১. ঘটনা টা কয়েক মাস আগের। নুহাশ হুমায়ুন কে এক সাক্ষাৎকারে সঞ্চালক জিজ্ঞেস করেন, হুমায়ুন আহমেদের পুত্র না হলে আপনি কী এই জায়গায় আসতে পারতেন? খুবই নিরীহ একটা প্রশ্ন। তাৎক্ষণিক ভাবে লাইভে তিনি বলেন, সবাই তাকে তার কাজ দিয়েই চিনে। তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের কালচারাল একটা জিনিস, আমরা আমাদের আর্টিস্টদের কাজের থেকে তাদের পার্সোনাল লাইফ নিয়ে ইন্টারেস্টেড বেশি...
২. এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু এরপর তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ ব্যপারে কিছু কথা লিখেন। যা অনলাইন পত্রিকাতে এসেছে এভাবে, ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশে রিপোর্টিং যদি আরেকটু সম্মানজনক হতো! একটু আগে আমি লাইভ ইন্টারভিউতে ছিলাম; ভেবেছিলাম ‘ষ’ নিয়ে কথা হবে। সেখানে আমাকে প্রশ্ন করা হলো, যদি আমার বাবা (হুমায়ূন আহমেদ) না হতেন, তাহলে আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম কী না? আমি জানি না আন্তর্জাতিক একজন প্রশংসিত নির্মাতাকে আপনারা এমন প্রশ্ন করেন কীভাবে? আপনাদের কি মনে হয়, সানড্যান্স, বুসান, এএক্সএসডাব্লিউ, মার্শে দ্যু ফিল্ম- বাপের নাম দেখে তারা ইনভাইট করে?’...
৩. কয়েকদিন আগে নুহাশ হুমায়ুন চরকি এ্যাওয়ার্ড পান সেখানে তিনি প্রতিক্রিয়ায় যা বলেছেন প্রথম আলো'র রিপোর্ট অনুযায়ী এরকম - বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই আমার মাকে, তিনি ১৩ বছর বয়সে আমাকে ক্যামেরা কিনে দেন। তখন থেকে আমি শর্টফিল্ম বানানো শুরু করি। আজ আমার সামনে মা উপস্থিত আছেন, এটা আমার জন্য বিশেষ একটা ব্যাপার।’...
৪. বিষয়টা খেয়াল করেছেন? নুহাশ সচেতন ভাবে তার পিতা হুমায়ুন আহমেদ কে তার জীবন থেকে মুছে ফেলতে চাইছে। হতে পারে, তার মা-কে কষ্ট দিয়ে হুমায়ুন আহমেদ দ্বিতীয় বিয়ে করাতে তার খারাপ লেগেছে। নুহাশ যখন ছোট ছিল, পিতার সাথে দেখা করার জন্য তাকে দারোয়ানের অনুমতি নিতে হত বলে তার খারাপ লাগত। এসব কারণে, তার পিতার প্রতি রাগ থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু এটা তো কমন সেন্স যে, হুমায়ুন আহমেদ সাহিত্য, নাটক, চলচ্চিত্রের মানুষ বলেই তার(নুহাশ) এ লাইনে আসার আগ্রহ তৈরি হয়। হুমায়ুন আহমেদের ছেলে না হলে, তাকে মিডিয়াতে কেউ সুযোগ দিত? নতুন কয়জন পরিচালককে কেউ সুযোগ দেয়? নাটক/সিনেমা-তে সিন্ডিকেটের কথা সবাই জানে...
৫. নুহাশ চাক বা না চাক, আমরা তাকে হুমায়ুন আহমেদের সন্তান হিসেবেই জানব। কারণ, হুমায়ুন আহমেদ বলে গিয়েছেন, পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই...
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৮