সাংবাদিক প্রবীর সিকদার এখন জামিনে মুক্ত৷ তবে আরেক সাংবাদিক ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ এখনো কারাগারে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই দুটি খবরের প্রতিক্রিয়া অবশ্য বেশ সামঞ্চস্যহীন৷
প্রবীর সিকদারের মুক্তিতে অনেকেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন৷
তবে প্রবীর সিকদার জামিনে মুক্তি পেলেও সাংবাদিক নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শওকত মাহমুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ৷ মঙ্গলবার পান্থপথ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁকে গ্রেপ্তার করে৷ শওকত মাহমুদ ঢাকা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)-র একাংশের সভাপতি এবং বিএনপির কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক৷ তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং উপজেলায় কাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করে স্থানীয় বিএনপি৷ তবে সামাজিক ফেসবুক, টুইটারে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়নি৷
এদিকে ব্লগার হত্যার জন্য নিন্দা এবং বিচারের দাবি এখনো বিশ্বজুড়েই চলছে৷ সম্প্রতি ভয়েস অফ অ্যামেরিকা এক প্রতিবেদনে লিখেছে, একের পর এক ব্লগার হত্যার ঘটনা থেকেই বোঝা যায় বাংলাদেশে মত প্রকাশ করতে যাওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি৷
ডি ডাব্লিউর রিপোর্টটা অসঙ্গতিটুকু অনন্তত তুলে ধরেছে।
আমাদের মেইন স্ট্রীম মিডিয়া! হা হতোম্যি! সাগর রুনি নিয়ে যেমন অদ্ভুত নিরবতায় রয়েছে তারা তেমনি এক সাংবাদিকের জন্য ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখালেও অন্য ক্ষেত্রে নিরব! এই বিভাজনের পথ ধরেইতো ধ্বংস আসে। কাকের মাংস নাকি কাকে খায় না। কিন্তু সাংবাদিকরা কি নিজের জাত ভাইয়ের জন্যও দল মতের উর্ধে উঠতে পারে না।!!!???
আবার পালাবদলে তখন কি রিভার্সই হতে থাকবে? এটাকি সুস্থ মানুষ, মানবতা নাকি সাংবাদিকতার কোন এথিক্সে পড়ে???
কে জানে??
মূল লেখাটি সংকলন করেছেন -আশীষ চক্রবর্ত্তী সম্পাদনায় -দেবারতি গুহ
প্রবীর সিকদার মুক্ত হলেও শওকত মাহমুদ রিমান্ডে
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৯