কোনো ধর্মকথা শুনতে শুনতে আমি বড় হইনি।
বরং ধর্মের রূপকথা শোনার আগেই আমি পড়েছি শার্লক হোমস, সত্যজিৎ;
ঘুরে বেড়িয়েছি কপোতাক্ষী'র পাড় ধরে, বনে-বাদাড়ে, মাঠে।
আমি অনেক ভাগ্যবান, আমার শৈশব কেটেছে মফস্বলে; টেংরিবাজি করে বেড়িয়েছি ইচ্ছামতো। পিতামাতা কে ধন্যবাদ তারা আমাকে আমার মতো করে বেড়ে ওঠায় কখনো বাধা দেননি আবার উৎসাহ'ও দেননি।
এরপর বাবা'র বদলী হলো মাইজদি তে।
তখন ক্লাস নাইন এ পড়ি।
হাতে এল আরজ আলী মাতুব্বর এর বই।
আমি এখনো মনে করতে পারি সেই দিন......
আমি বলব না ঐ বই এর সব কিছু তখন আমি বুঝেছি।
কিন্তু আমার সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেলো।
পরিচয় হলো তুহিন' দার সাথে.......
আমার সংশয়ী হবার প্রথম পাঠ শেষ হলো।
এরপর ভর্তি হলাম যশোর ক্যান্ট কলেজ এ। পরিচয় হলো মামুনের সাথে। একটু অন্যরকম ছেলে কিন্তু পড়ার বাতিক আছে। ওই সন্ধান দিল প্রবীর ঘোষ এর। ১৯৯৬ সাল। উদ্দাম সময়। গান শুনি, হাতের কাছে যা পাই পড়ার চেষ্টা করি; এর মধ্যে দেখলাম মুক্তির গান, চাকা।
যেন অন্যজগতের হাতছানি। সে এক পরিবর্তিত সময়।
সমাজতন্ত্র সম্পর্কে একটু জানাশুনা।
পৃথিবীর ইতিহাস যতই জানতে লাগলাম ততই বিভ্রান্ত হলাম।
আমি পুরোপুরি সংশয়ী হয়ে গেলাম।
বুক ঠেলে শুধু প্রশ্ন আসে; যৌক্তিক উত্তর কেও দেয় না; শুধু লাল দালান দেখানোর মতো "বিশ্বাস" আকড়ে ধরার কথা শুনতে হ্য়।
বিশ্বাস আকড়ে এখনো পথ চলছি তবে তা যুক্তির, মানবতার।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৫৫