somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিশিষ্ট পাকিস্তানী সাংবাদিকের সমর্থন !!!

১২ ই আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আমরা একধাপ এগিয়েছি তা আজ বলতেই হবে। কারন যে দেশের সাথে আমাদের এই সংগ্রাম হয়েছিল, যে দেশ নানাভাবে অত্যাচারের স্টিমরুল চালাচ্ছিল, আজ সে দেশের দুই বরেন্য সাংবাদিক ১৯৭১ সালে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের জন্য বাংলাদেশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন,খুব দেরীতে হলেও তাদের বিভেক আজ সারা দিয়েছে ন্যায় ও মানবতায়। ইতিহাস ও আগামী প্রজন্মের স্বার্থে এ প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হওয়া জরুরী।
পাকিস্তানের সাংবাদিক হামিদ বলেছেন,১৯৭১ সালে নিরাপরাধ নাগরিক হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যে কোনো উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই এবং যে কোনো সচেতন ব্যক্তির আইন অনুযায়ী এসব অপরাধীর বিচারে পূর্ন সমর্থন দেওয়া উচিত।পাকিস্তানের জঙ্গিবাদের ওপর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার খ্যাত সাংবাদিক হামিদ মীর ইসলামাবাদ থেকে টেলিফোন আলাপে বলেন, পাকিস্তানের যেসব কর্মকর্তা মানবাদিকার লঙ্ঘন ও গনহত্যার জন্য দায়ী তা সে ১৯৭১,১৯৭৫,১৯৯৯ কিংবা ২০১০ সালে করে থাকুক না কেন এবং যেখানে হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে যে কোনো শাস্তির প্রক্রিয়াকেও আমি সমর্থন করি।তিনি বলেন যুদ্ধাপরাধীরা আমাদের ও শত্রু। তারা ঢাকায় ও অন্যান্য শহরে বাঙ্গালীদের হত্যা করেছে। অথচ সে জায়গার সাধারণ জানত না যে পূর্ব পাকিস্তানে কি ঘটছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের হত্যাকান্ডের আংশিক প্রত্যক্ষদর্শী পাকিস্তানের অপর মানবাধিকার নেত্রী বেগম নাসিম আক্তার মালিক টেলিফোনে বলেন, ১৯৭১ সালের বিচার হতেই হবে। তিনি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হলে আগামী প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে না, এমনকি ইতিহাস থেকে কিছু শিখতেও পারবে না আর তা না হালে ইতিহাসকে মানুষ শ্রদ্ধা করতে ভুলে যাবে এবং পরবর্তী কোন নৃস্বংতা ও অপরাধরোধ ঠেকানো যাবেনা এবং আইন ও আদালতের প্রতি মানুষের কোন আস্থা থাকবে না। তখনই মানুষ অপরাধে সহসাই জড়িয়ে পড়বে। লন্ডনে নাসিম মালিক বর্তমানে পুত্রদের সাথে বসবাস করছেন। যুদ্ধপরাধীরা যাতে
১৯৭১ সালের মতো ধর্মের নামে বিচার প্রক্রিয়া থেকে বেয়িয়ে আসার কোন সুযোগ না পায়, সে জন্য তিনি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে জনমত তৈরী করতে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির পরামর্শ দেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৩১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×