দেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকার একেবারে মধ্যখানে - কাওরান বাজারের মত জায়গায় - এতগুলো মিডিয়ার নাকের ডগায় - দিনে দুপুরে তিতাস গ্যাসে চলছে হরিলুটের কান্ডকীর্তি। এর কর্ণধার হচ্ছে তথাকথিত সি বি এ নেতারা। এখানে সি বি এ হতে লাগেনা কোন নির্বাচন, করতে হয়না সাধারন কর্মচারীদের চাওয়া পাওয়ার কোন তোয়াক্কা। সরকার বদলের সাথে সাথে রাতারাতি সি বি এ অফিসে ক্ষমতা পেয়ে যায় নতুন সরকারের মদদপুষ্ট কিছু মূর্খ বেহায়ারা। যারা অতি দ্রুত দুর্নীতির নেটওয়ার্ক বিস্তার শুরু করে দেয় - আর চলে টাকা কামানোর হিড়িক। এদের দাপটে সাধারন কর্মচারীরা থাকে তটস্থ। প্রশাসন এদের পেশীশক্তি, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের দাপট, শারীরিক নির্যাতনের ভয়, নিজ পদ হারাবার ভয় ইত্যাদির কারনে এদের কথামত চলছে - পরোক্ষভাবে এদের ছত্রছায়ায় দুর্নীতি ও হরিলুটে অংশ নিচ্ছে।
এই যদি হয় প্রধানমন্ত্রীর অফিসের এক কিলমিটারের মধ্যকার চিত্র, যেখানে সাধারন মানুষ গ্যাসের সংকটে অতিস্ট - সেখানে এখনও কিভাবে প্রচণ্ড দাপটে অনিয়ম আর সি বি এ নেতাদের অত্যাচার চলে? এতগুলো মিডিয়ার মাঝখানে বসে এটা কিভাবে সম্ভব? সরকারের লক্ষ যদি এসব ফালতু লোককে মোটাতাজাকরন না হয়ে থাকে, দেশের জনগনের সম্পদের সঠিক ব্যাবহার, সুন্দর সেবা ও হয়রানি রোধ করার লক্ষে এসব বেহায়াপনা আজই-এক্ষুনি বন্ধ করতে হবে।
মিডিয়ার ভাইয়েরা, সরকারি বিভিন্ন প্রশাসনের ভাইয়েরা - আপনারা যদি চুলা জ্বালিয়ে ভাত খেতে চান তো এদিকে একটু তাকান। সমস্যাগুলোকে তুলে ধরুন। ফালতু কিছু লোকের জন্য জাতীয় সম্পদ বলি হতে পারে না। সরকারও আসলে এদেরকে মদদ দিলে ভোট কম পাবে। সরকার দলীয় যেসব নেতারা এসব হরিলুটের টাকার অংশ পায় তারা অবশ্য এসব সিবিএ নেতার পক্ষ নেবে - সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




