কোপেনহেগেন সমঝোতা কি জলবায়ু সমস্যার সমাধান দিতে পারবে?
বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ইতোমধ্যেই প্রাক-শিল্পায়নের সময়কাল থেকে ০.৭ ডিগ্রী সে. বেড়ে গেছে।
ইতোমধ্যে পৃথিবীর কোন কোন অংশে এর প্রভাব পড়তে শুরু করে দিয়েছে। এবং কোপেনহেগেনে কোন একটা সমঝোতা তা থামাতে পারত না, যদিও অর্থ সরবরাহ করে কিছু পরিণতির সাথে আপোষ-রফা করতে পারত।
গ্রীন হাউস গ্যাস, যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড, দশকের পর দশক ধরে বায়ুমন্ডলে থেকে যায়। আর এর ঘনমাত্রা ইতোমধ্যেই যথেষ্ট বেড়ে গেছে। ফলে অধিকতর উষ্ণয়ন অবশ্যম্ভাবী।
অনেক বিশ্লেষণে নিশ্চিত করে বলা হয়েছে যে, প্রাক-শিল্পায়নকাল থেকে এ পর্যন্ত বৈশ্বিক তাপমাত্রা গড়ে ১.৫ ডিগ্রী সে. বৃদ্ধি পেয়েছে।
কোপেনহেগেনে একটা শক্তিশালী সমঝোতা তাপমাত্রার বৃদ্ধি হয়ত ২ ডিগ্রী সে. এর নিচে রাখতে পারবে। কিন্তু তাপমাত্রার এই বৃদ্ধিতে বায়ুমন্ডল ও সমূদ্রগুলো কিরূপ আচরণ করবে তার নিশ্চয়তা দেয়া যায় না।
এ কারণেই উন্নয়নশীল দেশগুলো অভিযোজনের উপর এত গুরুত্ব আরোপ করছে। ইতোমধ্যেই তাদের যুক্তিগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আইপিসিসিসি পরামর্শ দিয়ে বলেছে, ২ ডিগ্রী সে. তাপমাত্রা বৃদ্ধি এড়ানোর সম্ভাবনা থাকবে যদি বর্তমান মাত্রাকে সর্বোচ্চ ধরে নেয়া হয় এবং এখন থেকে ১৫-২০ বছরের মধ্যে তাকে নিম্নমূখী করা হয়।
সম্প্রতি শিল্পোন্ত দেশগুলো গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমণ হ্রাসের ব্যাপারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা সামগ্রীকভাবে বর্ধনশীল বৈশ্বিক নির্গমণ থামাতে যথেষ্ট নয়।
কোপেনহেগেনে যাই ঘটুক, নতুন চুক্তির ধারাসমূহ চূড়ান্ত করতে নিশ্চিতভাবেই আরও আলোচনার প্রয়োজন হবে।
ভবিষ্যতে এটুকু বলা যায়, চুক্তিটি নিরাপদ করতে কিছু বিষয়ে নিশ্চিতভাবেই সরকারগুলো কোপেনহেগেন সম্মেলনের পর থেকেই সক্রিয় হবে
জলবায়ু সম্মেলন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কী রেখে যাচ্ছে তা স্পষ্ট করেনি:
জাতিসংঘের আন্ডারসেক্রেটারি জেনারেল পদে নিয়োগ পাওয়া আমিরাহ হক বলেছেন, কোপেনহেগেনের জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের সরকার, পরিবেশকর্মী, এনজিওকর্মী—সবাই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। উন্নত নীতিমালার জন্য দরকষাকষি করেছেন। তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য যে এ সম্মেলন ভবিষ্যত্ প্রজন্মের জন্য কী রেখে যাচ্ছে, তা স্পষ্ট করতে পারেনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





