somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংবাদপত্রের যা পাওনা ছিল আওয়ামী সাংসদদের কাছে

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলা (মেজরিটি আওয়ামী সংবাদপত্র) অবশেষে তাদের প্রাপ্র পাওনা বুঝে পেল আওয়ামী এবং তাদের মহাজোটের অন্যান্য সহযোগী সাংসদের কাছ থেকে। আতীয় সংসদে এদিন সাংসদরা তীব্র এবং আক্রমণাত্তক ভাষায় সংবাদপত্র গুলার সমালোচনা করে বলে যে বাংগ্লাদেশের সংবাদপত্র গুলা জাতীয় সংসদের অবমাননা করছে সাংসদদের সম্মন্ধে নানা রিপোটিংয়ের মাধ্যমে। মাননীয় সংসদ সদস্যরা অবশেষে তাদের ঋণ মিটিয়ে দিল। সংবাদপত্র গুলার বেশ কিছুদিন ধরেই এইটা প্রাপ্র ছিল। কেন?

জুনের প্রথম সপ্তাহে খুব সম্ভবত ২ তারিখে সরকার পুরাপুরি গায়ের জোরে ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে এবং পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়। এরপর তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে জেলে আটকে রাখে যেইসব মামলার বেশীর ভাগই ছিল খুবই হাস্যকর এবং ঠুঙ্কো। যাইহোক সেই সময়ই অনেকেই সাধীন সংবাদপত্রের উপরে বাকশালী অভিজ্ঞতা সম্পন্য আওয়ামী সরকারের অশনী সংকেত দেখতে পেয়েছিল। কিন্তু তখন কোন এক বিচিত্র কারনে বাংলাদেশের অধিকাংশ পত্রিকাই কেমন একটা উন্নাসিকতা ভাব প্রকাশ করেছিল। ঠিক যেভাবে এই মারাত্তক ঘটনার প্রতিবাদ করা উচিত ছিল তা তারা করেনি। বরং কিছু কিছু পত্রিকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংবাদ এমন ভাবে প্রকাশ করেছিল যে তা প্রচ্ছন্ন ভাবে সরকেরকেই সাহায্য করেছিল। দায়সারা ভাবে পত্রিকাগুলার সম্পাদকরা একটা প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছিল বটে কিন্তু সংবাদপত্রের মধ্য থেকে যে রকম একটা শক্ত ভুমিকা উচিত ছিল সেই রকমটা কিছুই হয়নি। কোন কোন সম্পাদকতো প্রতিবাদলিপি তে সাক্ষর করতে পযন্ত চায়নি। কালের কন্ঠের আবেদ খান তার অন্যতম। এর হয়ত কারন ছিল। কারন বাংলাদশের বেশীরভাগ পত্রিকাই প্রচ্ছন্নভাবে বা অ-প্রচ্ছন্নভাবে (খোলাখুলিভাবে) আওয়ামী লীগকেই সাপোট করে। কিন্তু বিজ্ঞ সম্পাদকেরা তখন কেউ বোঝেনি যে প্রলয় যখন আসে তখন তা কোন বাছ বিচার করেনা। ভেঙে চুরমার করে দেয় সবকিছু। হিরক রাজার দেশের মাষ্টার মশায়ের ভাষায় ‘ রাস্টীয় ক্রোধ যে কতটা ভংকর হতে পারে এবং তা কখন যে কার উপরে এসে পরবে তা কিছুই বলা যায়না” আমাদের দেশের অবস্থা আস্তে আস্তে সেইদিকেই যাচ্ছে। কি ভংকর কথা। সত্যকথা লিখলেও নাকি সাংসদ্দের আবমাননা করা হচ্ছে। তা এরকম ঘটনা আপনারা কেন করছেন। সাংবাদিকদের কলম বন্ধ না করে আপনাদের অকাম কুকাম টাই বন্ধ করেনা না। সাংবাদিকদের কলম তখন এমনি এম্নিই বন্ধ হয়ে যাবে। জাতীয় সংসদে সাংসদরা কিন্তু কেও বলেনি যে পত্রিকায় যা লেখা হয়েছে তা মিথ্যা। কিন্তু গোয়ারতুমি করে বলছে যে, এমন কোন ঘটনা প্রকাশ করা যাবে না যাতে তাদের অবমাননা হয়। তারমানে সত্যি কথা বলা যাবে না?

সম্প্রতি আলোচিত মাহমুদুর রহমানের আদালত আবমাননা মামলাতেও তাই হয়েছে। বিচারক মাহমুদুর রহমানকে সাজা দিয়েছেন কিন্তু একবারের জন্যও বলেননি যে সেই খবরটি মিথ্যা ছিল। বরং সত্য কথা লিখার পরেও তাকে সাজা দিয়েছিলেন। ভাল কথা। আদালত অবমাননা হয়েছে। কিন্তু সেই সত্যি ঘটনায় যারা অপরাধী ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিয়েছিলেন কি? নেন নি। কেন? তাহলে কি সত্যি কথা বলা যাবে না আর বাংলাদেশে? সাংসদরা তো এখন কত সংসধনীই করছেন। ৫ম সংবিধান সংসধনি, ৭ম সংবিধান সংসধনি। আপনারা আরেকটু কস্ট করে ছোটদের পাঠ্য বইয়েও আরেকটা সংসধনি করেন না যাতে লেখা থাকবে ‘সদা মিথ্যা কথা বলিবে’। নাহলে তো ওরা বড় হয়ে পদে পদে বিপদে পড়বে।

যাইহোক সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে সাংসদ্দের সাম্প্রতিক বিষেদাগার আসলেই আমাদের জন্য একটা ভংকর অশণি সঙ্কেত। কোথায় যাচ্ছে দেশটা। আমাদের সবাইকে দল মত ভেদাভেদ ভুলে যার যার অবস্থান থেকে সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। আগে দেশটাকে তো বাচাতে হবে। যদি দেশই না থাকে তো কিসের আওয়ামী লীগ কিসের বিএনপি। আর সংবাদপত্র গুলার প্রতি বিশেষ আবেদন- আপনারা দেশের কথা লিখুন দলের নয়। শূভ দিন আসবেই ইনশাল্লাহ।
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×