somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন ওদের পাশে দাঁড়াই

২১ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সারা বিশ্বব্যাপি মিছিল, মিটিং, স্লোগান সবই হয়েছে। কোপেন হেগেন সম্মেলন কিছুই দিতে পারেনি। ধনী দেশগুলো কীভাবে বুঝবে জলবায়ু বিপর্যয়ের কথা ? জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে, পাল্টে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রকৃতির রুপ। তাইতো এই জানুয়ারি মাসেই লক্ষ্যনীয় ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে চারিদিক। হীম-শীতল হাওয়ায় যেন কাঁপতে থাকে সবকিছু।

গগনচুম্বী অট্টালিকায় যারা বাস করে তারা হয়তো কখনোই বুঝবেনা জলবায়ু পরিরর্বনের প্রভাব, শীত কিংবা গ্রীষ্মের কষ্ট। তা যদি অনুধাবন করতে হয়, তাহলে বেড়িয়ে পড়ুন ঢাকার রাজপথে। এয়ার কন্ডিশান গাড়ি হতে নেমে হাটুন ফুটপাতের ওপর দিয়ে। দেখবেন তীব্র শীতে গৃহহীন, আশ্রয়হীন ভাসমান শীতার্ত মানুষ কত কষ্টে আছে। কীভাবে কাটছে তাদের দিন? অসহায় এসব মানুষের দিকে তাকালে একটা কথাই মনের মধ্যে নাড়া দেয়, আমাদের মত এরাওতো মানুষ। সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকার তো এদেরও আছে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ তারা আজ গৃহহীন, ফুটপাতের বাসিন্দা। কিন্তু গৃহহীন হওয়ার পেছনে দায়ী কারা ?

প্রতিদিন চলার পথে এমন হাজারও মানুষ চোখে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার পথে প্রতিদিনই দেখি, ফনিক্স রোডে; নগর ভবনের ঠিক সামনেই ওসমানি উদ্যান ও এর আস-পাশ দিয়ে আশ্রয় নেওয়া ভাসমান লোকগুলি কীভাবে এই শীতের মধ্যে দিন যাপন করছে ? ছোট ছোট শিশুগুলি কত কষ্টে আছে। অসহায় মায়ের ম্লান মুখের ছবিই বলে দেয় অনাহার, অর্ধাহারে খোলা আকাশের নীচে তারা কতটা সুখে আছে।

এ চিত্রটি আর কোথারও নয়, খোদ ঢাকা শহরের নগর ভবনের ঠিক সামনের চিত্র। গগনচুম্বী বিশাল অট্টালিকা এই নগর ভবন। নগরের ভাল-মন্দ দেখার দায়িত্ব যাদের উপর, সেই নীতি-নির্ধারকেরাই অবস্থান করেন এখানে। তাদের চোখের সামনেই কীভাবে জীবন কাটাচ্ছে এসব অসহায় মানুষ, তা দেখার সময় নেই তাদের। সেদিন কথা হচ্ছিল এমনই একজনের সাথে; চাঁদপুর থেকে এসেছে,। যায়গা জমি যা ছিল অনেক আগেই নদীতে তা গ্রাস করেছে। শেষ সম্বল বসত ভিটাও যখন রক্ষা হয়নি, তখন নিরুপায় হয়ে আশ্রয় নিয়েছে ঢাকায়।

শুধু কি ফনিক্স রোড, এরকম হাজারও মানুষের দেখা মেলে ঢাকার প্রায় প্রতিটি যায়গায়। কারওয়ান বাজারের কথাই ধরা যাক, খেটে খাওয়া শ্রমজিবী মানুষগুলি বিশেষ করে মুটে ও কুলিরা দেখেন কিভাবে ফুটপাতের উপর, বোঁঝা বহনের ঝাঁকা মাথার নিচে দিয়ে খোলা আকাশের নিচে শুয়ে আছে।
আমরা মুখে অনেকেই মানবাধিকারের কথা বলি, মৌলিক অধিকারের কথা বলি, কিন্তু এদের কথা কি আমরা একবারও ভেবে দেখি ? এদের জন্য সরকারের কি কিছুই করনীয় নেই।

জীবিকার তাগিদে, বেঁচে থাকার জন্য গ্রামের সহায় সম্বলহীন মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে রাজধানীতে। যাদের আশ্রয় হচ্ছে বস্তিতে নুতবা ফুটপাতে। একদিকে যেমন বাড়ছে গগনচুম্বী অট্টালিকা, অন্যদিকে তেমনি বাড়ছে ভাসমান মানুষ ও বস্তিবাসির সংখ্যাও। যার বিরুপ প্রভাব পড়ছে সমস্ত ঢাকা শহরের উপরেই।
কিন্তু কেন এই ব্যবধান ? দারিদ্র্যের সংখ্যা কেন এমন জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ? এর জন্য দায়ী কারা ? এ সকল দরিদ্র মানুষের সাহায্যের জন্য প্রতি বছরই বিভিন্ন উন্নত দেশ হতে সাহায্য-সহযোগীতা আসে, কিন্তু সেগুলি কোথায় যায় ? অসহায় দরিদ্র এসব মানুষের ভাগ্যের চাকা কেন ঘুরে না ? কেন তারা পায়না মাথা গোঁজার ঠাঁই ? একটু সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার কি তাদের নেই ? আসুন ওদের পাশে দাঁড়াই, ওদের কথা বলি ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×