১. যতই বলা হোক, খেলাকে উপভোগ করা উচিত। জয় পরাজয় থাকবেই। বাড়াবাড়ির কিছু নেই। কিন্তু বিশ্বকাপ ফুটবল আসলেই এই কথাটা আর মনে থাকে না অনেকের(আমার নিজেরও)। ৪ বছর পর পর কী পরিমাণ উত্তেজনা দিয়ে যায় তা যারা খেলা দেখে তারাই জানে। তবে এবার সব কিছুর অবসান হয়ে গেল। আর্জেন্টিনার সাপোর্টার বিশেষ করে মেসির জন্য দুর্বলতা থাকার কারণে ৩২ বছরের অবসাদ থেকে মুক্তি মিলল...
২. আমার ঘোর এখনো কাটছে না। আমি এখনো আর্জেন্টিনার গোল দেখছি, টাইব্রেকার দেখছি, ফাইনাল জেতার সময় কার কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল সেগুলো দেখছি। বারবার দেখছি। বিরক্তি আসছে না। এই একটা কাপের জন্য সেই ১৯৯০ সাল থেকে অপেক্ষায় ছিলাম। একটা সময় মেনেও নিয়েছিলাম এই জীবনে আর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ হয়তো দেখা হবে না...
৩. কিন্তু রুপকথাকেও হার মানিয়ে মেসি ঠিকই সিনেমার হিরো দের মত শেষ দৃশ্যে বিশ্বকাপ জিতল। আমার অপেক্ষাও ফুরালো। সেই সাথে ফুরালো আর্জেন্টিনার ফুটবল নিয়ে সিরিয়াসলি মনস্তাত্বিক ভাবে যুক্ত থাকা। আগামী ৩৬ বছর না জিতলেও আর কোন আফসোস নেই...
৪. এর মধ্যে ছোট ভাই কানাডার জন্য এপ্লাই করে রিজেক্ট হয়েছে। তার মন খারাপ। আমি সান্ত্বনা দেয়ার জন্য তাকে মার্টিনেজের শেষ মিনিটের (আসলে সেকেন্ডের হিসাব হবে) সেভ এর ছবি পাঠালাম। বোঝালাম, এই একটা সেভ কোটি কোটি ফ্রান্সবাসী, তাদের সমর্থক, বিশেষ করে মাঠের ১১ জনের স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে। তোমার ভিসা রিজেকশানের চেয়েও এটা বেশী কষ্টদায়ক...
৫. একই সাথে যারা বার বার ব্যর্থ হয় তাদের জন্যও এটা অনুপ্রেরণা দায়ক দৃষ্টান্ত যে একজন লোক (মেসি) বার বার পরাজয়ের পরও ভেঙে না গিয়ে তার চূড়ান্ত গন্তব্যে একদিন ঠিকই পৌঁছাতে পারে...
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩২