somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার শহরে

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বোতলের জোনাকগুলো থাকে ঘুমিয়ে
মার্বেলগুলো জড়ো করে রাখা এক কোণায়
আমার শৈশব
মায়ের আচল থেকে টাকা চুরি করে
আজ বন্দী হয়ে আছে চিলেকোঠায়
খারাপ ছাত্র ছিলাম বরাবর তবু
মায়ের স্বপ্নগুলো ছিল বড্ড বেশ
আমার গল্পটা সূচনাতেই শুরু
গল্পটা উপসংহারে আজ হবে না শেষ
পনের বছর বয়সে প্রথম সিগারেট
লুকিয়ে রাখা ছিল খাটের তলায়
ধরা পরে বলেছিলাম এগুলো অন্য কার
নিষ্কৃতি পেয়েছি কানমলায়
বিকেলের রাস্তায় বাউন্ডুলের দল
জানলার কাঁচ ভাঙ্গে ক্রিকেটের বল
আজও দেখলে চিৎকার দোতলার জানালায়
আমাদের শহরে
আমাদের সাথে, ঘাসফুলগুলো বেড়ে ওঠে
আজ বড্ড নিশ্চিন্তে অবলীলায়
তারপর একদিন বড় হয়ে গেলাম
স্টেশন চত্বর পর্যন্ত সাথে এল মা
হাতে ছিল সুটকেস এক
চুলে ছিল বিকেলের হাওয়া
মায়ের সবকিছুতেই বাড়াবাড়ি
আমি যে আর নেই ছোট
মায়ের নিরাপত্তা নিয়ে কত আহাজারি
আমি চুপচাপ বড্ড বিব্রত
শেষবার এলাম যেদিন
একটি ছায়াই সাথে সাথে এলো
হাতে ছিল সুটকেস এক
চুলে বিকেলের ধুলো
বিদায় দেবার নেই কেউ, আছড়ে পড়ছে সময়ের ঢেউ
বড্ড বলতে ইচ্ছে করে
“মা আমি যে এখনও অনেক ছোট”
ঝাপসা হয়ে আসে সব, নিশ্চুপ হয় কলরব
ট্রেন ছেড়ে যায় স্টেশন চত্বর
আমাদের শহরে জোনাকগুলো হারিয়ে গেছে
শিশুগুলো আজ ঘুমিয়ে আছে
দূরে চুপচাপ পড়ে থাকে মৃত ঘাসফুলের শহর

“Memories of childhood were the dreams that stayed with you after you woke.”-Julian Barnes

[আপাতত অন্যের গল্পগুলোই বলি, কোন একদিন হয়ত নিজের গল্পটা বলতে পারব]
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×