somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামু ব্লগারদের বেস্ট ফেসবুক স্ট্যাটাস সংকলন - ১ম পর্ব

২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাতৃভাষার সর্ব বৃহৎ ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম সামহোয়্যার ইন এ আসার একটি বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর আজ মনের কোণে কখন যে তার জন্য একটা আবেগ জন্মেছে, একটা ভাল লাগার অনুভুতি কাজ করছে বুঝতে পারিনি, এক কথায় সামুর প্রেমে পড়ে গেছি। এ প্রেম সামুর একেকটি লেখায়, একেকটি কবিতায়, একেকটি গল্পে, একেকটি রম্যে, একেকটি কমেন্টের মায়ায়। কিন্তু আজ কেন জানি অনুভব করতে লাগলাম যে আমার সেই প্রেমময় জায়গাটি কেমন জানি ফাঁকা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।

একটা সময় যাদের পদচারনায় সামু মুখোরিত হয়ে উঠত, যাদের গল্প, কবিতায়, রম্যে সামুর প্রতিটি পাতায় পাতায় ঝড় বয়ে যেত, যাদের কমেন্টের বৃষ্টিতে সামুর প্রতিটি অলি গলি বন্যা বয়ে যেত, আজ যেন তারা কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে। আজ সেই বৃষ্টি, সেই ঝড় অন্য কোথাও স্থান করে নিয়েছে। আজ তারা বাসা বেধেঁছে সামু ছেড়ে ফেবুতে।

আমি যে স্থানটিকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতাম, স্বপ্ন গুলো প্রকাশ করতাম, সুখ দুখের অনুভুতি শেয়ার করতাম যাদের ঘিরে, তারাই যদি না থাকে তাহলে কেমন লাগে ? তাদের প্রস্থানের পেছনেও হয়ত কিছু আবেগ, অভিমান, রাগ মনের কোণে লুকায়িত থাকতেই পারে। সব অভিমান রাগ ঝেড়ে আসুন আমরা আমাদের প্রাণের জায়গাটিকে আবারো সবাই মিলে আনন্দ মুখর করে তুলি, পাতায় পাতায় আনন্দের জোয়ার বইয়ে দিই, তার অলি গলি কমেন্টের বৃষ্টিতে ভরিয়ে ডুবিয়ে দেই।

বেশ কিছুদিন থেকে লক্ষ্য করছি যে, বেশ কিছু হায়েনা তাদের নোংরা থাবায় আক্রান্ত করে তার ক্ষতি সাধনে আমাদের প্রিয় সামুর পেছনে লেঘেছে । আমরাই যদি তাদের কুৎসাতে পরাজিত হয়ে হার মেনে নেই তা কি করে হয়? আমরাই যদি আমাদের সর্ববৃহত মত প্রকাশের প্রিয় প্লাটফর্মটাকে রক্ষা না করি তাহলে কে করবে.???

আবারো বৃষ্টি হবে, হবে বন্যা, আর আমরা আমাদের স্বপ্নের নৌকা ভাসাব সেই বৃষ্টিতে, সেই বণ্যায়।

যারা আজ সামু ছেড়ে ফেবুতে ব্যাস্থ সময় কাটাচ্ছেন তাদের মধ্য থেকে ১২০ জন জনপ্রিয় ব্লগারের কিছু কথামালা দিয়ে পোস্টটা সাজানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমার দৃষ্টিতে তাদের সেরা স্টটাসটাই তুলে আনতে চেষ্টা করেছি। আসুন দেখি কে বলে, কি লেখে।

১ জানা
একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সকালে সবাইকে শান্তিপূর্ণ ও বৃষ্টিময় শুভেচ্ছা। আমাদের সবসময় মনে রাখা উচিত, পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অংগ।

২ জুল ভার্ন
মানুষের জীবনে পুর্ণতা এবং অপুর্ণতার কোন সীমারেখা নেই। প্রতিটি মানুষই বোধ হয় অপুর্ণতার জালে আচ্ছন্ন। হয়তবা অব্যক্ত কান্নার অস্ফুট চাপা কস্টে নিজেকে আচ্ছন্ন করে রাখে আরো বেশী নিবিড় ভাবে। কেউ তা প্রকাশ করে জনসম্মুখে, কেউ কেউ নিজের একাকীত্বের কঠিন আবর্তে নিজেকে লুকিয়ে রাখে অত্যন্ত নিপুণ ভাবে। শেষোক্ত দলেরই মানুষ আমি। আজ আমার বাবা হারানোর দিন! বাবা বেঁচে থাকতে বুঝিনি-বাবা তুমি কত বড়! তুমি কত বেশী প্রয়োজনীয়! আজ তুমি নেই-তাই অনূভব করি-বাবা নাথাকা কতটা কষ্টের!
বাবা, তুমি নেই কত বছর হয়ে গেল! আমি তোমার কাছে কিচ্ছু চাই না বাবা। আমি শুধু চিৎকার করে ‘বাবা’ বলে ডাকতে চাই। তুমি ওই প্রান্ত থেকে শুধু একটু বলো- ‘কি হয়েছে বাপ- আমিতো আছি তোর কাছেই আছি।’ জানি তুমি আর কোনোদিন আসবেনা-তাই আমার বাকীটা জীবন একটা কস্টের নাম হয়েই থাকবে “বাবা”!

৩ শায়মা
হঠাৎ তোমার হারিয়ে যাওয়া
নাড়িয়ে দিলো, বুকের ভেতর
বাজিয়ে গেলো বিষন্ন সূর
ফাগুন দুপুর, উদাস এখন
হাহাকারী ছন্নছাড়া....


৪ দাসত্ব
আজকের মা দিবসে বাংলাদেশের ঐ সব মা কে আমি শ্রদ্ধা জানাইনা যারা তাদের র‍্যাব - পুলিশে চাকুরিরত সন্তানকে কোনদিন কাছে ডেকে নিয়ে বলেনি ----
'বাবারে , সরকার তোর হাতে পিস্তল - বন্দুক দিসে, হাজত খানার চাবি দিসে, হাতকড়া দিসে। এগুলা দিয়ে এদেশের মানুষরে কোনদিন অত্যাচার করিস না , তুই যেমন আমার সন্তান, তুই পুলিশের ইউনিফর্ম পরে যাকে অন্যায়ভাবে মারিস সেও আরেক মায়ের সন্তান।'

৫ কর্ণেল সামুরাই
অনেকেই আশঙ্কা করছেন, সেনা নামবে। আর্মি কখনোই নামবে না। আর্মি সরকারের অনুগত কোন সংস্থা না যে পুলিশের মত সরকারী নির্দেশে পেটোয়া বাহিনীতে হিসাবে নামবে। সেনারা “সার্বভৌমত্ব” এর প্রতীক, তারা কেবল তখনই রেসপন্স করবে যখন জাতীয় সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় অথবা রাষ্ট্রপতি জরুরী অবস্থা জারির মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। এছাড়াও ইমার্জেন্সি সিচুয়্যেশনে তারা রেসপন্স করে তবে কখনোই সিভিলিয়ানদের বিরুদ্ধে তাদের বন্দুক গর্জে উঠবে না কারণ সিভিলিয়নরা হল আর্মিদের ব্রাদার এবং ব্রাদারহুড আর কোথাও থাকুন না থাকুক আর্মিতে প্রবলভাবে আছে।

৬ ফিউশন ফাইভ
ভাইয়ার ফেসবুক আইডি না থাকায় উনার লেখা আমার একটা প্রিয় পোস্টের কয়েকটা লাইন কপি করে দেওয়া হলঃ

ইন্টারনেটকে শেকল পরানো যাবে না
সবমিলিয়ে মুক্ত গণমাধ্যমকে শেকল পরানোর এই নীতিমালা যদি কোনোভাবে বাস্তবায়িত হয়ে যায়, তাহলে প্রথমত মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতা বিঘ্নিত হবে। সরকারের সমালোচনা যারা করবেন, নানা কৌশলে তাদের হয়রানি করার একটি পথ তৈরি হবে। এই এখনো মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা আছে একটিই - ইন্টারনেট। একে শেকল পরানোর যে কোনো অপচেষ্টা রুখতে হবে। এরপরও যদি হয়েই যায়, তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় স্বার্থান্বেষী মহলের এই অপচেষ্টা 'ডিজিটাল বাংলাদেশের' সবচেয়ে কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

৭ দুর্যোধন

শাহবাগের জন্ম হেফাজত প্রতিরোধের জন্য হয় নাই । শাহবাগের জন্ম আস্তিক নাস্তিক ক্যাচাল সৃষ্টির জন্য হয় নাই । শাহবাগের জন্ম হইছে একটা কারনেই - তা হইলো যুদ্ধাপরাধের বিচার ।

হেফাজতি প্রতিরোধের কাজ কি শাহবাগের ? একদিকে হেফাজতে ইসলামকে সমাবেশ করতে দেয়ার অনুমতি দেয়া হয় , হেফাজতের দাবী 'মানা হচ্ছে/মেনে নেয়া হবে'' বলা হয় , সেইখানে শাহবাগের কোনো দায়ই পড়ে না হেফাজতিদের মোকাবেলার । দায় একটাই - যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করা । হেফাজত অস্থিরতা তৈরী করতেছে , তা হ্যান্ডেল করুক সরকার , শাহবাগ কেন ?

বারবার ভুল করার কোনো উপায় নাই । আমি শাহবাগের চেতনায় বিশ্বাস করি - যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই , কেইস ডিসমিস । নাথিং মোর , নাথিং লেস । কিন্তু শাহবাগে বইসা শাহবাগের চেতনা নিয়া দাবা চালাচালি চললে তার বিরুদ্ধে সবসময়ই থাকি

৮ চেয়ারম্যান০০৭
নাম কথনঃ

১, "মা" দিবসে আম্মুকে গিফট দেবার জন্য কিছু টাকা পাঠাবো বলে আব্বুকে ফোন দিলাম।এর আগে কখনো আব্বুর নামে টাকা পাঠাইনি।তাই কি মনে করে বললাম আব্বু তোমার নামে তাহলে পাঠাই ?
আব্বু বললেন ওকে,পাঠাও।
বেক্কল এর বাটখাড়ার মতোন কি বুইঝ্যা বললাম আব্বু তোমার নামের আগে কি মোহাম্মদ আছে ?
আব্বু বলে বিদেশ গিয়া বাপের নাম ভুইল্যা গেছোস নালায়েক,দেশে আয় তোরে দিয়া যদি এক হাতে কান ধরাইয়া আরেক হাতে সাদা কাগজে ৫০০ বার বাপের নাম না লেখাইছি কুনুমতে কইলাম হ্যালো আব্বু কথা শুনতেছি না ,পরে ফোন দিচ্ছি

২, আমার এক বন্ধু আছে নাম সাব্বির,ওর সাইজ আর ওর বাপের সাইজ একই।তাই ওরে কইতাম কিরে তোর ভাই রশিদ ভাই কই ? ( ওর আব্বুর নাম রশিদ)
একদিন দেখি সাব্বির এক ছেলের সাথে কোচিং এ যাচ্ছে।আমি পেছন থেকে দেখেই ডাক দিলাম ওই রশিদ ভাইয়ের ভাই দাড়া আমি আস্তেছি।বলতে দেরী পাশের ছেলে ঘুরতে দেরী নাই,দেখি ওইটা ওর বাপ খাড়ার উপ্রে ঠ্যাং ২ টা কান্ধে নিয়া খিচ্চা দঊড় লাগাইলাম।

৯ হাসান মাহবুব
আজকে মা দিবস। সন্তান আবেগাপ্লুত অবস্থায় কম্পিউটারের সামনে বসল। ফেসবুক ওপেন করল। একটা হৃদয়ছোঁয়া স্ট্যাটাস দিতেই হবে। অন্যদের স্ট্যাটাস পড়ে তার চোখ ভিজে উঠেছে। কত সুন্দর সুন্দর কথা, ছবি শেয়ার করেছে সবাই! সে কিছুই করেনি। মায়ের জন্যে কিছু একটা করে ঋণ শোধ তো করতেই হবে। আর কিছু না পারুক, একটা স্ট্যাটাস তো দিতেই পারে সে। তাতে প্রাপ্ত লাইক এবং কমেন্টগুলো মায়ের প্রতি শ্রদ্ধার স্মারক হয়ে থাকবে। লেখা শুরু করল সন্তান। প্রায় শেষ হয়ে এসেছে ,এমন সময় মায়ের ডাক এলো। "ভাত খাবি না? সকালে তো কিছুই খাস নাই!"। বিরক্তিতে কুঁচকে এলো সন্তানের চোখমুখ। "যাও তো, জ্বালিও না এখন। একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছি"। ঝাঁঝাল গলায় বলল সে। স্ট্যাটাস দেয়ার পর অবশ্য তার কুঁচকানো, বিরক্তি ভরা চোখমুখ স্বাভাবিক হয়ে এল। প্রচুর লাইক পড়ছে...

১০ ধীবর

বিরহ বেদনা ভালো না। খুবই কস্টের। যে কস্টের কোন তুলনা হয় না। শরীরে কাটা ফুটার চেয়েও বেশি বেদনাময়। হায় প্রেম কেন আসে, এই হৃদয়ের পাশে ? কেন মন হারিয়ে যায় বিরহে?

১১ রাহি
রাম ছাগলকে মুজিব কোট পরাইয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানাইলে এমন বাণী তো আসবেই। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর বিবিসিকে বলেছেন, কিছু হরতাল সমর্থক সাভারের ধসে পড়া ভবনটির ফাটল ধরা দেয়ালের বিভিন্ন স্তম্ভ এবং গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। মন্ত্রী বলেন, ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে সেটাও একটি সাম্ভাব্য কারণ হতে পারে

১২ রাসয়াত রহমান জিকো
পুরা দুনিয়া যখন আপনার দুর্বল জায়গা নিয়া হাসাহাসি করবে তখন মা করবে না। মায়ের কাছে আমরা সবাই বাগদাদের রাজপুত্র মাইলে সেবার রানী। মা আমাদের প্রিয় হবে না তো কে হবে?
ক্রিকেট খেলতে গিয়ে মাথা ফাটিয়ে এসেছি। কপালের উপর ৫ সেলাই নিয়ে আমি ঘুমায় গেলাম। মাঝরাতে উঠে দেখি ডাইনিং রুমে লাইট জালানো। পুত্রের প্রার্থনায় আমার আম্মা জায়নামাযে।
সন্তানের বেহেশত আসলেই এক জায়গাতেই হতে পারে। মায়ের স্নেহতলে, মায়ের পায়ের নিচে।

১৩ চাপা ডাঙ্গার চান্দু
তাজরীন থেকে কতগুলো অঙ্গারের টুকরা বের হয়েছিল। দুঃখ প্রকাশ আর চোখের পানি ফেলা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। রানা প্লাজায় এতো সহজে আমরা হার মানিনি; শেষ প্রাণটি রক্ষার জন্য আমরা জান প্রাণ দিয়ে লড়ে যাচ্ছি। দেশে-বিদেশের সবাই এই লড়াইয়ে শামিল হয়েছে।

কিন্তু এর পরের লড়াইটি কি হবে আমাদের? দুই দিন পরে যখন গার্মেন্টস শ্রমিকরা তাদের অধিকার এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার দাবীতে আন্দোলন শুরু করবে, তখন কি আমরা তাদের সাথে আন্দোলনে নামবো? নাকি পরের ট্র্যাজেডিটির অপেক্ষায় থাকবো?
ইতিমধ্যে শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গুলি খেয়েছে, আটক হয়েছে। বিভিন্ন চ্যানেলে পুলিশ কর্মকর্তাদের বলতে শুনলাম তারা ছিল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। এখন, এই বিশৃঙ্খলাকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানাতে যাবে কে??

বুকে কংক্রিট নিয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অসহায় বাবা, মা'র কথা চিন্তা করা শ্রমিকদের ক্ষমতা নেই রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছ থেকে দাবী আদায় করে আনার। দুবেলা খাবার তো জুটবেই না, বরং শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামের মতো খুন হয়ে যাবে। নিউইয়র্ক টাইমসে পরপর দুই দিন এই আমিনুলের হত্যাকাণ্ড গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা হলেও আমরা কিন্তু তার জন্য কোন প্রতিবাদ করিনি। প্রতিটি গার্মেন্টসে একজন আমিনুল ইসলাম থাকলে হয়তো শ্রমিকেরা আরও বেশী নিরাপত্তা পেতো।

কর্পোরেট মিডিয়ার যুগে অনলাইনে কিছুই করতে পারবেন না তাদের ব্যক্তিস্বার্থের জন্য। নিজেদের স্বার্থানুযায়ী তারাই সব কিছু নির্ধারণ করে দিবে। তাই দিন শেষে যখন দেখলাম মেরিল-প্রথম আলো'র পক্ষে বিশাল জনমত গড়ে উঠেছে অবাক হইনি।
নিউ ইয়র্কের মেয়র টুইন টাওয়ার হামলার পর আরব শেখের কোটি ডলারের চেক ফিরিয়ে দিয়েছিল; আর আমরা মাত্র ৫৪ লক্ষ টাকার কাছে বিবেক, মনুষ্যত্ব সব বেঁচে বসে আছি। নিজেদের গরীব বলে দাবী করার আগে আফতাব গ্রুপের মালিকের ছেলের মোট ২০ কোটি টাকার গাড়িগুলো সম্পর্কে একটু জেনে নিবেন, কিংবা ট্রান্সকম, প্রথম আলোর মালিক লতিফুর রহমানের সম্পত্তির হিসাবটা মিলিয়ে দেখবেন। সন্তানহীন একজন কোটিপতি নাচ-গান ব্যতীত ৫৪ লক্ষ টাকার অনুদান দিবেন না বলে গোঁ ধরেছেন, আর আমরা ফকিন্নির পুত তাতেই খুশি হয়ে গেলাম!!

একটু অবেলায় কিছু কথা বললাম। জানি এটা নিয়ে আবেগ শেষ হয়ে গেলে পর, কিছু বলতে গেলেই অনেকের শত্রু হতে হবে। ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বড় কোন আশা করিনা। বর্তমানে শেষ জীবিত প্রাণটিও উদ্ধার হবে এবং সকল আহত শ্রমিকের সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে, সেই দোয়াই করি।


১৪ মাইনাচ
গতকাল রান্না করতে গিয়ে গরম তেলে পেঁয়াজ ঢালতে গিয়ে তেলের ছিটকে পড়ে হাতটা পুড়ে গেল। উফ কি অসহ্য জলনরে বাবা। মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো।
এখন ভাবি, আমার মা'য়ের বেহেশ্তী কোমল হাতটি কয়বার না জানি গরম তেলে পুড়েছে। একবারওকি খবর নিয়েছি কখনো?
মা তুমি ভালো থেকো প্রতিটি মুহুর্ত

১৫ মিলটন
দুই সাপের মধ্যে চ্যাট হচ্ছে.......
১ম সাপ:ফোস
২য় সাপ:ফোস ফোস
১ম সাপ:ফোস ফোসফোস
২য় সাপ:ফোস ফোসফোস ফোস-ফোস-ফোস
১ম সাপ (রেগে): ঘেউ ঘেউ
২য় সাপ : আগেই বুজছিলাম ফেক আইডি !
(সংগ্রীহিত)

১৬ জাতির নানা
আজ বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরতে মাওলানা পীরে শাহাবাগী জনাব আসিফ মহিউদ্দিনের শুভ জন্ম দিন। এই উপলক্ষে শাহবাগ চত্তরে এক বিরাট মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আপনারা দলে দলে যোগদান করে আখেরাতের অশেষ নেকি হাসিল করুন!!!!!!!

১৭ s r jony

মা সম্পর্কিত কতিপয় হাদিস

১) রাসূল(সা) বলেছেনঃ বেহেশ্‌ত হচ্ছে মায়েদের পায়ের নিচে। ( কানযুল উম্মালঃ ৪৫৪৩৯, মুনতাখাবে মিযানুল হিকমাহঃ ৬১৪ )

২) ইমাম সাদেক (আ) বলেছেনঃ এক লোক রাসূলের খেদমাতে এসে আরজ করলো-হে রাসুল! খেদমত করবো কার? রাসূল বললেনঃ তোমার মায়ের। লোকটি বললো-তারপর কার? রাসূল বললেনঃ তোমার মায়ের। লোকটি বললো-তারপর? রাসূল বললেন-তোমার মায়ের। লোকটি আবারো জিজ্ঞেস করলো তারপর কার? নবীজী বললেন-তোমার বাবার। ( আল-কাফিঃ ৯/১৫৯/২,মুনতাখাবে মিযানুল হিকমাহঃ ৬১৪ )

৩) রাসূলে কারিম (সা) বলেছেনঃ নারীর প্রতি সবচেয়ে বেশি অধিকার হচ্ছে তার স্বামীর,আর পুরুষের উপর সবচেয়ে বেশি অধিকার হচ্ছে তার মায়ের। ( কানযুল উম্মালঃ ৪৪৭৭১, মুনতাখাবে মিযানুল হিকমাহঃ ২৫৪ )


১৮ আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়,

মাকে ভাবলেই,
বুকের ভেতর একটা শান্ত জলস্রোত বয়ে যায়।
মাকে ভাবলেই,
সব দুঃখ ধূয়ে মুছে মমতাশ্রয়ে নিজেকে হারাই।
মাকে ভাবলেই,
পৃথিবীটা সুন্দর, স্বর্গ আছে দুখিনীর আচল তল।
মাকে ভাবলেই,
বিশাল আকাশে আমি ভয়ডরহীন মুক্ত বিহংগ।


১৯ নোমান নমি
হা হা হা আজ নাকি মা দিবস! আমরা মা জানেনইনা! সেকেলে মা জানতেও চাইলেন না, ওসব পোলাপানের কাজ বলে হাসলেনও। আমরা মা জানতে চান আমি ঠিকমত খেয়েছি কিনা, জানতে চান গতরাতে বাসায় কয়টা ফিরেছি,বেশী রাতে বাইরে ছিলাম নাকি।কিভাবে যেন জেনে যান আমার শরীর খারাপ। বাসার বাইরে থাকলে বারবার ফোন করে জানতে চান ঠিক আছি কিনা,কোন বিপদ হলো কিনা। মা জানতে চান কাপড় চোপড় ঠিকমত ধুয়ে পরিস্কার করিতো? নাকি ময়লটাই পরি। মা ভুলে যান না আমি ভুলে যাই বাড়ীতে কাঁথা ফেলে এসেছি,মা টেনশন করেন রাতে আমি কাঁথা ছাড়া ঘুমাতে পারি না বলে। দূরে থাকলে মা এটা জানতে চান,ওটা জানতে চান, কাছে পেলে চালু করে দেন জানতে চাওয়ার কারখানা,জানতে চান কত কি! অথচ জানতে না চেয়েও হাজার কিছু বুঝে যান। আমিতো সবকিছু বুঝতে পারি না!
আমার মা "মা দিবস" জানেন না, কেবল সন্তান জানেন। আমিও মা দিবস জানিনা,কেবল মাকে জানি


২০ শিপু ভাই
কই জানি মাইজভান্ডারিগো মাহফিল হইতাছে। কিন্তু মাইক ফিট করছে এক্কেরে আমার অফিসের সামনে। পরিস্কার কিছুই বোঝা যায় না কিন্তু কান ঝালাপালা।
ওয়াজের সিজনেও সেম কাজটা হয়!!! মানুষকে পীড়া দিয়ে তারা কোন সওয়াব হাসিল করতে চায়??? ওয়াজ করুক, মাহফিল করুক কিন্তু এলাকা ভইরা মাইক ফিটিং কেন??? আমার ইচ্ছা হইলেতো আমি জায়গামত যাবই!!!
বলতে পারে যে ঘরের মা বোনদের জন্য এই ব্যবস্থা!!! কিন্তু সাউন্ড কোয়ালিটির কারনে কি বলছে কিচ্ছু বোঝা যায় না।
শব্দ দূষনের দায়ে পরিবেশ আইনে এদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত!!!

২১ আমি তুমি আমরা
বিকেল বেলা।
ফুটপাত ধরে হাটছি।বিপরীত দিক থেকে মৃদু গতিতে এগিয়ে আসছে একটা রিকশা।
রিকশায় দুটো তরুন-তরুনী বসা। তরুনটির কোলে একটা ছোট্ট ছেলে। প্রবল বাতাস ছিল, তরুনীটি তাই শাড়ি আর এলোমেলো চুল সামলাতেই ব্যস্ত।
বাচ্চাটা একটু পরপরই মায়ের কোলে যেতে চাইছে, কিন্তু বাবা তাকে নিজের কোলেই ধরে রেখেছে। কেননা মা তখনো শাড়ি সামলাতেই ব্যস্ত।বাচ্চাটি চোখেমুখে তাই বিরক্তির আভাস, কিন্তু রাগের কোন চিহ্ন ছিল না।
রিকশাটা আমাকে অতিক্রম করে চলে গেল।শেষ বিকেলের মরা রোদে আমি শুনতে পেলাম দুই তরুন-তরুনীর হাসি, একটি ছোট্ট শিশুর আধো আধো বোলে কিছু দুর্বোধ্য অথচ মিষ্টি শব্দ।
কিছু কিছু দৃশ্য দেখলে মাঝে মাঝে মনে হয়, জীবনটাতো আসলে খারাপ না...

২২ একজন আরমান
চেয়ে থাকা নতুন কোন সময়ের জন্য,
কিংবা -
অসহ্য কোন যন্ত্রনা থেকে মুক্তির জন্য !
ফলাফল ? !
অবশ্যই অনিশ্চিত !
ভবিষ্যৎ বলে কথা !
ভবিষ্যৎ নাকি সর্বদাই অনিশ্চিত !

২৩ আরজুপনি
আমার প্রোফাইল পিক দেখে আপনি মর্মাহত হয়েছেন। কি কারণে মর্মাহত হলেন, তাতো বললেন না!
আমি আপনার প্রোফাইল পিক আর নজর কাড়া কভার পিক (যা সবাই দেখতে পারে) দেখে অনুমান করলাম কি কি কারণে আপনি মর্মাহত হতে পারেন।
আমার প্রোফাইল পিকে আমার মাথায় কাপড় দেয়া- এটা একটা কারণ হতে পারে। আমি ক্ষ্যাত, আধুনিকতার নামে কাপড় কমাতে পারি নি।
আমার হাতে একটা কমদামী মোবাইল ফোন-এটা একটা কারণ হতে পারে। এখন কি আপনাকে খুশি করতে দামী মোবাইল হাতে নিয়ে পোজ দিব? দুঃখিত। ফেসবুকে দেখানোর উদ্দেশ্যেই ছবি তোলার ইচ্ছা পোষণ করতে পাচ্ছি না।
ছবিতে লেখা আছে আমি ব্লগার- তাতে কি? আমি ব্লগার পরিচয়ে গর্ববোধ করি। ব্লগ আমাকে সচেতন হতে শিখিয়েছে। অনলাইনের জগতটাকে বেশি করে চিনতে শিখিয়েছে।
তবে আর কি?!
ওহ্ আচ্ছা, ছবিতে লেখা আছে মেহনতি নারীদের জন্যে-
জ্বি, আমি মেহনতি নারী। তাইতো! মেহনতি নারী আবার ফেসবুকে কি করে? তারা থাকবে শুধু মেহনত করতে। তাদের মেহনত দেখে নাক সিটকাবেন আর তাদের আগুনে ঝলসে যাওয়া, ভবনের নিচে চাপা পড়া ছবি দেখে আর খবর শুনে কোন দামী রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে একটু আধটু আহা উহু করবেন।
আপনি তো জানেন না, আমার আরেকটা প্রোফাইল পিক আছে, প্রীতিলতার, আরেকটা প্রোফাইল পিক আছে বেগম রোকেয়ার। ভাগ্যিস দেখেন নি। তবে তো আপনি মর্মাহত হতে হতে মরেই যেতেন! !!!

২৪ সাব্রিনা সিরাজী তিতির
মন খারাপগুলো কবে যে মেঘ হয়েছিলো , ঠিক মনে পড়ে না ।
আজ বৃষ্টি এসে ছুঁয়ে দিতেই চমকে গেলাম ! আরে ! এতো আমার পালিয়ে যাওয়া মন খারাপ ! মনের খুব গভীরে ওদের লুকিয়ে নিলাম । কিছুতেই আর পালিয়ে যেতে দেবো না ।
আর আমি ? আমি হয়ে গেলাম একলা জেগে থাকা মন খারাপের মেঘ । চোখে বৃষ্টি নিয়ে উচ্ছল রোদের অপেক্ষায় ।

২৫ নিশাচর ভবঘুরে
চুম্বন চেয়েছি বলে, আমাকে বললে "মাংসাশী"!
ঠিক আছে, প্রত্যাহার করে নিলাম মাংসের লোভ,
তবে তোমার ঠোঁটে কিছু ঘাস জন্মাক,
আর আর আমি তৃণভোজী হয়ে উঠি।


২৬ কান্ডারী অথর্ব
মাগো !!!
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে।
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।
সত্যের জয় হোক। অসত্য নিপাত যাক। সকল পাপ ধুয়ে মুছে যাক বৃষ্টিতে। যেমনটা আমাদের শান্তি মেলে মায়ের আঁচলের ছায়ায় তেমনি ভাবে ফিরে আসুক আমাদের সহব্লগারগন তাদের মায়ের আঁচল ছায়ায়।

২৭ ঘুড্ডির পাইলট
শুনেন একটা পরমর্শ দেই !
কুনু সময় রাস্তায় কুত্তা আর আর পুলিশ দেখলে দৌড় দিবেন না ! এরা যদি বুঝতে পারে আপ্নি হেরে দেইখা ডড়াইছেন তাইলে কাম সারছে ! আপ্নেরে পাইয়া বইবো ।
এমন ভাব দেখাইবেন , ”যা ব্যাটা তোর টাইম নাই “
কাইল রাইতে মতিঝিলে হেপাজতের সমাবেশ পর্জবেক্ষন করতে গিয়া আমি দৌড় দিয়া ফাপরে পরতে লইছিলাম ! পরে এক পুলিশ আমারে কইলো পুলিশ দেখলে দৌড় দিবেন না (যদি আপ্নি নিরাপরাধ থাকেন )
আর কাটাবনের এক এনিমেল শপের দোকান্দার ( সে নিজেরে পশু বিজ্ঞানী মনে করে ) আমারে একবার একটা পরামর্শ দিছিলো , কুত্তা দেইখা দৌড় দিলে কুত্তায় চান্সে পায়া বসে ।
পরামর্শটা শিয়ার করলাম । আমাকে ধইন্যবাদ দেন ধইন্যবাদ দিতে টেকা লাগে না ।
বি: দ্র: পাগল/ হিজরা দেখলে অবশ্যই দৌড় দিবেন (যতো জোরে পারেন) ।

২৮ প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার


নক্ষত্রবিদ্যালয়ে তুমি ঝরে পড়া স্মৃতি; তুমি গান জানো না; হাসতে জানো না; নামতা জানো না; তুমি ভিউ মিররে মেঘের হেয়ালী মাত্র । চেনা আঙ্গুলের ঈশারায় মুছে যাচ্ছে শহর- ফুল!
ওগো নক্ষত্রমেয়ে, তুমি ফিরে ফেলে নাগরিক খরগোশের চোখে ছায়াবাদী রোশনাই হয়ে! তুমি আলতারঙা ফুল, একবার হেঁসে উঠে উঠলে আমি হয়ে যাব জলকুমার ! সমুদ্রের গা এলিয়ে ডুবে যাব নিম্নালোকে, স্খলন!
নক্ষত্রমেয়ে, হতে পারো বেহায়া চাঁদ, করবী ফুল ! আহা করবী ফুল, আমি আজ ফুলগন্ধী শিমুলতুলো মেঘ - তোমার হাঁসিতে একটা লাল ঘুঙুর পরিয়ে দেব !
ও গো নক্ষত্রতরুণী; বাজাও ঘুঙুর ! আজ পৃথিবীর সকল নিথর মানুষ ঢুকে যাবে তোমার নাচের স্কুলে ।


২৯ প্রকৌশলি আতিক

ডিজিটাল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে গেলুম। আউট সোর্সিং কারী সকল ভাই-ব্রাদার কে মুন্নিসাহার পক্ষ হতে একটা প্রশ্ন। এখন আপনাদের অনুভুতি কি ?

রেজোওয়ানা

সৈয়দ আবুল মকসুদ আজকে তাঁর এক কলামে একটা কথা বলেছেন, সেটা আমার মনে ধরেছে তাই শেয়ার করলাম......"নিম্ন মানের রড-বালু-সিমেন্টের চেয়ে নিম্নমানের চিন্তা একটি জাতি ও দেশের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।"

৩১ শ।মসীর
বাংলাদেশের একটাই সমস্যা - 'আমি' ।
এখানে দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়- আর সব থেকে বড় হলাম 'আমি ' ।
দরকার পড়লে আমরা ভলতেয়ার এর বিখ্যাত উক্তি-'পছন্দ না হলেও তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি জীবন দিতে পারি' ! বারবার ব্যবহার করি, তবে ভার্চুয়াল পরের লাইনটা উহ্য রাখি-"যতক্ষন তোমার মত আমার সাথে মিলবে" । ।
এই আমি টাই আমাদের একমাত্র সমস্যা, আমাদের সব কিছুর কেন্দ্রে থাকে এই আমি, আমার পছন্দ- অপছন্দ । এর বাইরে কিছু হলেই আর আমি নাই । ।
যতক্ষন এই আমি-আমার থেকে এই জাতি বের হতে পারবেনা ততক্ষন বাকি সবকিছুই সাময়িক।দেশপ্রেম, দলপ্রেম -এই সব কোন কাজেই লাগবেনা । দেশপ্রেমিক হওয়া , দেশের জন্য কিছু করা যেমন খুব সহজ, তেমনি সবচেয়ে কঠিন কাজও ।


৩২ চাটিকিয়াং রুমান
মেয়েদের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গিয়ে তারা এখন থেকে বলতে পারে- "তুই মুন্নির চাইতেও খারাপ।"

ঝগড়ার এক পর্যায়ে ভিন্ন মতাদর্শের এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলতে পারে- "খালি সংলাপ সংলাপ করছ ক্যান? যা বলবি ক্লিয়ার কৈরা ক।
রবিন মিলফোর্ড

৩৩ কামরুল হাসান শািহ
প্রশ্নঃ সুন্দরবন ধ্বংস ককরে বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা আর শীত লাগতাছে বলে নিজের পরিধেয় পোষাকে আগুন লাগানোর মাঝে মিল কি?

উত্তরঃ দু'টাই একমাত্র পাগল দ্বারা সম্ভব।

৩৪ আবু সালেহ

দেখেছিলো স্বপ সে একরাশ
স্বপ্নেই ছিলো তার বসবাস।
স্বপ্ন ছিলো মনে প্রানে......
এখনও আছে
জীবন মৃত্যুর সন্ধীক্ষনে
অসহায় হয়ে।
উড়তে চায় আকাশে
পাখা হারিয়ে
যায় পড়ে এই ধরাতে।


৩৫ জিসান শাহ ইকরাম
প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে বাতাসের বেগ
বৃষ্টি হচ্ছে তুমুল
বৃষ্টির এই ধারা অব্যাহত থাকলে দুপুরে জোয়ারের সময়ে জলোচ্ছাস নিশ্চিত ।
রাত তিনটার দিকে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে , আসার সম্ভাবনা নেই কোন
মোবাইলের টাওয়ার গুলো চলছে ব্যাটারীতে , যে কোন সময়ে বন্ধ হয়ে যাবে তা
সাথে সাথে বিচ্চিন্ন হয়ে যাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেট , শুধু ল্যান্ড ফোন চালু থাকবে।
রাস্তা জনমানব শুন্য
ভীতিকর অবস্থা , ধেয়ে আসছে ধংশ দানব , প্রতিবার যেভাবে আসে ।

স্বস্তি এই যে এবার সরকারী প্রস্তুতি অনেক ভালো। নিরাপদ আশ্রয়ে সড়িয়ে নেয়া হয়েছে অধিকাংশ উপকুলীয় মানুষকে । জীবনের ক্ষয়ক্ষতি হবেনা তেমন। তবে সম্পদের ক্ষতি হবে , যদি ঝড়ের তীব্রতা না কমে।

ধংশ , সৃষ্টি , লড়াই করে বেঁচে থাকা

এই নিয়েই আমাদের জীবন ।

৩৬ পারভেজ আলম
শ্রমিক হোক বা মাদ্রাসার ছাত্র, এদেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষই মরছে। মরছে এদেশের শাসক শ্রেণীর টাকার লোভে, ক্ষমতার লোভে। দেশের বিপ্লবী শক্তিগুলা একে অপরকে শত্রু জ্ঞান করছে বলেই এইসব খুনের ন্যায্য বিচার আদায় করা কঠিন হয়ে পরেছে। লাশের সিংহাসন বানিয়ে যারা ক্ষমতায় থাকার অথবা লাশ মাড়িয়ে যারা সেই সিংহাসনে ওঠার স্বপ্নে বিভোর, তাদের প্রতিহত করতে দরকার শহুরে মধ্যবিত্ত্ব তরুন বুর্জোয়াদের নেতৃত্বে শ্রমিক, কৃষকের বিপ্লবী রাজনীতি। যেই তরুন বুর্জোয়ারা শিল্প আর শ্রমিক এই দুই বাঁচাতেই লড়াই করবে, যেই তরুনরা মাদ্রাসা পড়ুয়া কৃষকের সন্তানের শিক্ষা, সম্মান, ভাত কাপড়ের জন্যে লড়বে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে, জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে, জাতীয় সম্পদের উপর দেশের মানুষের মালিকানার প্রশ্নে যারা আপোষ করবেনা, তাদের নেতৃত্বেই শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্ত্বের জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে। এই ছাড়া আমাদের কোন উজ্জ্বল ভবিষ্যত নাই, বাকি সবই অন্ধকার, নিজেরা নিজেরা খুনাখুনি করে পশ্চিমাদের হাতে দেশের লাগাম তুলে দেয়া। এই রাজনীতি করার প্লাটফর্ম যতোদিন না হচ্ছে ততোদিন এইভাবে বহু পক্ষের লাশ পরতেই থাকবে। বিষয়টা জানি, কিন্তু তেমন প্লাটফর্ম করার ক্ষমতা আমার নাই। তাই অন্যদের দিকে চাইয়া থাকি, আর হাত নিশপিশ করে।

৩৭ মাহমুদুল হাসান কায়রো

যখন রাত্রি নিঝুম
নেই চোখে নেই ঘুম
একলা শূণ্য ঘরে
তোমায় মনে পড়ে মাগো, তোমায় মনে পড়ে।
ভরবে জীবন গানে গানে
এইতো আশা আমার প্রাণে, মাগো।
সেই আশাতে ঘর ছেড়ে আজ
এলাম পথের পরে।
তোমায় মনে পড়ে মাগো, তোমায় মনে পড়ে।
জানি তোমার আশীষ পেলে
উঠব সকল বাঁধা কেটে।
তোমার আশীষ সকল কাজে
পড়ছে মাথায় ঝরে,
তোমায় মনে পড়ে মাগো, তোমায় মনে পড়ে।

৩৮ পাহাড়ের কান্না
বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই।
আমি হইলাম হাফ ভুদাই তুমি দেখি পুরাই।
আমি থাকি মহা সুখে অট্রালিকার পরে,
খুপরির মধ্যে থাকতে কেডা বুদ্ধি দিছে তোরে??
বাবুই হাসিয়া কহে, ওরে ভুদাইর বাপ,
ভুমিকম্পে পরবা যেদিন পাইবানা আর মাপ


৩৯ শের শায়রী

মা দিবস বুজি না শুধু জানি যতবার আমার মার দিকে তাকাই আমার একবার হজ্জ হয়ে যায়। আমার নবী বলেছে আল্লাহর পরে কাউকে সেজদা করতে হলে মাকেই করতে বলতেন। মা তুমি ভাল আছ।

কিভাবে ভুলি বাবা মারা যাবার পর এক জোড়া কাপড়ে আমার এই মা দুই বছর চলেছেন আর আমাদের পড়াশুনা খরচ চালিয়েছেন।


৪০ সুপান্থ সুরাহী
মনোলগ-১০


শোকার্ত কালের পাশে বিমর্ষ বাতাসের কান্নায়
বোবা যন্ত্রণার পাশে আহত জাতির আর্তনাদে
যত হাহাকার ছিল; মিশি গেছে সব বক্তব্যের
বাহারি উপস্থাপনে, লাশের মিছিলের কাফনে;

সব হারামজাদাগুলো মানুষ মাপে টাকার হিসেবে
সাভারেও হবে তাই, শিখবেনা শুয়োরের বাচ্চারা

পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাওয়ায় পোস্টটি দুই পর্বে করতে বাধ্য হয়েছি। আমার অন্য প্রিয় ব্লগার দের স্ট্যাটাস ২য় পর্বে প্রকাশ করা হবে।

অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার পঁচা পোস্টটি পড়ার জন্য। অন্য ব্লগারদের পোস্ট ২য় পর্বে প্রকাশ করা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬
৯০টি মন্তব্য ৮৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×