যাকটিস করার লাইগা। জিম্বাবুয়ে আর নিউজিল্যান্ডের বোলিং তো সাবকন্টিনেন্ট-এর মাটিতে আইসা এক্কেবারে বাদামের খোসার মতন হইয়া যায়। প্র্যাকটিস-ট্যাকটিস কইরা কনফিডেন্স বাড়ানোর জন্য এইরহম ভোতা-ভাতা বোলিং হইলে সবচেয়ে ভালো। শচীন, দ্রাবিড়, সৌরভ, লক্ষণ – এ্যারা যাতে সেঞ্চুরি-টেঞ্চুরি কইরা সব কনফিডেন্স বাড়ায়া রেডি হইয়া থাকতে পারে বড় সিরিজের লাইগা।
যত যাই কই – কোনভাবেই ব্যখ্যা করা সম্ভব না যে ক্যান ভারত বাংলাদেশরে একটাও টেস্ট দেয়নাই – এগারো বসরেও না। এ্যাকটা কথা ঠিক যে ভারত মানেই ক্রিকেট আর ভারত আসে বইলাই ক্রিকেটের এতো ঠাট-বাট, এত্তো ট্যাকা পয়সা। এই কারণে বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের এতো পাওয়ার। এ্যাতোদিন তো তাও একরহম সিলো। এখন তো এক্কেরে বিশ্বচ্যাম্পিয়নই হইয়া গ্যাসেগা। এইবার যে কি করবো? এ্যামনেই ভারতের পাগড়ি পড়া ছাগলটার কথা বার্তা শুইনা মনে হয় ক্রিকেট ব্যাট একটা লইয়া অর শরীরে একটা জৈবিক কাজে লাগাই।
একটা ভালো জিনিস ঘটতে পারে অবশ্য। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অরা এ্যামন উঠা উঠবো যে বাংলাদেশের মতো চুনোপুটি নিয়া কথা বলার অগো আর সময়ই থাকবো না। এই কয়েক বসর আগে পর্যন্তও তো ক্রিকেটে ত্যামন একটা কিসু করতে পারে নাই ভারত। তাতেই অগো যা আহ্লাদ। এইবার যে কি হইবো? রজনীকান্তরেও ফেইল মারায়া দিবো মনে হইতাসে।
বাংলাদেশ তো ক্রিকেটে ভারতের “এলাকার ছোট ভাই”। এরপর যদি একদিন আইসা কয় যে তোমাগো ক্রিকেটের যাবতীয় যা ডিসিশন সব আমরাই নিয়া দিবো – তাইলেও অবাক হওয়ার কিসু থাকবো না। করারও ত্যামন কিসু থাকবো না।
কওয়া যায় না – অন্য দ্যাশেও গিয়া শুরু করতে পারে “দাদাগিরি আনলিমিটেড”! যেমন অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ড বা সাউথ আফ্রিকা! ভারতের কিসুই বিশ্বাস নাই!
ভাই কে জিতলো কন তো এইবার? ক্রিকেট নাকি ভারতের “দাদাগিরি”?
বাংলাদেশে যারা ভারতের পতাকা উড়াইসে তারা বুঝবো কিসুদিন পরেই – পাকিস্তানরে য্যামন সাপোর্ট করার মতো কিসু নাই – ত্যামন ভারতও আমাগো লগে এমন মিষ্টতার কিসু করে নাই যে অগো লাইগা চিল্লাইতে হইবো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




