১. বাংলাদেশে যদি নামের রাজনীতির সূচনা কেউ করে থাকে সেটা হল আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই তেনারা ঢাকার ১ নং জাতীয় স্টেডিয়াম, পিজি হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর, যমুনা সেতু সহ অনেক পুরাতন বা আগের সরকারের চলমান স্থাপনাতে বঙ্গবন্ধু তথা নিজেদের পছন্দের নাম বসিয়ে দেয়...
২. শুরুতেই বলেছি এই নামের রাজনীতির সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ, কিন্তু আসলে কেউ এটার কাউন্টার এখনও করেনি। কারণ, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেও যমুনা সেতু, পিজি হাসপাতাল, স্টেডিয়ামের পুরোনো নামে ফেরত যায়নি। এমনকি কাগুজে নোটেও বিএনপি তাদের নেতার নাম ছাপায়নি...
৩. উপরন্তু, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি’র অন্যতম বড় সাইনবোর্ড জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নামও পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ। অপ্রাসঙ্গিক ভাবে লিখতে হচ্ছে, খালেদা জিয়ার আবেগের ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকেও বের করে দেয় আওয়ামী লীগ...
৪. ব্লগে জাতীয়তাবাদি সমর্থক হলেও পদ্মা সেতুর নামকরণ শেখ হাসিনার নামে হওয়াতে আমার আপত্তি নেই বলে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম কয়েক বছর আগে। আমি এখনও আগের স্ট্যান্ডেই আছি। কারণ, এই সেতুর নামকরণ, আসলেই শেখ হাসিনার নাম ডিজার্ভ করে। কিন্তু যখনই এটা নিয়ে কথা উঠে, ওবায়দুল কাদের সাহেব এটা উড়িয়ে দেন। বেশ কয়েকবার এ নিয়ে ’সাংঘাতিক’রা প্রশ্ন করলে উনি দায়িত্ব নিয়েই বলেন, সে রকম কোন চিন্তা ভাবনা নেই...
৫. আমার ভাবনা অন্য খানে। যিনি পুরোনো স্থাপনাগুলোতে অবলীলায় নিজের পিতার বা অন্য সদস্যদের নাম বসিয়ে দিয়েছেন (সেদিন দেখলাম টেনিস কমপ্লেক্স-এর নামের আগে শেখ জামাল বসানো), তিনি নিজের ক্ষমতায় থাকাকালে কেন পদ্মা সেতুর নাম দিতে এত পিছপা হচ্ছেন? তিনি কি ভাবছেন, তেনার ক্ষমতার পরিবর্তন হলে এই নাম বদলে যাবে? এই ভাবনাটা আসছে কেন? উনি জীবিত থাকতে উনাকে কেউ সরাতে পারবে বলে তো মনে হয় না...
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩