somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্যানানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু - ওয়ালাতো মায়ালাতু চেয়ার । মোয়ালা আপদু সা জাহান্নাম । চেয়ার ঠিক তো সব ঠিক । বাকী দুনিয়া জাহান্মামে যাক ।

২০ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহামতি হেনরী কিসিন্জার পৃথিবীর দুটো দেশকে বটমলেস বাসকেট বা তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলেন । একটি বাংলাদেশ আর একটি ব্যানানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু । বাংলাদেশে তার উদিত, মন্ডিত, মাথিত, নাদিত, যাপিত, তাপিত, সদাসিদ, রাজনৈতিক নেতা, কামেল ব্যাক্তিবর্গ, প্রোথিত, গ্রথিত বুদ্ধিজীবি সমাজ, ও মথিত, দলিত আমলা কামলা সবাই কাধে কাধ রেখে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন । কিন্তু ব্যনানা রিপাবলিক অফ হানুলুলু সেই উচ্চতাটা ধরতেই পারেনি ।

সারা পৃথিবীর উন্নয়ন স্কুল গুলোতে আজ বাংলাদেশের নাম পড়ানো হয় । হাভার্ড, অকসফোরড, প্রিন্সটন, কর্নেল, পেন, ম্যাক মাস্টার । "হানুলুলুর বৃজে বাশ" শিরোনামে ইউভার্সিটি অফ ওয়াটারলুর সিভিল এন্ড ইনভায়রোন্টমেন্ট ফ্যাকাল্টির জার্নালে লেখা এসেছে । এমন লেখা দেখে হানুলুলুর মন্ত্রী ও কতিপয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিখ্খক বলেছেন লাতো ফাপরুরজি ওলাতো রুতলু কাশু।
মানে (আমরা কাশেম মানে ক্যাশ বা কাশু দেইনি বলে এমন ফাপরবাজী করেছে ) হানুলুলুর মুদ্রা ক্যাশ কে অনেকে কাশেম বলে ।

এমন অনেক বিষয় নয়ে প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদ বেশ চিন্তিত । তিনি ইদানিং হাভানার চুরুট খাচ্ছেন । নিজের মধ্যে ক্যাস্ত্রো, চের মত ভাব অনুভব করতে চাচ্ছেন । বা নিতে চাচ্ছেন । কিন্তু তার মনে হচ্ছে তিনি পাকিস্তানের জারদারীর মত মি. টেন পার্সেন্ট । জারদারী বন্যার সময় জার্মানীতে বারবনীতার সাথে হোটেলে শুয়েছিলেন সেটা চাওর হয়েছিল । পাকিস্তানী মিডিয়াতে ।

কিন্তু শাহ আবজেল মোহাম্মদের টা চাওর হয়নি । কিন্তু তিনি নিজে নিজে ভাবছেন । তার দেশেও বন্যা । তিনিও কোলনে গেছেন । প্রেসিডেন্টের অনারে কোলনের ফেডারেল গভমেন্টের হেড মেয়র পার্টি দিয়েছেন । সেখানে কোলনের ফেমাস মডেলরা এসছে । পরিচয়, বাতচিত হয়েছে । চাওর তো হয়নি ।

দেশে এসেই রাজ্যের সব খবর । ডাবল সিন্নি ।
সেটা কি ?
সিন্নি নামের এক নারীর জামাইকে কুপিয়ে মেরেছে এমপি পুত্রের ছেলের ড্রাগস হেন্ডেলকারী । সিন্নি বাচাতে গিয়ে পারেনি । মানুষ দাড়িয়ে দেখেছে । সেই সিন্নি এখন খুনের আসামী । সিন্নীর চোখ দেখলে মনে হচ্ছে সে পশ্চিম হানুলুলুর হায়েনা ফোর্সের হাতে সারা রাত নির্যাতিতা হয়েছে ।

যে যুদ্ধে হানুলুলু জিতেছিল সেই হায়েনাদের বিরুদ্ধে । কোন ল-ইয়ার দাড়াতে পারেনি । সিন্নির জন্য । যেটা সংবিধানের সম্পুর্ন ভায়োলেশন । এমন শত শত ভায়োলেশন প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদের সরকার কেয়ার করেন না । যারা দেশেে পাবলিক সার্ভেন্ট যারা জনগনের জন্য শপথ নেয়া, জনগন ও দেশকে রিপ্রেজেন্ট করবেন বলে জনগনের ট্যাকসের টাকায় বেতন নেন সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন তারা সবাই বেচা হয়েছেন । ওদিকে এমপি পুত্রের নিষেধ ছিল বলে ল ইয়ার দাড়াতে পারেনি ।

শাহ আবজেল মোহাম্মদের মনে পড়ল এই এমপি ১৫ কোটি কাশেম দিয়ে নমিনেশন কিনে ছিল । আবজেল মোহাম্মেদের ইচ্ছা ছিলনা নমিনেশন দেবার । লোকাল রাজনীতিবিদরা পুরো বিরুদ্ধচারন করেছিল । কিন্তু বেটা কি করে জানি শাহ আবজেলের মেয়ের জয়িতা বাহাদুরুর কাছে যেতে পেরেছিল ।
মেয়েকে শাহ আবজেল বলেছিল তোমাকে আমি ২০ কোটি কাশেম নিয়ে দিচ্ছি এরে নমিনেশন দিওনা ।
মেয়ে রাজী না ।
একটা মাত্র মেয়ে আবদার করেছে কি আর করা । ভোট তো আর আগের সিসটেমে বা পৃথিবীর কোন সিসটেমে নেই । একবার নামটা লেখাতে পারলে টাকার লেনদেন ক্লিয়ার হলেই এমপি । তাহাজ্জুদে লোক দেখানো ভোট শুরু বিকেল তিনটায় শেষ । ৯৫% ভোটার উপস্থিতি । মৃত দাদা, নানা সবার ভোট গৃহিত হয়েছে । মৃত দাদা নানাদের ভোট কে দিল কেউ জানেনা । অনেকে মকারী দোয়া পড়ছে মৃত আত্মীয়রা ভোট দিতে এসে যেন তাদের বেচে থাকা আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করে যান ।

আর, এক সিন্নি হল মাজারের সিন্নি । মাজারে সিন্নির টাকা মেরে দিয়েছে ড্যাবের এক কর্নেল । ড্যাব হল হানুলুলুর এলিট ফোর্স । কর্নেলের সাথে আরও কিছু সৈন্য ছিল । ওদিকে দেশের সাবেক প্লেবয় প্রেসিডেন্ট মারা গেছে । শাহ আবজেল মোহাম্মদ বলেছিলেন ৯ তারিখে মৃত ঘোষনা করতে । তিনি ফিরে আসবার পর । যিনি টেলিফোন রিসিভ করেছিলেন তিনি শোনেন ৬ তারিখ এবং ৬ তারিখে মৃত ঘোষনা করা হয় । এই নয় ছয় নিয়েই প্রেসিডেন্ট শাহ আবজেল মোহাম্মদ বেশ চ্যাতা ।

এই উল্টাপাল্টার মাঝে স্মীতা কুন্ডু নামের এক নারী আম্রিকান প্রেসিডেন্ট জয়নাল ট্রাম্পের কাছে হানুলুলুতে চার কোটি মাইনোরিটি, নির্য়াতিত, গুম, ও ভিটেমাটি ছাড়ার কথা বলেছেন ।
আবজেল মোহাম্মদ চুরুট খাচ্ছেন । সাথে ব্রাজিলের কফি । ক্যাস্ত্রো, চের মত ভাবটা আসছে না । না আসুক ম্যারাডোনার মত হলেও খতি নেই । পচিশ বছর বয়সী পিএস মিস ওতেলিয়া ওহেরা কে ডাকলেন । তার চুরুট কফি খাওয়া কেমন লাগছে সেটা জানার জন্য ? মিস ওহেরা বললেন জয় শ্রীরাম দেশের নায়ক উওম কুমারের মত ।
গভীর ভাবে মিস ওহেরার দিকে তাকিয়ে হাত দিয়ে ইশারা করলেন চলে যেতে ।
মিস ওহেরা ভাবলেন তিনি কি ভুল বললেন । চাকুরী কি আছে না নাই ? আর একটু চিন্তা করে তো বলা যেত । কিন্তু হারামজাদা তো চিন্তা করতে দেয়না । সব কিছুতেই চিন্তার সময় দেবেনা । হারামজাদা বলার পর ইতি উতি তাকাল মিস ওহেরা মনে মনে বলেছে তবু ভয় যদি কেউ শোনে ।

মিস ওহেরা চলে যাবার পর শাহ আবজেল মোহাম্মদ ভাবছেন উওম কুমারের বিষয়টা মাথায় এলনা কেন ?

আবার চোখ পড়ল কাগজের লেখা গুলোর উপরে
লুটিং শেরাইন একস ড্যাব অফিসিয়াল হেল্ড
সিন্নি কনফেসেস
লোকজন শেরাইন আর সিন্নিকে এক করেছে ।
ওয়ান্স এ প্রেসিডেন্ট অলওয়েজ প্রিসিডেন্ট, ফরমার প্রেসিডেন্ট পাসেস এওয়ে ।


শাহ আবজেল মোহাম্মদ মনে মনে নিজেকে বলছেন এত ভাবনা চিন্তার কিছু নাই ঘটনা ঘটবেই ।
ওয়ালাতো মায়ালাতু চেয়ার । মোয়ালা আপদু সা জাহান্নাম ।
চেয়ার ঠিক সব ঠিক । বাকী দুনিয়া জাহান্মামে যাক ।

হানুলুলু পোষ্ট থেকে ভাষান্তরীত ।
একটি কাল্পনিক রম্য । জীবিত মৃত কারও সাথে মিল নেই ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৯
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×